বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দেশে গত তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছিল চলতি বছরের জুন মাসে। মাসটিতে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
তবে জুলাই থেকে কমতে শুরু করেছে প্রবাসী আয়। আগস্টেও তা অব্যহত রয়েছে। জুলাই শেষে প্রবাসী আয় এসেছিলে ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার। যা আগস্টের প্রথম ২৫ দিনে কমে এসে দাঁড়িয়েছে ১৩২ কোটি ৩০ লাখ ৭০ হাজার ডলারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (এক ডলার সমান ১০৯ টাকা ধরে) এর পরিমাণ ১৪ হাজার ৪২০ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদন বলছে, আগস্টের প্রথম ২৫ দিনে ১৩২ কোটি ৩০ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে ১৬৫ কোটি ডলার বা ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসেবে দেশে। যা গত জুলাই মাসের চেয়েও অনেক কম।
আলোচিত সময়ে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৪ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে ২ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১৪ কোটি ৪০ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৭ লাখ ৪০ হাজার ডলার।
তবে আলোচিত সময়ে ৭ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়ীত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
এর আগে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।
বিজনেস আওয়ার/ ২৭ আগস্ট,২০২৩/এসএস