ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপাচার্যের বাসভবনের সামনে কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রীদের অবস্থান

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩
  • 67

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ১টা থেকে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা সিটের দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন।

এদিকে অবস্থান কর্মসূচি শুরুর পর দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন আবাসিক শিক্ষক মনিরা পারভীন ও সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা দাবি না আদায় পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন। পরবর্তীতে বেলা তিনটার কিছু আগে তিনজনের একটি প্রতিনিধিদল হলের প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে যান।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, আমাদের হলে আবাসন সমস্যা, বাসের সংকট, খাবারের মান খারাপ, ওয়াশরুম সমস্যাসহ অনেক সমস্যা রয়েছে। আমরা শুধু চাই ৩০০ শিক্ষার্থীকে অন্যান্য হলে স্থানান্তরিত করা হোক। প্রতি বছর প্রায় ৩৫০ জন শিক্ষার্থীকে হলে আসন দেয়া হয়। কিন্তু আমাদের সর্বোচ্চ সাড়ে পাঁচশত আসন রয়েছে।

ছাত্রীরা জানায়, কুয়েত মৈত্রী হলের মূল ভবনে বৈধ আসনের কক্ষের সংখ্যা ৮৯টি৷ ৫৭টি কক্ষে বর্তমানে সাতজন করে আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩১টি কক্ষে ছয়জন করে শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন। একইসঙ্গে মূল ভবনে এক কক্ষে সাতজন করে শিক্ষার্থী বরাদ্দ দেওয়ায় সেখানে বসবাসের অযোগ্য পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা আবাসন সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু কোনও কাজ হচ্ছিল না। বাধ্য হয়ে আজকে রাস্তায় নামতে হয়েছে। এখানে সবার আর্থিক অবস্থা ভালো না, এমনকি আমাদের অধিকাংশের ঢাকায় আত্মীয়র বাসাও নেই। তাই আমাদের বাধ্য হয়ে হলে থাকতে হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, অন্য হলের মেয়েরা যেখানে প্রথম ছয় মাসেই সিট পেয়ে যাচ্ছে সেখানে চতুর্থ বর্ষে এসেও এই হলে মেয়েরা সিট পাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অসংখ্যবার এসব সমস্যার কথা জানানো হলেও তারা শুধু আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে মৈত্রী হলের হাউজ টিউটর মনিরা পারভীন বলেন, অনেক শিক্ষার্থী প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসে। এর ফলে তাদের বাইরে থাকার জায়গা না থাকায় গণরুমেই থেকে যায়। আমরাও জানি সেখানে থাকা সম্ভব না। কিন্তু, আমাদের বাধ্য হয়ে সেটা মেনে নিতে হয়। এছাড়া প্রতি রুমে ৬ জনের জায়গায় ৭ জন করে দিয়েছি তবুও জায়গা হচ্ছে না। নতুন ভবন নির্মাণের কথা প্রশাসনকে জানিয়েছি। আর সেটা না হলে যেন কম শিক্ষার্থী বরাদ্দ দেওয়া হয়।

বিজনেস আওয়ার/১৪ আগস্ট, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

উপাচার্যের বাসভবনের সামনে কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রীদের অবস্থান

পোস্ট হয়েছে : ০৫:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ১টা থেকে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা সিটের দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন।

এদিকে অবস্থান কর্মসূচি শুরুর পর দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন আবাসিক শিক্ষক মনিরা পারভীন ও সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা দাবি না আদায় পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন। পরবর্তীতে বেলা তিনটার কিছু আগে তিনজনের একটি প্রতিনিধিদল হলের প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে যান।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, আমাদের হলে আবাসন সমস্যা, বাসের সংকট, খাবারের মান খারাপ, ওয়াশরুম সমস্যাসহ অনেক সমস্যা রয়েছে। আমরা শুধু চাই ৩০০ শিক্ষার্থীকে অন্যান্য হলে স্থানান্তরিত করা হোক। প্রতি বছর প্রায় ৩৫০ জন শিক্ষার্থীকে হলে আসন দেয়া হয়। কিন্তু আমাদের সর্বোচ্চ সাড়ে পাঁচশত আসন রয়েছে।

ছাত্রীরা জানায়, কুয়েত মৈত্রী হলের মূল ভবনে বৈধ আসনের কক্ষের সংখ্যা ৮৯টি৷ ৫৭টি কক্ষে বর্তমানে সাতজন করে আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩১টি কক্ষে ছয়জন করে শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন। একইসঙ্গে মূল ভবনে এক কক্ষে সাতজন করে শিক্ষার্থী বরাদ্দ দেওয়ায় সেখানে বসবাসের অযোগ্য পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা আবাসন সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু কোনও কাজ হচ্ছিল না। বাধ্য হয়ে আজকে রাস্তায় নামতে হয়েছে। এখানে সবার আর্থিক অবস্থা ভালো না, এমনকি আমাদের অধিকাংশের ঢাকায় আত্মীয়র বাসাও নেই। তাই আমাদের বাধ্য হয়ে হলে থাকতে হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, অন্য হলের মেয়েরা যেখানে প্রথম ছয় মাসেই সিট পেয়ে যাচ্ছে সেখানে চতুর্থ বর্ষে এসেও এই হলে মেয়েরা সিট পাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অসংখ্যবার এসব সমস্যার কথা জানানো হলেও তারা শুধু আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে মৈত্রী হলের হাউজ টিউটর মনিরা পারভীন বলেন, অনেক শিক্ষার্থী প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসে। এর ফলে তাদের বাইরে থাকার জায়গা না থাকায় গণরুমেই থেকে যায়। আমরাও জানি সেখানে থাকা সম্ভব না। কিন্তু, আমাদের বাধ্য হয়ে সেটা মেনে নিতে হয়। এছাড়া প্রতি রুমে ৬ জনের জায়গায় ৭ জন করে দিয়েছি তবুও জায়গা হচ্ছে না। নতুন ভবন নির্মাণের কথা প্রশাসনকে জানিয়েছি। আর সেটা না হলে যেন কম শিক্ষার্থী বরাদ্দ দেওয়া হয়।

বিজনেস আওয়ার/১৪ আগস্ট, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: