বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং ও র্যাগিং প্রতিরোধ নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু এ নীতিমালা ঠিকমত বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এ নীতিমালা যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রোববার (২০ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সব দপ্তর ও বিভাগকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং ও র্যাগিং প্রতিরোধ সংক্রান্ত নীতিমালার প্রজ্ঞাপনের গেজেটের কপি পাঠানো হলো। এ নীতিমালা দেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য হবে। নীতিমালা বাস্তবায়ন ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হলো।
নির্দেশনাটি সব শিক্ষা বোর্ড, এনসিটিবি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ ও সব জেলা প্রশাসককে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে গত ২ মে জারি করা নীতিমালার গেজেটের কপিও পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়।
গত ২ মে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুলিং ও র্যাগিং প্রতিরোধ নীতিমালা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এটিকে বলা হচ্ছে ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুলিং ও র্যাগিং প্রতিরোধ সংক্রান্ত নীতিমালা-২০২৩। যা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
র্যাগিংয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার বিষয়ে নীতিমালায় বলা হয়েছে, বুলিং ও র্যাগিং এ কোনো শিক্ষক, অশিক্ষক অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীর প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন বা বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বুলিং ও র্যাগিংয়ে বোর্ড অব ট্রাস্টি ও গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির কোনো সভাপতি বা সদস্যদের সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিধি, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ফৌজদারি আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নীতিমালা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন প্রকার র্যাগিং, র্যাগিং প্রতিরোধ কমিটির গঠন ও কার্যপরিধি, র্যাগিং প্রতিরোধে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের করণীয়সহ নানা বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
বিজনেস আওয়ার/২০ আগস্ট, ২০২৩/এএইচএ