বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ব্যবসায়ীদের শুধু ব্যবসা বাণিজ্যে নয়, রাজনীতিতে অংশীদারিত্ব আছে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আগামীতে পায়ে কুড়াল মারার মতো অবস্থা যেন তৈরি না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দেন। আরও বলেন, দেশে স্থিতিশীলতা না থাকলে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী উভয়ই ব্যর্থ হবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে আমদানি বিকল্প শিল্প : লাইট-ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরের দৃষ্টিকোণ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার।
আমাদের দেশে পলিসির ধারাবাহিকতা থাকে না জানিয়ে এম এ মান্নান বলেন, হুটহাট করে ও না বুঝেই অনেক পলিসি করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে হতে দেখেছি। একটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, ভুল হলেও তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার উদাহরণ রয়েছে।
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরী মন্তব্য করে তিনি বলেন, আপনারা ব্যবসা করেন। আমরাও ব্যবসা করি, সেটা হলো ভোটের ব্যবসা, রাজনীতির ব্যবসা। পলিসি স্থিতিশীলতা যেমন ব্যবসায়ীদের জন্য দরকার, আমরা যারা রাজনীতি করি তাদের জন্যও দরকার। দেশকে বাঁচানোর জন্য উচ্চ লক্ষ্য অর্জন করার জন্য আমাদের দেশে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার। আমি এখানে সংকীর্ণ রাজনীতি করছি না। আমাদের মধ্যে যদি স্থিতিশীলতা না থাকে, আমরা যদি একে অপরকে আঘাত করি, তাহলে আপনারা যেমন ব্যর্থ হবেন, আমরাও ব্যর্থ হবো। সঠিক ও সাহসী নেতৃত্বকে কাজে লাগাতে হবে। সার্বিকভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। ব্যবসায়ীদের শুধু ব্যবসা বাণিজ্যে নয়, রাজনীতিতে অংশীদারিত্ব আছে। আগামীতে পায়ে কুড়াল মারার মতো অবস্থা যেন তৈরি না হয়ে, সেদিকে দৃষ্টি রাখুন।
সরকার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে কোনো দূরত্ব নেই উক্তি করে তিনি বলেন, তবে দূরত্ব হয়ত মধ্যম ও ক্ষুদ্র পর্যায়ে থাকতে পারে। তবে উচ্চ পর্যায়ে কোনো দূরত্ব নেই। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সফরসঙ্গী হিসেবে এফবিসিসিআইয়ের নেতারা রয়েছেন। এ সরকার আমার ও আপনার সরকার। এর চেয়ে বেশি ব্যবসাবান্ধব সরকার আমি দেখি নাই। সবার সহযোগিতা আমরা এগিয়ে যাবো।
রপ্তানিতে প্রণোদনা দেওয়া এক ধরনের বিনিয়োগ মন্তব্য করে বিনিয়োগবাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোয়ার হোসেন বলেন, আগামীকাল থেকে ডলার দিতে পারবে এমন একটি ইন্ডাস্ট্রি হচ্ছে, দেশের অর্থপাচার ইন্ডাস্ট্রি। এটা যদি আপনি রোধ করতে পারেন, তাহলে বর্তমানে যে বৈদেশিক মুদ্রা আসছে, তার সঙ্গে প্রায় ২৫ ভাগ সহজে যোগ করা সম্ভব। ব্যবসায়ী ও সরকারের দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে। রপ্তানিতে প্রণোদনা দেওয়া এক ধরনের বিনিয়োগ। যেখান থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আসে। প্রণোদনা কোনো দান নয়, যারা নীতি নির্ধারক আছেন, তাদের সেটা বুঝতে হবে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে হবে। ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করতে হবে।
বিজনেস আওয়ার/ ২৪ আগস্ট,২০২৩/এমএজেড