ঢাকা , শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বস্তির ৮২ শতাংশ মানুষ দরিদ্র

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩
  • 59

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. আবুল বারকাত কলেছেন, দেশে বস্তি এলাকার মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৮২ শতাংশ মানুষ দরিদ্র। সোমবার (২৮ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. আবুল বারকাত বলেন, দেশে বস্তি এলাকায় মোট জনগোষ্ঠীর ৮২ শতাংশ দরিদ্র। যা মোট জনগোষ্ঠীর দারিদ্রের হিসাবে ৪১ শতাংশের কম নয়। যদিও সরকার বলছে- বস্তিবাসী ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ১৯ শতাংশ দরিদ্র। তারপরও অভিবাসন হচ্ছে। যাকে আমরা বলছি ‘গলাধাক্কা অভিবাসন’ হচ্ছে। এর কারণ কাজ না পাওয়া, সঠিক সময়ে কৃষি ঋণ না পাওয়াসহ নানা কারণ রয়েছে।

‘নগর দরিদ্র: বস্তিবাসী ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ভূমিতে অধিকার এবং নাগরিক সেবার অভিগম্যতা’ শীর্ষক ওই সেমিনারের যৌথ আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (এএলআরডি) ও হিউম্যান ডেভলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার (এইচডিআরসি)।

সেমিনারে ড. আবুল বারকাত বলেন, বস্তিতে থাকা মানুষের মাসিক আয় ১২ হাজার ৭৫০ টাকার বেশি নয়। যদিও তাদের আয় নিয়ে সরকার অন্য কথা বলছেন। এসব বস্তিতে বসবাসকারী অধিকাংশ মানুষের নিজস্ব জমি নেই। কারও কারও গ্রামে সামান্য পরিমাণ আছে। এছাড়াও বস্তির মালিকদের বস্তিবাসী হিসেবে দেখিয়ে তাদের আয় দেখানো হয়।

বিজনেস আওয়ার/২৮ আগস্ট, ২০২৩/পিএস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বস্তির ৮২ শতাংশ মানুষ দরিদ্র

পোস্ট হয়েছে : ০২:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. আবুল বারকাত কলেছেন, দেশে বস্তি এলাকার মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৮২ শতাংশ মানুষ দরিদ্র। সোমবার (২৮ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. আবুল বারকাত বলেন, দেশে বস্তি এলাকায় মোট জনগোষ্ঠীর ৮২ শতাংশ দরিদ্র। যা মোট জনগোষ্ঠীর দারিদ্রের হিসাবে ৪১ শতাংশের কম নয়। যদিও সরকার বলছে- বস্তিবাসী ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ১৯ শতাংশ দরিদ্র। তারপরও অভিবাসন হচ্ছে। যাকে আমরা বলছি ‘গলাধাক্কা অভিবাসন’ হচ্ছে। এর কারণ কাজ না পাওয়া, সঠিক সময়ে কৃষি ঋণ না পাওয়াসহ নানা কারণ রয়েছে।

‘নগর দরিদ্র: বস্তিবাসী ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ভূমিতে অধিকার এবং নাগরিক সেবার অভিগম্যতা’ শীর্ষক ওই সেমিনারের যৌথ আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (এএলআরডি) ও হিউম্যান ডেভলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার (এইচডিআরসি)।

সেমিনারে ড. আবুল বারকাত বলেন, বস্তিতে থাকা মানুষের মাসিক আয় ১২ হাজার ৭৫০ টাকার বেশি নয়। যদিও তাদের আয় নিয়ে সরকার অন্য কথা বলছেন। এসব বস্তিতে বসবাসকারী অধিকাংশ মানুষের নিজস্ব জমি নেই। কারও কারও গ্রামে সামান্য পরিমাণ আছে। এছাড়াও বস্তির মালিকদের বস্তিবাসী হিসেবে দেখিয়ে তাদের আয় দেখানো হয়।

বিজনেস আওয়ার/২৮ আগস্ট, ২০২৩/পিএস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: