ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার পেঁয়াজ বাজারে নামছে ৪ গোয়েন্দা সংস্থা

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • 0

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: যারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে রাতারাতি অস্বাভাবিকভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলেছে। সরকারকে বিব্রত করেছে। এসব সুযোগসন্ধানী সিন্ডিকেটের সদস্যকে খুঁজে বের করতে এবার যৌথভাবে মাঠে নামছে সরকারের চারটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। চারটি গোয়েন্দা সংস্থা যৌথভাবে এ কাজটি করবে।

জানা গেছে, পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী সিন্ডিকেটের সম্পর্কে ইতোমধ্যেই তাদের হাতে বিভিন্ন তথ্য এসেছে। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করতে তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং বাজারে আরও ব্যাপকভাবে খোঁজ নেবে। তাদের সংগ্রহ করা সেসব তথ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে পৌঁছাবে। সংশ্লিষ্ট মহল এসব তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, শুধু পেঁয়াজ নয়, সব নিত্য-পণ্যের মজুত পরিস্থিতি দেখতে বাজারে নামছে দেশের চারটি গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে একাধিক টিম। এসব টিম পণ্যের মজুত, চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেবে। এ সময় তারা পণ্যের দাম ও মান যাচাই করবে। এজন্য ব্যবসায়ীদের কাছেও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, যেকোনও প্রকার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে তাদের সুদৃঢ় অবস্থান। কোনোভাবেই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ অসাধু এসব ব্যবসায়ীর মনোপলি কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে না, ভবিষ্যতেও করবে না বলে সাফ জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইসহ বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।

পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির পেছনে মজুতদারদের কারসাজিকে দায়ী করছেন সরকারের বিভিন্ন মহল। তাদের ধারণা অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণেই পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন। এ তথ্য যাচাই করতে অন্তত ২২৭ পেঁয়াজ আমদানিকারকের বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে মাঠে নেমেছে শুল্ক গোয়েন্দা।

শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্রের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী দেশে উৎপাদিত ও আমদানি করা পেঁয়াজ মিলিয়ে কোনোভাবেই সংকট হওয়ার কথা নয়। তারপরও বাজার কেন লাগামহীন তা খতিয়ে দেখছে শুল্ক গোয়েন্দারা। বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিতে কয়েকজন বড় আমদানিকারককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।

উল্লেখ্য, ভারত হুট করেই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করা মাত্রই দেশের বাজারে রাতারাতি বেড়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০টাকায় পৌঁছয়। এদিকে রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অপরদিকে আমদানি করা ভারতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে।

বিজনেস আওয়ার/২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

এবার পেঁয়াজ বাজারে নামছে ৪ গোয়েন্দা সংস্থা

পোস্ট হয়েছে : ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: যারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে রাতারাতি অস্বাভাবিকভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলেছে। সরকারকে বিব্রত করেছে। এসব সুযোগসন্ধানী সিন্ডিকেটের সদস্যকে খুঁজে বের করতে এবার যৌথভাবে মাঠে নামছে সরকারের চারটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। চারটি গোয়েন্দা সংস্থা যৌথভাবে এ কাজটি করবে।

জানা গেছে, পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী সিন্ডিকেটের সম্পর্কে ইতোমধ্যেই তাদের হাতে বিভিন্ন তথ্য এসেছে। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করতে তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং বাজারে আরও ব্যাপকভাবে খোঁজ নেবে। তাদের সংগ্রহ করা সেসব তথ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে পৌঁছাবে। সংশ্লিষ্ট মহল এসব তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, শুধু পেঁয়াজ নয়, সব নিত্য-পণ্যের মজুত পরিস্থিতি দেখতে বাজারে নামছে দেশের চারটি গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে একাধিক টিম। এসব টিম পণ্যের মজুত, চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেবে। এ সময় তারা পণ্যের দাম ও মান যাচাই করবে। এজন্য ব্যবসায়ীদের কাছেও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, যেকোনও প্রকার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে তাদের সুদৃঢ় অবস্থান। কোনোভাবেই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ অসাধু এসব ব্যবসায়ীর মনোপলি কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে না, ভবিষ্যতেও করবে না বলে সাফ জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইসহ বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।

পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির পেছনে মজুতদারদের কারসাজিকে দায়ী করছেন সরকারের বিভিন্ন মহল। তাদের ধারণা অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণেই পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন। এ তথ্য যাচাই করতে অন্তত ২২৭ পেঁয়াজ আমদানিকারকের বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে মাঠে নেমেছে শুল্ক গোয়েন্দা।

শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্রের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী দেশে উৎপাদিত ও আমদানি করা পেঁয়াজ মিলিয়ে কোনোভাবেই সংকট হওয়ার কথা নয়। তারপরও বাজার কেন লাগামহীন তা খতিয়ে দেখছে শুল্ক গোয়েন্দারা। বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিতে কয়েকজন বড় আমদানিকারককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।

উল্লেখ্য, ভারত হুট করেই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করা মাত্রই দেশের বাজারে রাতারাতি বেড়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০টাকায় পৌঁছয়। এদিকে রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অপরদিকে আমদানি করা ভারতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে।

বিজনেস আওয়ার/২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: