ঢাকা , সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদেশি কূটনীতিকরা একটু আগ বাড়িয়ে কথা বলেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • পোস্ট হয়েছে : ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩
  • 162

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকরা একটু আগ বাড়িয়ে কথা বলেন, অন্য কোনো দেশে এভাবে বলেন না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মতবিনিময়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা কী নির্দেশনা দিয়েছেন, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘একটা হচ্ছে আগামী দিনে আমরা কীভাবে কূটনীতিকদের ম্যানেজ করবো, তারা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলেছেন, ১৪ জন কংগ্রেসম্যান চিঠি লিখেছেন। সেখানে তারা বলেছেন, বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এত বেশি নির্যাতিত হয়েছেন যে গত ১০ বছরে তাদের সংখ্যা অর্ধেক কমে গেছে। এর ওপর একটি সেমিনার করতে বলেছেন। সেই সেমিনারে আসল তথ্য তুলে ধরা উচিত।’

কূটনীতিকদের কীভাবে ম্যানেজ করতে বলেছেন- প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বিদেশি কূটনীতিকরা একটু আগ বাড়িয়ে কথা বলেন। অন্য কোনো দেশে এভাবে বলেন না। আলোচনায় যেসব কূটনীতিক ছিলেন, তারা বলেছেন যে আমরা তো বহু বছর বিদেশে চাকরি করেছি, কিন্তু বাংলাদেশের মতো এমন অবস্থা কোথাও দেখিনি।’

ড. এ কে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে ঐতিহাসিকভাবে এটা হয়ে আসছে, এ জন্য বিভিন্ন মহল দায়ী। তবে এই সংস্কৃতি একদিনে পরিবর্তন করা হয়তো সম্ভব হবে না। কিন্তু আমি মনে করি, এখন সময় হয়েছে। এরপর একটা সেমিনার করবো।’

আগামী সপ্তাহে দুই মার্কিন কংগ্রেসম্যান বাংলাদেশ সফরে আসছেন। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ৫০ বছর পূর্তি উৎসবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন খুব আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক, খুবই শক্তিশালী সম্পর্ক করতে চান তিনি। তখন তিনি বলেছেন যে বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতি। এশিয়ান টাইগার।

আব্দুল মোমেন জানান, ‘এছাড়াও বাংলাদেশে একটি বড় ইস্যু রোহিঙ্গা। ওই দুজন আসছেন মূলত রোহিঙ্গাদের বিষয়টি দেখার জন্য। রোহিঙ্গাদের আগে ১২ ডলার সহায়তা দেওয়া হতো, এখন কমিয়ে আট ডলার করা হয়েছে।’

‘আর রোহিঙ্গা ইস্যুতে সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র। তারা (দুই কংগ্রেসম্যান) একটি অনুমোদন কমিটির সদস্য, তারাই টাকা অনুমোদন করেন। এখন এসে দেখবেন, আরও অর্থের দরকার আছে কি না, বাড়ানোর প্রয়োজন কি না। কেন কমলো? আর যে টাকা দেন, সেটির কতটা ব্যবহার হচ্ছে। এসব যাচাই-বাছাই করবেন। তারা তো আমাদের টাকা দেন না, দেন ‘ইউনিসেফকে’,।

বিজনেস আওয়ার/১০ আগস্ট, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বিদেশি কূটনীতিকরা একটু আগ বাড়িয়ে কথা বলেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পোস্ট হয়েছে : ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকরা একটু আগ বাড়িয়ে কথা বলেন, অন্য কোনো দেশে এভাবে বলেন না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মতবিনিময়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা কী নির্দেশনা দিয়েছেন, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘একটা হচ্ছে আগামী দিনে আমরা কীভাবে কূটনীতিকদের ম্যানেজ করবো, তারা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলেছেন, ১৪ জন কংগ্রেসম্যান চিঠি লিখেছেন। সেখানে তারা বলেছেন, বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এত বেশি নির্যাতিত হয়েছেন যে গত ১০ বছরে তাদের সংখ্যা অর্ধেক কমে গেছে। এর ওপর একটি সেমিনার করতে বলেছেন। সেই সেমিনারে আসল তথ্য তুলে ধরা উচিত।’

কূটনীতিকদের কীভাবে ম্যানেজ করতে বলেছেন- প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বিদেশি কূটনীতিকরা একটু আগ বাড়িয়ে কথা বলেন। অন্য কোনো দেশে এভাবে বলেন না। আলোচনায় যেসব কূটনীতিক ছিলেন, তারা বলেছেন যে আমরা তো বহু বছর বিদেশে চাকরি করেছি, কিন্তু বাংলাদেশের মতো এমন অবস্থা কোথাও দেখিনি।’

ড. এ কে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে ঐতিহাসিকভাবে এটা হয়ে আসছে, এ জন্য বিভিন্ন মহল দায়ী। তবে এই সংস্কৃতি একদিনে পরিবর্তন করা হয়তো সম্ভব হবে না। কিন্তু আমি মনে করি, এখন সময় হয়েছে। এরপর একটা সেমিনার করবো।’

আগামী সপ্তাহে দুই মার্কিন কংগ্রেসম্যান বাংলাদেশ সফরে আসছেন। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ৫০ বছর পূর্তি উৎসবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন খুব আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক, খুবই শক্তিশালী সম্পর্ক করতে চান তিনি। তখন তিনি বলেছেন যে বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতি। এশিয়ান টাইগার।

আব্দুল মোমেন জানান, ‘এছাড়াও বাংলাদেশে একটি বড় ইস্যু রোহিঙ্গা। ওই দুজন আসছেন মূলত রোহিঙ্গাদের বিষয়টি দেখার জন্য। রোহিঙ্গাদের আগে ১২ ডলার সহায়তা দেওয়া হতো, এখন কমিয়ে আট ডলার করা হয়েছে।’

‘আর রোহিঙ্গা ইস্যুতে সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র। তারা (দুই কংগ্রেসম্যান) একটি অনুমোদন কমিটির সদস্য, তারাই টাকা অনুমোদন করেন। এখন এসে দেখবেন, আরও অর্থের দরকার আছে কি না, বাড়ানোর প্রয়োজন কি না। কেন কমলো? আর যে টাকা দেন, সেটির কতটা ব্যবহার হচ্ছে। এসব যাচাই-বাছাই করবেন। তারা তো আমাদের টাকা দেন না, দেন ‘ইউনিসেফকে’,।

বিজনেস আওয়ার/১০ আগস্ট, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: