ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্রেতার চাপে উত্থানে শেয়ারবাজার

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • 107

মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান : দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বুধবার প্রধান সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। আগের কার্যদিবস তুলনায় আজ লেনদেন পরিমাণ বেড়েছে। লেনদেন বেড়ে ছয়শ কোটি টাকার ঘরে এসেছে। এদিন ক্রেতার চাপ বেড়েছে। এতে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর পতনের চেয়ে উত্থান বেশি হয়েছে।

শেয়ারবাজারে উত্থান প্রসঙ্গে একাধিক সিকিউরিটি হাউজের কর্মকর্তা বলেন, বুধবারের উত্থান লেনদেনে চমক দেখিয়েছে বীমা খাতের কোম্পানির শেয়ার। খাতটির কোম্পানিগুলোর শেয়ার প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ সবচেয়ে ছিল। এতে বীমার ওপরে ভর করে সূচকের উত্থান। বেড়েছে লেনদেন। এদিন বীমার খাতের ৬৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। অর্থাৎ এদিন ৫৭টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৩৭টির। দর কমেছে ১২টির। অপরিবর্তিত ৮টির।

সূচক প্রসঙ্গে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, সরকারের নতুন সময় সূচির প্রথম কার্যদিবস ডিএসইতে গত বছরের ২৪ আগস্ট পতন হয়েছিল। যা আগের টানা ছয় কার্যদিবস উত্থানের পর এই মন্দা। পতন পরের দুই কার্যদিবস (বৃহস্পতিবার ও রবিবার) উত্থানে ছিল পুঁজিবাজার। ওইসময় লেনদেন দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছিলো। পরেরদিন সোমবার লেনদেনে ভাটা পড়ে। সেখান থেকে পরের দুই কার্যদিবস লেনদেন কিছুটা বাড়ে। পরেরদিন লেনদেন ফের কমে এসেছে। এরপরের কার্যদিবস লেনদেন বেড়ে ২৩শ কোটি টাকায় ওঠেছিল। পরে জোয়ার-ভাটায় চলে পুঁজিবাজারের লেনদেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর লেনদেন বছরের সেরা রেকর্ড করেছিলো। ওইদিন লেনদেন ২৮শ কোটি টাকা এসেছিলো।

এরপর লেনদেনে জোয়ার-ভাটা শুরু হয়। এতে ভাটার জোরে লেনদেন অপ্রত্যাশিত ভাবে কমে আসে। যা গত বছরের শেষ কার্যদিবস ২৯ ডিসেম্বর লেনদেন দাঁড়িয়েছিল ৩৪৫ কোটি টাকায়। সেখান থেকে ফের কমে চলতি বছরের শুরুতে বা পহেলা জানুয়ারি লেনদেন হয়েছিল ১৭৮ কোটি টাকা। ঠিক পরেরদিন ২রা জানুয়ারি লেনদেন হয়েছিল ১৪৬ কোটি টাকা। এধরনের লেনদেন ডিএসইতে মন্দার রেকর্ড হিসেবে বিবেচ্য। অবশ্য সেই মন্দা থেকে পরে বেরিয়ে এসেছিল ডিএসই। পরে ধীরে ধীরে লেনদেন বাড়ে। এরই ধারায় মে মাসের শেষদিকে লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছিল। পরে লেনদেনে ফের ভাটা। এতে জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে লেনদেন ৮শ কোটিতে চলে আসে। সেখান থেকে আরও কমে বর্তমানে লেনদেন ৬শ কোটি নেমে এসেছে।

চলতি বছরে সূচক বেড়েছে জানিয়ে সংশ্লিষ্টরা আরও বলেন, বছরের শুরুতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল ৬ হাজার ১৭৭ পয়েন্ট। আজ লেনদেন শেষে সূচক দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩০৪ পয়েন্ট। চলতি বছরে সূচক বেড়েছে ১২৩ পয়েন্ট। গত বছরে ২০ সেপ্টেম্বর সূচক ছিল ৬ হাজার ৫৯৬ পয়েন্ট। সেই হিসেবে গত এক বছরে সূচক কমেছে ২৯২ পয়েন্ট। লেনদেন ও সূচক মন্দা কমলেও পুঁজিবাজারের মূলধন বেড়েছে মন্তব্য করে তারা বলেন, গত বছরে ২০ সেপ্টেম্বর বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা। আজ মূলধন ছিল ৭ লাখ ৭৫ হাজার ৯৬৯ কোটি টাকা। গত এক বছরে বাজার মূলধন ২ লাখ ৫২ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা বেড়েছে। রেগুলেটরদের নানান ইতিবাচক উদ্যোগের কারনে পুঁজিবাজার সাইজ এতো বড় হয়েছে। এটা বিনিয়োগ ক্ষেত্রে সবুজ সংকেট।

স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্র মতে, বুধবার ডিএসইতে ৬৬২ কোটি ৫৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৬১০ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩০৪ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ সূচক ৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩৭ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসইএস সূচক দশমিক ৮২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬৩ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৯টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৮৪টি এবং কমেছে ৭৩টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৬২টির। এদিন ডিএসইতে ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন কোম্পানিটি ৫০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ২৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ, জেমিনি সী ফুডের ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা, সিভিও পেট্রোলিয়ামের ২২ কোটি ২২ লাখ টাকা, ইউনিক হোটেলের ১৯ কোটি ২০ লাখ টাকা, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ১৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের ১৭ কোটি ৭ লাখ টাকা, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, মেঘনা লাইফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের ১৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

অপরদিকে, সিএসইতে বুধবার লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার ১৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৮৭টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৫৬টি, কমেছে ৪৭টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৮৪টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৪ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৩১ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ৮২ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ১০ দশমিক ১২ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ৮ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩০৬ দশমিক ৩৯ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৮৩ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে, ১১ হাজার ১৩৯ দশমিক ৪৫ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৭০ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে।

এদিন সিএসইতে সী পার্ল বিচের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন সী পার্ল বিচের ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, ব্র্যাক ব্যাংকের ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা, ফু-ওয়াং ফুডের ৯২ লাখ টাকা, এমারেল্ড অয়েলের ৮৩ লাখ টাকা, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের ৮০ লাখ টাকা, লার্ফাজ-হোলসিমের ৮০ লাখ টাকা, সিভিও পেট্রোলিয়ামের ২০ লাখ টাকা এবং ব্যাংক এশিয়ার ২০ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

বিজনেস আওয়ার/১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ক্রেতার চাপে উত্থানে শেয়ারবাজার

পোস্ট হয়েছে : ০৪:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান : দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বুধবার প্রধান সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। আগের কার্যদিবস তুলনায় আজ লেনদেন পরিমাণ বেড়েছে। লেনদেন বেড়ে ছয়শ কোটি টাকার ঘরে এসেছে। এদিন ক্রেতার চাপ বেড়েছে। এতে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর পতনের চেয়ে উত্থান বেশি হয়েছে।

শেয়ারবাজারে উত্থান প্রসঙ্গে একাধিক সিকিউরিটি হাউজের কর্মকর্তা বলেন, বুধবারের উত্থান লেনদেনে চমক দেখিয়েছে বীমা খাতের কোম্পানির শেয়ার। খাতটির কোম্পানিগুলোর শেয়ার প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ সবচেয়ে ছিল। এতে বীমার ওপরে ভর করে সূচকের উত্থান। বেড়েছে লেনদেন। এদিন বীমার খাতের ৬৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। অর্থাৎ এদিন ৫৭টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৩৭টির। দর কমেছে ১২টির। অপরিবর্তিত ৮টির।

সূচক প্রসঙ্গে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, সরকারের নতুন সময় সূচির প্রথম কার্যদিবস ডিএসইতে গত বছরের ২৪ আগস্ট পতন হয়েছিল। যা আগের টানা ছয় কার্যদিবস উত্থানের পর এই মন্দা। পতন পরের দুই কার্যদিবস (বৃহস্পতিবার ও রবিবার) উত্থানে ছিল পুঁজিবাজার। ওইসময় লেনদেন দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছিলো। পরেরদিন সোমবার লেনদেনে ভাটা পড়ে। সেখান থেকে পরের দুই কার্যদিবস লেনদেন কিছুটা বাড়ে। পরেরদিন লেনদেন ফের কমে এসেছে। এরপরের কার্যদিবস লেনদেন বেড়ে ২৩শ কোটি টাকায় ওঠেছিল। পরে জোয়ার-ভাটায় চলে পুঁজিবাজারের লেনদেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর লেনদেন বছরের সেরা রেকর্ড করেছিলো। ওইদিন লেনদেন ২৮শ কোটি টাকা এসেছিলো।

এরপর লেনদেনে জোয়ার-ভাটা শুরু হয়। এতে ভাটার জোরে লেনদেন অপ্রত্যাশিত ভাবে কমে আসে। যা গত বছরের শেষ কার্যদিবস ২৯ ডিসেম্বর লেনদেন দাঁড়িয়েছিল ৩৪৫ কোটি টাকায়। সেখান থেকে ফের কমে চলতি বছরের শুরুতে বা পহেলা জানুয়ারি লেনদেন হয়েছিল ১৭৮ কোটি টাকা। ঠিক পরেরদিন ২রা জানুয়ারি লেনদেন হয়েছিল ১৪৬ কোটি টাকা। এধরনের লেনদেন ডিএসইতে মন্দার রেকর্ড হিসেবে বিবেচ্য। অবশ্য সেই মন্দা থেকে পরে বেরিয়ে এসেছিল ডিএসই। পরে ধীরে ধীরে লেনদেন বাড়ে। এরই ধারায় মে মাসের শেষদিকে লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছিল। পরে লেনদেনে ফের ভাটা। এতে জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে লেনদেন ৮শ কোটিতে চলে আসে। সেখান থেকে আরও কমে বর্তমানে লেনদেন ৬শ কোটি নেমে এসেছে।

চলতি বছরে সূচক বেড়েছে জানিয়ে সংশ্লিষ্টরা আরও বলেন, বছরের শুরুতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল ৬ হাজার ১৭৭ পয়েন্ট। আজ লেনদেন শেষে সূচক দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩০৪ পয়েন্ট। চলতি বছরে সূচক বেড়েছে ১২৩ পয়েন্ট। গত বছরে ২০ সেপ্টেম্বর সূচক ছিল ৬ হাজার ৫৯৬ পয়েন্ট। সেই হিসেবে গত এক বছরে সূচক কমেছে ২৯২ পয়েন্ট। লেনদেন ও সূচক মন্দা কমলেও পুঁজিবাজারের মূলধন বেড়েছে মন্তব্য করে তারা বলেন, গত বছরে ২০ সেপ্টেম্বর বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা। আজ মূলধন ছিল ৭ লাখ ৭৫ হাজার ৯৬৯ কোটি টাকা। গত এক বছরে বাজার মূলধন ২ লাখ ৫২ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা বেড়েছে। রেগুলেটরদের নানান ইতিবাচক উদ্যোগের কারনে পুঁজিবাজার সাইজ এতো বড় হয়েছে। এটা বিনিয়োগ ক্ষেত্রে সবুজ সংকেট।

স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্র মতে, বুধবার ডিএসইতে ৬৬২ কোটি ৫৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৬১০ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩০৪ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ সূচক ৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩৭ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসইএস সূচক দশমিক ৮২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬৩ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৯টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৮৪টি এবং কমেছে ৭৩টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৬২টির। এদিন ডিএসইতে ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন কোম্পানিটি ৫০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ২৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ, জেমিনি সী ফুডের ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা, সিভিও পেট্রোলিয়ামের ২২ কোটি ২২ লাখ টাকা, ইউনিক হোটেলের ১৯ কোটি ২০ লাখ টাকা, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ১৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের ১৭ কোটি ৭ লাখ টাকা, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, মেঘনা লাইফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের ১৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

অপরদিকে, সিএসইতে বুধবার লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার ১৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৮৭টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৫৬টি, কমেছে ৪৭টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৮৪টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৪ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৩১ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ৮২ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ১০ দশমিক ১২ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ৮ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩০৬ দশমিক ৩৯ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৮৩ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে, ১১ হাজার ১৩৯ দশমিক ৪৫ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৭০ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে।

এদিন সিএসইতে সী পার্ল বিচের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন সী পার্ল বিচের ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, ব্র্যাক ব্যাংকের ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা, ফু-ওয়াং ফুডের ৯২ লাখ টাকা, এমারেল্ড অয়েলের ৮৩ লাখ টাকা, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের ৮০ লাখ টাকা, লার্ফাজ-হোলসিমের ৮০ লাখ টাকা, সিভিও পেট্রোলিয়ামের ২০ লাখ টাকা এবং ব্যাংক এশিয়ার ২০ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

বিজনেস আওয়ার/১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: