স্পোর্টস ডেস্ক: স্পেনের ফাইনালে ওঠা মানে শিরোপা জয়—সে ইতিহাস আবারও সত্য হলো। ২০১০ বিশ্বকাপে প্রথমবার ফাইনালে খেলেই স্প্যানিশদের সোনালি শিরোপার অপেক্ষা ঘুচিয়েছিলেন জাভি-ইনিয়েস্তেরা। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দেশটি যে চারবার ফাইনাল খেলেছে তাতেও তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ফাইনালে স্পেনের কাছে পরাস্ত হলো ইংল্যান্ড। আর তাতেই মেয়েদের বিশ্বকাপ পেল নতুন চ্যাম্পিয়ন।
২০২৩ নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় তুলে নিয়েছে স্পেনের মেয়েরা। সিডনির অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের ২৯তম মিনিটে জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেছেন স্পেনের অধিনায়ক ওলগা কারমোনা।
স্পেনের পুরুষ দলের প্রথমবার বিশ্বকাপ জেতার অভিজ্ঞতা হয়েছিল সেই ২০১০ সালে। তবে তুলনায় দেশটির নারী ফুটবল বেশ পিছিয়ে ছিল। ‘ছিল’ বলতে হচ্ছে, কারণ মাত্র দুই বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে এবারের আসরে অংশ নিয়েছিল স্পেনের মেয়েরা। অর্থাৎ মাত্র তৃতীয় প্রচেষ্টাতেই ফাইনালে উঠার পাশাপাশি শিরোপা উৎসব করল হোর্হে ভিলদার দল।
প্রথমবার ফাইনালে উঠার অভিজ্ঞতা এবারই হয়েছে ইংল্যান্ডেরও। কিন্তু আত্মবিশ্বাসী স্পেনের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি তারা। ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য দেখায় স্পেনের মেয়েরা। তবে প্রথম সুযোগ আসে ইংল্যান্ডের সামনে। ১৫ তম মিনিটে লরেন হ্যাম্পের শট বারে লেগে ফিরে আসে।
তবে এরপর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় স্পেনের দখলে। ১৮ তম মিনিটে আসে প্রথম সুযোগ। কিন্তু পারাল্লুয়েলার শট ঠেকিয়ে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক মার্টি ইয়ার্পস। এরপর ২৯তম মিনিটে জালের খোঁজ পেয়ে যায় স্পেন। দারুণ দক্ষতায় বল জালে জড়িয়ে স্পেনকে এগিয়ে দেন ওলগা কারমোনা।
এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও পারেনি ইংল্যান্ড। উল্টো বিরতির ঠিক আগে দারুণ একটি শট গোলবারে লাগলে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ হারায় স্পেন। দ্বিতীয়ার্ধেও স্পেনের আক্রমণাত্মক ফুটবলের জবাব দিতে পারেনি ইংলিশরা। কয়েকবার চেষ্টা করলেও স্পেনের জমাট রক্ষণ ভাঙতে পারেনি তারা।
তবে ইংল্যান্ডের গোলকিপার মেরি ইয়ারপস একবার পরাস্ত হলেও স্পেনের আক্রমণভাগের সামনে বাকি সময় দেয়াল হয়ে ছিলেন। এর মধ্যে একবার পেনাল্টি শটও ঠেকিয়ে দেন তিনি। বার্সেলোনার মিডফিল্ডার কেইরা ওয়ালশের হ্যান্ডবলের কারণে ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। এরপর স্পেনের জেনি হেরমোসো নেওয়া শট ব্যর্থ হয় ইংল্যান্ডের গোলকিপারের হাতে। কিন্তু বাকিদের কারণে তার সব প্রচেষ্টা বৃথা যায়।
নির্ধারিত সময়ের পর যোগ হয়েছিল আরও ১৩ মিনিট। কিন্তু তাতেও ভাগ্য খোলেনি ইংল্যান্ডের। উল্টো পাল্টা আক্রমণে ইংলিশদের রক্ষণভাবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্পেন। হতাশায় যোগ করা সময়ের ১৪তম মিনিটে রেফারি শেষ বাঁশি বাজাতেই হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা। অন্যদিকে প্রথমবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে তখন উদযাপনে মেতে উঠে স্পেন দল।
বিজনেস আওয়ার/২০ আগস্ট, ২০২৩/এএইচএ