বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সম্প্রতি কোমল পানীয়র ওপর ন্যূনতম কর সর্বোচ্চ ১ শতাংশ করার দাবি জানায় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্রাণ, ট্রান্সকম বেভারেজেস, আব্দুল মোনেম এবং কোকা-কোলা বাংলাদেশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) যৌথ এক চিঠিতে তারা এ দাবি জানানোর পরেই কার্বোনেটেড পানীয় শিল্পে (বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রি) ন্যূনতম কর ৫ শতাংশ থেকে ২ শতাংশ কমিয়ে ৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। বুধবার রাজস্ব বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথ বিবৃতিতে জানায়, নতুন আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী, কার্বোনেটেড বেভারেজের গ্রস প্রাপ্তির ওপর ৫ শতাংশ ন্যূনতম কর হার আরোপ করা হয়েছে। তবে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ অনুযায়ী কার্বোনেটেড বেভারেজের কাঁচামালের উৎসে আয়কর কেটে নেওয়া হতো। এই করকে অগ্রিম আয়কর হিসেবে বলা হতো। আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, গ্রস প্রাপ্তির ওপর করের হার ছিল দশমিক ৬ শতাংশ। কিন্তু উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের দাবি, পূর্বের কর হারের সঙ্গে তুলনা করলে নতুন কর হার অনুযায়ী প্রায় ৮৩০ শতাংশ হারে কর বেড়েছে।
কর হার পরিবর্তনের ফলে এ খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন উৎপাদনকারীরা। কোম্পানির অর্থপ্রবাহ কমে যাবে, এসব প্রতিষ্ঠানে নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরির সুযোগ কমে যাবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে বড় ধরনের বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলেও মনে করছে কোমল পানীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। আগামী তিন থেকে চার বছরে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ ও স্থানীয় বিনিয়োগ মিলে যার পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এ ছাড়া এ খাতে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ লোকের কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
বিজনেস আওয়ার/ ৩০ আগস্ট,২০২৩/এসএস