ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ‘প্র্যাকটিক্যাল রোডম্যাপ’ প্রণয়ন করুন: শেখ হাসিনা

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • 44

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতিসংঘকে প্র্যাকটিক্যাল রোডম্যাপ প্রণয়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় ভোর রাতে নিউইর্য়কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে সংস্থাটির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি উচ্চ পর্যায়ের সভায় ভার্চুয়ালি দেওয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘকে সঠিক পথে নিতে এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি বিশ্বাসযোগ্য ও ব্যবহারিক রোডম্যাপ প্রণয়ন করা উচিত। ইতিহাসে আমরা বার বার দেখেছি সভ্যতার গতিপথ পরিবর্তনের জন্য মানুষ বার বার ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ‘ইউএন@৭৫’ সেই রকমই একটা সময়। আসুন পরিবর্তনের জন্য এই মহূর্তকে ধরা যাক।

ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্ধিতার মাধ্যমে জাতিসংঘকে দূর্বল না করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে জাতিসংঘকে দূর্বল করতে দেওয়া যাবে না। সার্বিক মানব কল্যাণের জন্য ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য জাতিসংঘকে সত্যিকারের কার্যকর একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে গড়তে হবে।

করোনা মহামারির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারি ২০৩০ এজেন্ডা অর্জনকে আরও কঠিন করে দিয়েছে। চলমান মহামারিসহ বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জগুলো সীমানা ছাড়িয়ে গেছে। একই সঙ্গে উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয় দেশগুলোরই জাতিসংঘকে আগের চেয়ে বেশি প্রয়োজন এবং এগিয়ে যেতে প্রয়োজন বহুপাক্ষিকতা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের নেতৃত্বে পরিচালিত বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমে অনেক উপকৃত হয়েছে। তাই বাংলাদেশ জাতিসংঘের কাছে ঋণী। শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবদান এবং বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বাংলাদেশের ১৫০ শান্তিরক্ষী নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতিসংঘের ৭৫তম বার্ষিকী প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতিসংঘের ৭৫তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী কাকতালীয় মিলে যাওয়া বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- ভবিষ্যতের জন্য জাতিসংঘ মানুষের আশার কেন্দ্রবিন্দু। এটি বাংলাদেশকে জাতিসংঘ এবং বহুপাক্ষিকতার প্রতি আত্মবিশ্বাসী করেছে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন যে, জাতিসংঘ ভবিষ্যতে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে। এটা জাতিসংঘ ও বহুপাক্ষিকতার ওপর বাংলাদেশের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রমাণ। অক্লান্ত প্রচেষ্টা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার জন্য আমি জাতিসংঘের সকল কর্মকর্তা ও সংস্থার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

বিজনেস আওয়ার/২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ‘প্র্যাকটিক্যাল রোডম্যাপ’ প্রণয়ন করুন: শেখ হাসিনা

পোস্ট হয়েছে : ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতিসংঘকে প্র্যাকটিক্যাল রোডম্যাপ প্রণয়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় ভোর রাতে নিউইর্য়কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে সংস্থাটির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি উচ্চ পর্যায়ের সভায় ভার্চুয়ালি দেওয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘকে সঠিক পথে নিতে এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি বিশ্বাসযোগ্য ও ব্যবহারিক রোডম্যাপ প্রণয়ন করা উচিত। ইতিহাসে আমরা বার বার দেখেছি সভ্যতার গতিপথ পরিবর্তনের জন্য মানুষ বার বার ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ‘ইউএন@৭৫’ সেই রকমই একটা সময়। আসুন পরিবর্তনের জন্য এই মহূর্তকে ধরা যাক।

ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্ধিতার মাধ্যমে জাতিসংঘকে দূর্বল না করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে জাতিসংঘকে দূর্বল করতে দেওয়া যাবে না। সার্বিক মানব কল্যাণের জন্য ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য জাতিসংঘকে সত্যিকারের কার্যকর একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে গড়তে হবে।

করোনা মহামারির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারি ২০৩০ এজেন্ডা অর্জনকে আরও কঠিন করে দিয়েছে। চলমান মহামারিসহ বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জগুলো সীমানা ছাড়িয়ে গেছে। একই সঙ্গে উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয় দেশগুলোরই জাতিসংঘকে আগের চেয়ে বেশি প্রয়োজন এবং এগিয়ে যেতে প্রয়োজন বহুপাক্ষিকতা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের নেতৃত্বে পরিচালিত বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমে অনেক উপকৃত হয়েছে। তাই বাংলাদেশ জাতিসংঘের কাছে ঋণী। শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবদান এবং বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বাংলাদেশের ১৫০ শান্তিরক্ষী নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতিসংঘের ৭৫তম বার্ষিকী প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতিসংঘের ৭৫তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী কাকতালীয় মিলে যাওয়া বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- ভবিষ্যতের জন্য জাতিসংঘ মানুষের আশার কেন্দ্রবিন্দু। এটি বাংলাদেশকে জাতিসংঘ এবং বহুপাক্ষিকতার প্রতি আত্মবিশ্বাসী করেছে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন যে, জাতিসংঘ ভবিষ্যতে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে। এটা জাতিসংঘ ও বহুপাক্ষিকতার ওপর বাংলাদেশের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রমাণ। অক্লান্ত প্রচেষ্টা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার জন্য আমি জাতিসংঘের সকল কর্মকর্তা ও সংস্থার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

বিজনেস আওয়ার/২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: