বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সমাবেশে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে তিনি সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশে যোগ দেন।
এ সময় তাকে স্বাগত জানান ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এরপর ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে ছাত্র সমাবেশ শুরু হয়।
এরই মধ্যে সেখানে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা আসন গ্রহণ করেছেন।
এর আগে সমাবেশে যোগ দিতে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছাত্রনেতা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। ফলে উদ্যানের চারপাশ মিছিলে মুখরিত হয়ে যায়। সেই সঙ্গে প্রবেশমুখেও ভিড় বাড়ে।
সমাবেশে অংশ নিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকেই অবস্থান করেন নেতাকর্মীরা। ময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করতে দেখা যায়। দুপুর ১টার পর থেকে রাজধানীর বাইরে থেকে আসা সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কর্মীদের ভিড় বাড়ে সমাবেশের প্রবেশমুখে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি গেট, বাংলা একাডেমির সামনের অংশ, কালীমন্দির গেট ও রমনার আইইবির সামনের গেটে ভিড় করেন নেতাকর্মীরা। এতে সমাবেশস্থলের প্রবেশমুখেই দীর্ঘ জট সৃষ্টি হয়।
এদিকে ছাত্রসমাবেশ ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশসহ নিরাপত্তার দায়িত্বে কাজ করছে র্যাব। যানবাহন চলাচলে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন জানিয়েছেন, সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা দেশবিরোধী চক্রান্ত রুখতে শপথ নেবে। তারা প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ছাত্রসমাজের মাধ্যমে দেশব্যাপী ‘ওয়ান্স এগেইন শেখ হাসিনা’ স্লোগান ছড়িয়ে দেবেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাঁচ লাখ শিক্ষার্থীর জমায়েত হলেও সারা দেশের পাঁচ কোটি শিক্ষার্থী তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে এই সমাবেশে যুক্ত থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিজনেস আওয়ার/ ০১ সেপ্টেম্বর,২০২৩/এসএস