ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বল্পসময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুর্নজাগরনের ভিত গড়েছেন বঙ্গবন্ধু

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩
  • 85

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষে জাতির জনক ও সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিরলস কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ। আরও বলেন, স্বাধীন হবার পর স্বল্পসময়ে বঙ্গবন্ধু শক্ত হাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুর্নজাগরনের ভিত গড়েছেন।

রবিবার ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) মতিঝিলে নিজস্ব অফিসে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দোয়া মাহফিলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার নিহত পরিবারবর্গের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পাশাপাশি নিহতদের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। সভার শুরুতেই দেশ ও গনমানুষের লক্ষে বঙ্গবন্ধু হৃদয় স্পর্শ কর্ম ও তার ত্যাগ তুলে ধরেন সভার আহবায়ক ও সিএমএসএফের সদস্য এ কে এম নুরুল ফজল বুলবুল। সভার সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব এবং সিএমএসএফের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।

কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেন, স্বাধীনের পর মাত্র সাড়ে তিন বছর বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন। ওইস্বল্প সময়ে তিনি শক্ত হাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুর্নজাগরনের ভিত গড়ে তুলেছিলেন। তাঁর উন্নয়ন দর্শন ছিল মানবকেন্দ্রিকতা। অর্থাৎ উন্নয়ন হতে হবে মানুষকে কেন্দ্র করে, মানুষের দুঃখ লাঘবে এবং মানুষের কল্যাণে। বস্তুত দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই তাঁর লক্ষ্য ছিল। স্বাধীন পর তার কাজ কর্মে সবকিছুতে তার প্রমান দিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন সাহসি পদক্ষেপের প্রসংশা করে তিনি বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের গঠন ও উন্নয়নে সকল কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন জাতির জনক। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও নারী উন্নয়ন, পরিবেশ, মহাকাশ গবেষণা এবং সমুদ্র অধিকার সংক্রান্ত আইন।

সংবিধান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে প্রথমেই যেটা প্রয়োজন ছিল তা হলো রাষ্ট্রের গঠন ও পরিচালনা সংক্রান্ত মূল নীতিকাঠামো অর্থাৎ সংবিধান। এদিকে বঙ্গবন্ধু বিশেষ নজর দেন। এর ফলে বিজয়ের সাড়ে ১০ মাস মাথায় জাতিকে একটি স্বাধীনতার চেতনা-ভিত্তিক মানবকেন্দ্রিক সংবিধান উপহার দেন। সংবিধান ১৯৭২ সালের ৪ঠা নভেম্বর জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়। পরবর্তী ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭২ থেকে কার্যকর হয়। এরই আলোকে রাষ্ট্রগঠন ও রাষ্ট্রপরিচালনা ব্যবস্থার বিভিন্ন দিক ঢেলে সাজাতে শুরু করেন। দ্রুত রাষ্ট্র কাঠামো ও পরিচালনা ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। একই সাথে সমৃদ্ধ হতে থাকে।

ভারত ও ভুটান বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল শুরুতেই জানিয়ে তিনি বলেন, তাই স্বাধীনের পর অত্যন্ত জরুরি ছিল যে যত দ্রুত সম্ভব অন্যান্য দেশের, বিশেষ করে প্রভাবশালী দেশগুলো স্বীকৃতি এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সদস্যপদ লাভ করতে হবে। এদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর পাহাড়সম ব্যক্তিত্ব স্বীকৃতি পাওয়ার অনুকূলে কাজ করে। তাই দেখা যায়, বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় অর্থাৎ যে দেশ এগিয়ে চলেছে। একারনে সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশসহ ১১৬টি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।

আরও বলেন, ১৯৭৪ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ১৩৬তম সদস্য হিসেবে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। ওইবছর ২৫শে সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে প্রথম ভাষণ দেন। মাতৃভাষার প্রতি গভীর সম্মান রেখে তিনি তাঁর বক্তব্য বাংলায় উপস্থাপন করেন। জাতিসংঘ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর সময় বাংলাদেশ আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, আইএলও, আন্তঃসংসদীয় ইউনিয়ন, ইউনেস্কোসহ ২৭টি আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে। সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়।

অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে যোগাযোগ অবকাঠামোতে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা অপরিসীম জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের বিধ্বস্ত সড়ক, রেল ও নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং বিদ্যুৎসহ অন্যান্য অবকাঠামো পুনর্বাসনে মনোযোগ দেন বঙ্গবন্ধু। দ্রুতই এগুলো মেরামত, পুনর্বাসন ও পুনঃনির্মাণের ব্যবস্থা করা হয় উল্লেখযোগ্য অর্থ বরাদ্দ এবং গৃহীত প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে। এর ফলে তিন বছরের মধ্যে সড়ক পথে মানুষের চলাচল এবং উপকরণ ও পণ্য পরিবহনে দৃশ্যমান ব্যাপক উন্নতি হয়। রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাও অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। নৌপরিবহন ব্যবস্থায় স্বস্তিদায়ক উন্নতি হয়। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালনে পরিকল্পিতভাবে বিনিয়োগ নিশ্চিত করে দ্রুত যথেষ্ট উন্নয়ন সাধন করা হয়। অবশ্য দেশের সর্বত্র প্রয়োজনীয় সবকিছু যথাযথভাবে সম্পন্ন করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার ছিল, তবে অগ্রগতি অব্যাহত থাকে।

অনুষ্ঠানে সিএমএসএফ, ব্যবস্থাপনা কমিটির, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি),ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন ।

উল্লেখ্য ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসায় সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন। সেদিন তিনি ছাড়াও নিহত হন তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব। এছাড়া তাদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনসহ নিহত হন আরো ১৬ জন। নিহত হন বঙ্গবন্ধুর ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু পুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধু সুলতানা কামাল, পুত্রবধু রোজী কামাল, ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগনে শেখ ফজলুল হক মণি, শেখ ফজলুল হক মণির অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি, কর্নেল জামিলউদ্দীন। দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট মেয়ে শেখ রেহানা।

বিজনেস আওয়ার/১৩ আগস্ট, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সর্বাধিক পঠিত

স্বল্পসময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুর্নজাগরনের ভিত গড়েছেন বঙ্গবন্ধু

পোস্ট হয়েছে : ১০:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষে জাতির জনক ও সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিরলস কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ। আরও বলেন, স্বাধীন হবার পর স্বল্পসময়ে বঙ্গবন্ধু শক্ত হাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুর্নজাগরনের ভিত গড়েছেন।

রবিবার ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) মতিঝিলে নিজস্ব অফিসে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দোয়া মাহফিলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার নিহত পরিবারবর্গের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পাশাপাশি নিহতদের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। সভার শুরুতেই দেশ ও গনমানুষের লক্ষে বঙ্গবন্ধু হৃদয় স্পর্শ কর্ম ও তার ত্যাগ তুলে ধরেন সভার আহবায়ক ও সিএমএসএফের সদস্য এ কে এম নুরুল ফজল বুলবুল। সভার সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব এবং সিএমএসএফের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।

কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেন, স্বাধীনের পর মাত্র সাড়ে তিন বছর বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন। ওইস্বল্প সময়ে তিনি শক্ত হাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুর্নজাগরনের ভিত গড়ে তুলেছিলেন। তাঁর উন্নয়ন দর্শন ছিল মানবকেন্দ্রিকতা। অর্থাৎ উন্নয়ন হতে হবে মানুষকে কেন্দ্র করে, মানুষের দুঃখ লাঘবে এবং মানুষের কল্যাণে। বস্তুত দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই তাঁর লক্ষ্য ছিল। স্বাধীন পর তার কাজ কর্মে সবকিছুতে তার প্রমান দিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন সাহসি পদক্ষেপের প্রসংশা করে তিনি বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের গঠন ও উন্নয়নে সকল কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন জাতির জনক। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও নারী উন্নয়ন, পরিবেশ, মহাকাশ গবেষণা এবং সমুদ্র অধিকার সংক্রান্ত আইন।

সংবিধান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে প্রথমেই যেটা প্রয়োজন ছিল তা হলো রাষ্ট্রের গঠন ও পরিচালনা সংক্রান্ত মূল নীতিকাঠামো অর্থাৎ সংবিধান। এদিকে বঙ্গবন্ধু বিশেষ নজর দেন। এর ফলে বিজয়ের সাড়ে ১০ মাস মাথায় জাতিকে একটি স্বাধীনতার চেতনা-ভিত্তিক মানবকেন্দ্রিক সংবিধান উপহার দেন। সংবিধান ১৯৭২ সালের ৪ঠা নভেম্বর জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়। পরবর্তী ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭২ থেকে কার্যকর হয়। এরই আলোকে রাষ্ট্রগঠন ও রাষ্ট্রপরিচালনা ব্যবস্থার বিভিন্ন দিক ঢেলে সাজাতে শুরু করেন। দ্রুত রাষ্ট্র কাঠামো ও পরিচালনা ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। একই সাথে সমৃদ্ধ হতে থাকে।

ভারত ও ভুটান বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল শুরুতেই জানিয়ে তিনি বলেন, তাই স্বাধীনের পর অত্যন্ত জরুরি ছিল যে যত দ্রুত সম্ভব অন্যান্য দেশের, বিশেষ করে প্রভাবশালী দেশগুলো স্বীকৃতি এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সদস্যপদ লাভ করতে হবে। এদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর পাহাড়সম ব্যক্তিত্ব স্বীকৃতি পাওয়ার অনুকূলে কাজ করে। তাই দেখা যায়, বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় অর্থাৎ যে দেশ এগিয়ে চলেছে। একারনে সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশসহ ১১৬টি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।

আরও বলেন, ১৯৭৪ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ১৩৬তম সদস্য হিসেবে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। ওইবছর ২৫শে সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে প্রথম ভাষণ দেন। মাতৃভাষার প্রতি গভীর সম্মান রেখে তিনি তাঁর বক্তব্য বাংলায় উপস্থাপন করেন। জাতিসংঘ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর সময় বাংলাদেশ আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, আইএলও, আন্তঃসংসদীয় ইউনিয়ন, ইউনেস্কোসহ ২৭টি আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে। সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়।

অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে যোগাযোগ অবকাঠামোতে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা অপরিসীম জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের বিধ্বস্ত সড়ক, রেল ও নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং বিদ্যুৎসহ অন্যান্য অবকাঠামো পুনর্বাসনে মনোযোগ দেন বঙ্গবন্ধু। দ্রুতই এগুলো মেরামত, পুনর্বাসন ও পুনঃনির্মাণের ব্যবস্থা করা হয় উল্লেখযোগ্য অর্থ বরাদ্দ এবং গৃহীত প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে। এর ফলে তিন বছরের মধ্যে সড়ক পথে মানুষের চলাচল এবং উপকরণ ও পণ্য পরিবহনে দৃশ্যমান ব্যাপক উন্নতি হয়। রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাও অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। নৌপরিবহন ব্যবস্থায় স্বস্তিদায়ক উন্নতি হয়। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালনে পরিকল্পিতভাবে বিনিয়োগ নিশ্চিত করে দ্রুত যথেষ্ট উন্নয়ন সাধন করা হয়। অবশ্য দেশের সর্বত্র প্রয়োজনীয় সবকিছু যথাযথভাবে সম্পন্ন করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার ছিল, তবে অগ্রগতি অব্যাহত থাকে।

অনুষ্ঠানে সিএমএসএফ, ব্যবস্থাপনা কমিটির, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি),ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন ।

উল্লেখ্য ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসায় সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন। সেদিন তিনি ছাড়াও নিহত হন তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব। এছাড়া তাদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনসহ নিহত হন আরো ১৬ জন। নিহত হন বঙ্গবন্ধুর ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু পুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধু সুলতানা কামাল, পুত্রবধু রোজী কামাল, ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগনে শেখ ফজলুল হক মণি, শেখ ফজলুল হক মণির অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি, কর্নেল জামিলউদ্দীন। দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট মেয়ে শেখ রেহানা।

বিজনেস আওয়ার/১৩ আগস্ট, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: