ঢাকা , শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি ও গণতন্ত্র একে অপরের পরিপূরক: আমীর খসরু

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি ও গণতন্ত্র একে অপরের পরিপূরক। একটা ছাড়া আরেকটা চলতে পারে না। গণতন্ত্র বিএনপিকে ছাড়া চলতে পারে না। বিএনপি গণতন্ত্রকে ছাড়া চলতে পারে না।

তিনি বলেন, এই গণতন্ত্রের জন্য খালেদা জিয়া বছরের পর বছর জেল খেটেছেন। তারেক রহমান দেশের বাইরে থেকে বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন, স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করেছেন। সুতরাং, গণতন্ত্র আর বিএনপিকে আলাদা করা যাবে না। সংগ্রাম এখনো চলছে, এই সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি।

আজ শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়া পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, গণতন্ত্রের বাহক হচ্ছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন, যেটার অপেক্ষায় আমরা আছি। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে বিলম্বিত করার জন্য এখনো গণতন্ত্র বিরোধীরা সক্রিয় আছে, এটা ভুললে চলবে না। আমাদের গণতন্ত্রের সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। এখনো গণতন্ত্র বিরোধীরা চক্রান্ত করছে। কীভাবে এই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা যায়, বিলম্বিত করা যায়- তারা চায় না বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরে আসুক। কারণ, গণতন্ত্র না থাকলে যাদের লাভ তারা গণতন্ত্র চাইবে না। কাদের লাভ সেটা তো আপনারা বুঝতেই পারছেন। সুতরাং এই যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে।

বিএনপি হেরে গেলে বাংলাদেশ হেরে যাবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যদি আমরা জিততে না পারি বাংলাদেশ হেরে যাবে, গণতন্ত্র হেরে যাবে, আমরা হেরে যাবো। সুতরাং এই যুদ্ধে জিততে হবে। ৭ নভেম্বরের চেতনায় যেভাবে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে জিয়াউর রহমান দেশকে মুক্ত করেছিলেন, ওই চেতনায় আমাদেরও বাংলাদেশকে মুক্ত করতে হবে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। স্বাধীনতার স্পিরিটে আমাদেরকে এই যুদ্ধে জয়লাভ করতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, একটি গোষ্ঠী একদিকে নির্বাচনের কথা বলছে, অন্যদিকে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। অগণতান্ত্রিক কার্যক্রমের মাধ্যমে জোর-জবরদস্তি করে দাবি আদায় করতে চাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ এটা গ্রহণ করেনি কোনো সময়।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমরা কারও মুখোমুখি হচ্ছি না, আমরা কিন্তু কোনো সাংঘর্ষিক রাজনীতিতে যাচ্ছি না। কারণ বিএনপি গণতন্ত্র বিশ্বাস করে। এজন্য আমরা অনেক কিছু গ্রহণ না করেও সহ্য করে যাচ্ছি গণতন্ত্রের স্বার্থে, বাংলাদেশের মানুষ স্বার্থে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলাতে হবে। শত সংস্কার করেও কোনো লাভ হবে না যদি রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন না হয়।

বিজনেস আওয়ার/ ২২ নভেম্বর / কাওছার

ট্যাগস

বিএনপি ও গণতন্ত্র একে অপরের পরিপূরক: আমীর খসরু

আপডেট সময় ২০ মিনিট আগে

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি ও গণতন্ত্র একে অপরের পরিপূরক। একটা ছাড়া আরেকটা চলতে পারে না। গণতন্ত্র বিএনপিকে ছাড়া চলতে পারে না। বিএনপি গণতন্ত্রকে ছাড়া চলতে পারে না।

তিনি বলেন, এই গণতন্ত্রের জন্য খালেদা জিয়া বছরের পর বছর জেল খেটেছেন। তারেক রহমান দেশের বাইরে থেকে বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন, স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করেছেন। সুতরাং, গণতন্ত্র আর বিএনপিকে আলাদা করা যাবে না। সংগ্রাম এখনো চলছে, এই সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি।

আজ শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়া পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, গণতন্ত্রের বাহক হচ্ছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন, যেটার অপেক্ষায় আমরা আছি। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে বিলম্বিত করার জন্য এখনো গণতন্ত্র বিরোধীরা সক্রিয় আছে, এটা ভুললে চলবে না। আমাদের গণতন্ত্রের সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। এখনো গণতন্ত্র বিরোধীরা চক্রান্ত করছে। কীভাবে এই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা যায়, বিলম্বিত করা যায়- তারা চায় না বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরে আসুক। কারণ, গণতন্ত্র না থাকলে যাদের লাভ তারা গণতন্ত্র চাইবে না। কাদের লাভ সেটা তো আপনারা বুঝতেই পারছেন। সুতরাং এই যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে।

বিএনপি হেরে গেলে বাংলাদেশ হেরে যাবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যদি আমরা জিততে না পারি বাংলাদেশ হেরে যাবে, গণতন্ত্র হেরে যাবে, আমরা হেরে যাবো। সুতরাং এই যুদ্ধে জিততে হবে। ৭ নভেম্বরের চেতনায় যেভাবে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে জিয়াউর রহমান দেশকে মুক্ত করেছিলেন, ওই চেতনায় আমাদেরও বাংলাদেশকে মুক্ত করতে হবে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। স্বাধীনতার স্পিরিটে আমাদেরকে এই যুদ্ধে জয়লাভ করতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, একটি গোষ্ঠী একদিকে নির্বাচনের কথা বলছে, অন্যদিকে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। অগণতান্ত্রিক কার্যক্রমের মাধ্যমে জোর-জবরদস্তি করে দাবি আদায় করতে চাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ এটা গ্রহণ করেনি কোনো সময়।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমরা কারও মুখোমুখি হচ্ছি না, আমরা কিন্তু কোনো সাংঘর্ষিক রাজনীতিতে যাচ্ছি না। কারণ বিএনপি গণতন্ত্র বিশ্বাস করে। এজন্য আমরা অনেক কিছু গ্রহণ না করেও সহ্য করে যাচ্ছি গণতন্ত্রের স্বার্থে, বাংলাদেশের মানুষ স্বার্থে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলাতে হবে। শত সংস্কার করেও কোনো লাভ হবে না যদি রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন না হয়।

বিজনেস আওয়ার/ ২২ নভেম্বর / কাওছার