ঢাকা , সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাহুল গান্ধীর ‘উড়ন্ত চুমু’ ঘটনায় লোকসভায় তুমুল বিতর্ক

  • পোস্ট হয়েছে : ০৮:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩
  • 29

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বুধবার ভারতের লোকসভায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বিজেপি নেত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির দিকে ‘ফ্লাইং কিস’ ছুড়েছেন বলে তুমুল বিতর্ক উঠেছে। চলমান এ বিতর্কের মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছে কংগ্রেস।

দলটির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধী ‘উড়ন্ত চুমু’ দিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু সেই চুমুর ‘লক্ষ্য’ বিজেপির এমপি এবং বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ছিলেন না।

প্রসঙ্গত, বুধবার লোকসভার অধিবেশনে মণিপুর রাজ্যের অস্থিরতা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে সমালোচনায় বিদ্ধ করেন রাহুল গান্ধী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তিনি রামায়নের খলনায়ক রাবণের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘বিজেপি মণিপুরকে খণ্ডিত করে ভারতমাতাকে খুন করেছে!’

রাহুলের পর ভাষণ দিতে ওঠেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তার বক্তৃতা চলাকালে রাহুল সভাকক্ষ ত্যাগ করেন। নিজ বক্তব্যে স্মৃতি অভিযোগ করেন, সভা ছেড়ে যাওয়ার আগে রাহুল তাদের দিকে উড়ন্ত চুমু বা ‘ফ্লাইং কিস’ ছুড়ে দিয়েছেন।

বক্তব্যে রাহুলের বা পরিবারের রুচি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্মৃতি; সেই সঙ্গে রাহুলকে ‘নারীবিদ্বেষী’ আখ্যা দিয়ে বলেন, এমন আচরণ সংসদে আগে কখনো দেখা যায়নি।

বিজেপির অপর নেত্রী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি প্রতিমন্ত্রী শোভা করণদাজে বার্তাসংস্থা এনডিটিভিকে জানিয়েছেন— ইতোমধ্যে লোকসভার স্পিকার বরাবর লিখিতভাবে রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন তারা।

রাহুল গান্ধীর উড়ন্ত চুমু সংসদ টিভির সম্প্রচারে অবশ্য ধরা পড়েনি। সভাকক্ষে উপস্থিত কেউ কেউ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সভাকক্ষ ছেড়ে যাওয়ার সময় রাহুলের হাত থেকে কিছু কাগজপত্র পড়ে যায়। সেই সময় সরকার পক্ষের কোনো কোনো সদস্য হাসাহাসি করতে থাকেন। টিপ্পনী কাটতে থাকেন। সেই কাগজপত্র তোলার সময় তিনি ট্রেজারি বেঞ্চের দিকে উড়ন্ত চুমু দেওয়ার মতো ভঙ্গি করেন।

কংগ্রেসের ওই মুখপাত্র এনডিটিভিকে বলেন, ‘আজ (বুধবার) ট্রেজারি বেঞ্চে যারা বসেছিলেন, তাদেরক অনেকের সঙ্গেই রাহুল গান্ধীর ভাই-বোনের মতো সম্পর্ক। তিনি কোনো বিশেষ এমপির দিকে উড়ন্ত চুমু দেননি। বিশেষ করে স্মৃতি ইরানির উদ্দেশে তো একেবারেই নয়।’

উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধীর উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনী আসন আমেথিতে স্মৃতি ইরানির কাছেই হেরে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী।

সূত্র : এনডিটিভি

বিজনেস আওয়ার/০৯ আগস্ট, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

রাহুল গান্ধীর ‘উড়ন্ত চুমু’ ঘটনায় লোকসভায় তুমুল বিতর্ক

পোস্ট হয়েছে : ০৮:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বুধবার ভারতের লোকসভায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বিজেপি নেত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির দিকে ‘ফ্লাইং কিস’ ছুড়েছেন বলে তুমুল বিতর্ক উঠেছে। চলমান এ বিতর্কের মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছে কংগ্রেস।

দলটির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধী ‘উড়ন্ত চুমু’ দিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু সেই চুমুর ‘লক্ষ্য’ বিজেপির এমপি এবং বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ছিলেন না।

প্রসঙ্গত, বুধবার লোকসভার অধিবেশনে মণিপুর রাজ্যের অস্থিরতা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে সমালোচনায় বিদ্ধ করেন রাহুল গান্ধী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তিনি রামায়নের খলনায়ক রাবণের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘বিজেপি মণিপুরকে খণ্ডিত করে ভারতমাতাকে খুন করেছে!’

রাহুলের পর ভাষণ দিতে ওঠেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তার বক্তৃতা চলাকালে রাহুল সভাকক্ষ ত্যাগ করেন। নিজ বক্তব্যে স্মৃতি অভিযোগ করেন, সভা ছেড়ে যাওয়ার আগে রাহুল তাদের দিকে উড়ন্ত চুমু বা ‘ফ্লাইং কিস’ ছুড়ে দিয়েছেন।

বক্তব্যে রাহুলের বা পরিবারের রুচি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্মৃতি; সেই সঙ্গে রাহুলকে ‘নারীবিদ্বেষী’ আখ্যা দিয়ে বলেন, এমন আচরণ সংসদে আগে কখনো দেখা যায়নি।

বিজেপির অপর নেত্রী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি প্রতিমন্ত্রী শোভা করণদাজে বার্তাসংস্থা এনডিটিভিকে জানিয়েছেন— ইতোমধ্যে লোকসভার স্পিকার বরাবর লিখিতভাবে রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন তারা।

রাহুল গান্ধীর উড়ন্ত চুমু সংসদ টিভির সম্প্রচারে অবশ্য ধরা পড়েনি। সভাকক্ষে উপস্থিত কেউ কেউ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সভাকক্ষ ছেড়ে যাওয়ার সময় রাহুলের হাত থেকে কিছু কাগজপত্র পড়ে যায়। সেই সময় সরকার পক্ষের কোনো কোনো সদস্য হাসাহাসি করতে থাকেন। টিপ্পনী কাটতে থাকেন। সেই কাগজপত্র তোলার সময় তিনি ট্রেজারি বেঞ্চের দিকে উড়ন্ত চুমু দেওয়ার মতো ভঙ্গি করেন।

কংগ্রেসের ওই মুখপাত্র এনডিটিভিকে বলেন, ‘আজ (বুধবার) ট্রেজারি বেঞ্চে যারা বসেছিলেন, তাদেরক অনেকের সঙ্গেই রাহুল গান্ধীর ভাই-বোনের মতো সম্পর্ক। তিনি কোনো বিশেষ এমপির দিকে উড়ন্ত চুমু দেননি। বিশেষ করে স্মৃতি ইরানির উদ্দেশে তো একেবারেই নয়।’

উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধীর উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনী আসন আমেথিতে স্মৃতি ইরানির কাছেই হেরে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী।

সূত্র : এনডিটিভি

বিজনেস আওয়ার/০৯ আগস্ট, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: