ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওভারটাইমের চাপে চিকিৎসকের আত্মহত্যা

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩
  • 77

প্রতীকী ছবি

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক : পেশায় একজন সিটিজেন চিকিৎসক। বয়স মাত্র ২৬। কাজ করতেন জাপানের কোবে শহরের কোনান মেডিকেল সেন্টারে। কিন্তু ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে নেই কোনো সাপ্তাহিক ডে-অফ। টানা কাজ করতে হয়েছে। এমনকি পরের এপ্রিল মাসে তাঁকে ওভারটাইমও করতে হয়েছে ২০৭ ঘণ্টা।

কাজের এত চাপ আর নিতে পারছিলেন না তাকাশিমা শিংগো নামের ওই ব্যক্তি। গত বছরের মে মাসে নিজ বাড়িতে করেন আত্মহত্যা। এ ঘটনার পর জাপানের কর্মপরিবেশ নিয়ে আবারও প্রশ্ন শুরু হয়েছে।

জাপানের লেবার স্ট্যান্ডার্ডস ইন্সপেকশন অফিসের বরাতে আনসিন-জাপান ডটকম বলছে, ওভারটাইমের কারণেই ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি তাঁর পরিবারের। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এ নিয়ে থানায় মামলাও নেয়নি পুলিশ। আত্মহত্যা বলে সেই মামলা নেওয়া হয়নি। এরপর গত সেপ্টেম্বরে একটি আবেদন করে শিংগোর পরিবার। তাতে তাঁরা বলেন, এই আত্মহত্যাকে যেন ‘কাজের সময় মৃত্যু’ বলে উল্লেখ করা হয়।

এ ঘটনার পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের কাজ শুরু করে। তাতে দেখা যায়, এক মাসে ২০৭ ঘণ্টা ওভারটাইম করতে হয়েছে শিংগোকে। এমনকি তিনি প্রতি মাসে গড়ে ওভারটাইম করতেন ১৮৫ ঘণ্টা।

দীর্ঘ তদন্তের পর জাপানের লেবার স্ট্যান্ডার্ডস ইন্সপেকশন গত জুনে এই আত্মহত্যাকে কাজের সময় মৃত্যু বলে গণ্য করে। এ কারণে এবার ক্ষতিপূরণ চাইতে পারবে শিংগোর পরিবার। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখনো বলছে, তারা শিংগোকে ওভারটাইম করতে বলেনি।

বিজনেস আওয়ার/ ২৪ আগস্ট,২০২৩/এসএস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ওভারটাইমের চাপে চিকিৎসকের আত্মহত্যা

পোস্ট হয়েছে : ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক : পেশায় একজন সিটিজেন চিকিৎসক। বয়স মাত্র ২৬। কাজ করতেন জাপানের কোবে শহরের কোনান মেডিকেল সেন্টারে। কিন্তু ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে নেই কোনো সাপ্তাহিক ডে-অফ। টানা কাজ করতে হয়েছে। এমনকি পরের এপ্রিল মাসে তাঁকে ওভারটাইমও করতে হয়েছে ২০৭ ঘণ্টা।

কাজের এত চাপ আর নিতে পারছিলেন না তাকাশিমা শিংগো নামের ওই ব্যক্তি। গত বছরের মে মাসে নিজ বাড়িতে করেন আত্মহত্যা। এ ঘটনার পর জাপানের কর্মপরিবেশ নিয়ে আবারও প্রশ্ন শুরু হয়েছে।

জাপানের লেবার স্ট্যান্ডার্ডস ইন্সপেকশন অফিসের বরাতে আনসিন-জাপান ডটকম বলছে, ওভারটাইমের কারণেই ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি তাঁর পরিবারের। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এ নিয়ে থানায় মামলাও নেয়নি পুলিশ। আত্মহত্যা বলে সেই মামলা নেওয়া হয়নি। এরপর গত সেপ্টেম্বরে একটি আবেদন করে শিংগোর পরিবার। তাতে তাঁরা বলেন, এই আত্মহত্যাকে যেন ‘কাজের সময় মৃত্যু’ বলে উল্লেখ করা হয়।

এ ঘটনার পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের কাজ শুরু করে। তাতে দেখা যায়, এক মাসে ২০৭ ঘণ্টা ওভারটাইম করতে হয়েছে শিংগোকে। এমনকি তিনি প্রতি মাসে গড়ে ওভারটাইম করতেন ১৮৫ ঘণ্টা।

দীর্ঘ তদন্তের পর জাপানের লেবার স্ট্যান্ডার্ডস ইন্সপেকশন গত জুনে এই আত্মহত্যাকে কাজের সময় মৃত্যু বলে গণ্য করে। এ কারণে এবার ক্ষতিপূরণ চাইতে পারবে শিংগোর পরিবার। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখনো বলছে, তারা শিংগোকে ওভারটাইম করতে বলেনি।

বিজনেস আওয়ার/ ২৪ আগস্ট,২০২৩/এসএস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: