বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট এই পাঁচ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারি কর্মচারী হিসেবে মানছে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ কারণে এসব ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব আয়ের ওপর করারোপ করা হচ্ছে। অতিরিক্ত আয়কর আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নোটিশও দিচ্ছে এনবিআরের সংশ্লিষ্ট সার্কেল।
সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতন, উৎসব ভাতা ও বোনাস ছাড়া বাকি সব ভাতা ও সুবিধা আয়করমুক্ত। তবে এই পাঁচটি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারি কর্মচারী হিসেবে না মানায় তাদের আয়ের উপর করারোপ করা হচ্ছে।
এই পাঁচ ব্যাংকে প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। তবে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ সমস্যায় পড়েননি। কৃষি ব্যাংকের কর্মচারীদের সরকারি কর্মচারী হিসেবে বিবেচনা করা হলেও অন্য পাঁচটি ব্যাংকের ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না।
এই সমস্যা সমাধানে এসব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা করলেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি। ফলে বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যক্তিগত যোগাযোগে অতিরিক্ত আয়কর দেওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছেন এসব ব্যাংকাররা। এসব ব্যাংকে আলোচনার প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এনবিআরের অতিরিক্ত আয়কর আদায়ের বিষয়টি।
জানা গেছে, কর অঞ্চলগুলো অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পে-স্কেল ২০১৫- এর প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী অতিরিক্ত আয়করের নোটিশ দিচ্ছে। এই প্রজ্ঞাপনে সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের নাম নেই। ওই সময়ে বেসামরিক প্রশাসন, স্বশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং বিচার বিভাগের জন্য পে-স্কেলের পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে ব্যাংক বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এসব ব্যাংককে অন্তর্ভুক্ত না করে স্বশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
বিজনেস আওয়ার/ ২২ আগস্ট,২০২৩/এসএস