ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গিলা-কলিজার চাহিদা বেড়েছে মুরগির বাজারে

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অগাস্ট ২০২৩
  • 156

শাহিন শুভ : দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রভাব পড়েছে মুরগির বাজারেও। আগের তুলনায় সব ধরনের মুরগির দামই এখন বাড়তি। মাংসের চাহিদা পূরণে নিম্ন আয়ের মানুষের একমাত্র ভরসা এখন ব্রয়লার মুরগি। কিন্তু দাম বাড়ার কারণে যারা ব্রয়লারও কিনতে পারছেন না তারাই এখন দোকানে এসে খুঁজছেন মুরগির গিলা, কলিজা, পা ও মাথা।

বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। অন্যদিকে মুরগির গিলা কলিজা পা মাথা একসঙ্গে করে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় রাজধানীর বাজারগুলোতে ক্রেতাদের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

বাজারে যেমন ব্রয়লার, সোনালি, কক, লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে তেমনি নিম্ন আয়ের মানুষের অনেকেই দোকানে এসে খুঁজছে মুরগির গিলা কলিজা জাতীয় মাংস। কিন্তু শুক্রবার অন্যান্য ক্রেতার চাপ হওয়ায় সকাল সকাল এসব গিলা, কলিজা, পা, মাথা দোকানে সাজাতে পারেনি বিক্রেতারা।

বিক্রেতারা জানান, নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে মুরগির গিলা, কলিজা, পা, মাথা কেনার চাহিদা অনেক। তারা মূলত বেশিরভাগ দিন এসব কিনে। আসলে সব ধরনের মুরগির দাম বাড়তি হওয়ায় অনেকেই যারা কিনতে পারে না, তারাই মূলত এসব কিনে নেয়। গিলা কলিজা পা মাথার দাম কিছুদিন আগেও আরও বেশি ছিল। তবে এখন এগুলো আমরা ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি করি।

গিলা কলিজা কিনতে এসে ক্রেতারা জানান, মুরগি, মাছের যে দাম তাতে করে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের সব সময় কিনে খাওয়ার সামর্থ্য হয় না। তাই মাঝে মধ্যে এসব গিলা, কলিজা, পা, মাথা কিনে নিয়ে যাই। অনেক ক্রেতাই আছে যারা বাজারে এসে মুরগি কিনতে না পেরে এসব কিনে নিয়ে যায়।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি। লেয়ার ও কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকায়। এছাড়া দেশি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়। অন্যদিকে বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকায় আর খাসির মাংস মানভেদে ১০০০ থেকে ১১০০ টাকায়।

বিজনেস আওয়ার/ ১১ আগস্ট, ২০২৩/এসএস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

গিলা-কলিজার চাহিদা বেড়েছে মুরগির বাজারে

পোস্ট হয়েছে : ০৪:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অগাস্ট ২০২৩

শাহিন শুভ : দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রভাব পড়েছে মুরগির বাজারেও। আগের তুলনায় সব ধরনের মুরগির দামই এখন বাড়তি। মাংসের চাহিদা পূরণে নিম্ন আয়ের মানুষের একমাত্র ভরসা এখন ব্রয়লার মুরগি। কিন্তু দাম বাড়ার কারণে যারা ব্রয়লারও কিনতে পারছেন না তারাই এখন দোকানে এসে খুঁজছেন মুরগির গিলা, কলিজা, পা ও মাথা।

বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। অন্যদিকে মুরগির গিলা কলিজা পা মাথা একসঙ্গে করে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় রাজধানীর বাজারগুলোতে ক্রেতাদের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

বাজারে যেমন ব্রয়লার, সোনালি, কক, লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে তেমনি নিম্ন আয়ের মানুষের অনেকেই দোকানে এসে খুঁজছে মুরগির গিলা কলিজা জাতীয় মাংস। কিন্তু শুক্রবার অন্যান্য ক্রেতার চাপ হওয়ায় সকাল সকাল এসব গিলা, কলিজা, পা, মাথা দোকানে সাজাতে পারেনি বিক্রেতারা।

বিক্রেতারা জানান, নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে মুরগির গিলা, কলিজা, পা, মাথা কেনার চাহিদা অনেক। তারা মূলত বেশিরভাগ দিন এসব কিনে। আসলে সব ধরনের মুরগির দাম বাড়তি হওয়ায় অনেকেই যারা কিনতে পারে না, তারাই মূলত এসব কিনে নেয়। গিলা কলিজা পা মাথার দাম কিছুদিন আগেও আরও বেশি ছিল। তবে এখন এগুলো আমরা ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি করি।

গিলা কলিজা কিনতে এসে ক্রেতারা জানান, মুরগি, মাছের যে দাম তাতে করে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের সব সময় কিনে খাওয়ার সামর্থ্য হয় না। তাই মাঝে মধ্যে এসব গিলা, কলিজা, পা, মাথা কিনে নিয়ে যাই। অনেক ক্রেতাই আছে যারা বাজারে এসে মুরগি কিনতে না পেরে এসব কিনে নিয়ে যায়।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি। লেয়ার ও কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকায়। এছাড়া দেশি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়। অন্যদিকে বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকায় আর খাসির মাংস মানভেদে ১০০০ থেকে ১১০০ টাকায়।

বিজনেস আওয়ার/ ১১ আগস্ট, ২০২৩/এসএস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: