ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাজ না করেই প্রকল্পের অর্থ আত্মস্বাতের অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • 77

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ কাজ না করেই বরাদ্ধকৃত প্রকল্পের ৫০ হাজার টাকা গিলে খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাসির উদ্দীনের বিরুদ্ধে। রাস্তা সংস্কার প্রকল্পের ৫০ হাজার টাকার ৫ পয়সারও কাজ করেননি ইউপি সদস্য নাসির উদ্দীন। বরং প্রকল্প এলাকা থেকে ২ থেকে ৩ লাখ টাকার মাটি বিক্রি করেছেন।

খোজ নিয়ে জানাযায়, মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চুন্নির আইট “সুইচ গেট থেকে খালের ধার পর্যন্ত ”রাস্তা সংস্কারে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে টিআর প্রকল্পে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্ত ইউপি সদস্য সে প্রকল্পের ৫ পয়সারও কাজ না করে সব টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন।

অথচ প্রকল্প দেখ ভালের দায়িত্বে থাকা কর্তা ব্যক্তিদের যেনো সেদিকে কোন নজরই নেই। সেই সুযোগেই কাজে লাগিয়ে কোন কাজ না করেই ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে নিয়েছে।

নাম প্রকাশে না করে এলাকার কয়েকজন জানান, খাল কাটার মাটি রাস্তায় ফেলার কারণে রাস্তাটি উচু-নিচু হয়ে ছিলো । পরে নাসির মেম্বার ভেকু দিয়ে কেটে কয়েক শ’ গাড়ী মাটি বিক্রি করে দিয়েছে।

তারা আরও বলেন, মাটি বেচে রাস্তা সমান করে মেম্বার তো এমনিতে লাখ-দুয়েক টাকা কামিয়েছে, রাস্তা ঠিক করার জন্য আবার সরকারি টাকা বরাদ্ধ পেলো কিভাবে?

এব্যাপারে ইউপি সদস্য নাসির উদ্দীনের মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোল দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা জিন্টু জানান, রাস্তায় থাকা খালের মাটি আমিও তো নাসির মেম্বারের কাছ থেকে কিনে বিভিন্ন স্থানে দিয়েছি। খাল কাটার মাটি রাস্তায় ফেলার কারনে উচু-নিচু রাস্তা সমান করা জন্য কোন বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে কি না আমার জানা নাই।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেরুন নেছা জানান, যারা প্রজেক্ট দিয়েছে, আর যে কাজ করেছে তাকে গিয়ে বলেন কাজ হয়নি কেনো? কাজ দেখভালের টেন্ডারতো আর পিআইও অফিস নেয়নি ? আর প্রজক্টের কাজ হয়েছে কিনা উপজেলা থেকে ইস্টিমেট নিয়ে গিয়ে দেখে এসে তার পর নিউজ করেন।

বিজনেস আওয়ার/১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

কাজ না করেই প্রকল্পের অর্থ আত্মস্বাতের অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

পোস্ট হয়েছে : ০৯:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ কাজ না করেই বরাদ্ধকৃত প্রকল্পের ৫০ হাজার টাকা গিলে খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাসির উদ্দীনের বিরুদ্ধে। রাস্তা সংস্কার প্রকল্পের ৫০ হাজার টাকার ৫ পয়সারও কাজ করেননি ইউপি সদস্য নাসির উদ্দীন। বরং প্রকল্প এলাকা থেকে ২ থেকে ৩ লাখ টাকার মাটি বিক্রি করেছেন।

খোজ নিয়ে জানাযায়, মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চুন্নির আইট “সুইচ গেট থেকে খালের ধার পর্যন্ত ”রাস্তা সংস্কারে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে টিআর প্রকল্পে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্ত ইউপি সদস্য সে প্রকল্পের ৫ পয়সারও কাজ না করে সব টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন।

অথচ প্রকল্প দেখ ভালের দায়িত্বে থাকা কর্তা ব্যক্তিদের যেনো সেদিকে কোন নজরই নেই। সেই সুযোগেই কাজে লাগিয়ে কোন কাজ না করেই ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে নিয়েছে।

নাম প্রকাশে না করে এলাকার কয়েকজন জানান, খাল কাটার মাটি রাস্তায় ফেলার কারণে রাস্তাটি উচু-নিচু হয়ে ছিলো । পরে নাসির মেম্বার ভেকু দিয়ে কেটে কয়েক শ’ গাড়ী মাটি বিক্রি করে দিয়েছে।

তারা আরও বলেন, মাটি বেচে রাস্তা সমান করে মেম্বার তো এমনিতে লাখ-দুয়েক টাকা কামিয়েছে, রাস্তা ঠিক করার জন্য আবার সরকারি টাকা বরাদ্ধ পেলো কিভাবে?

এব্যাপারে ইউপি সদস্য নাসির উদ্দীনের মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোল দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা জিন্টু জানান, রাস্তায় থাকা খালের মাটি আমিও তো নাসির মেম্বারের কাছ থেকে কিনে বিভিন্ন স্থানে দিয়েছি। খাল কাটার মাটি রাস্তায় ফেলার কারনে উচু-নিচু রাস্তা সমান করা জন্য কোন বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে কি না আমার জানা নাই।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেরুন নেছা জানান, যারা প্রজেক্ট দিয়েছে, আর যে কাজ করেছে তাকে গিয়ে বলেন কাজ হয়নি কেনো? কাজ দেখভালের টেন্ডারতো আর পিআইও অফিস নেয়নি ? আর প্রজক্টের কাজ হয়েছে কিনা উপজেলা থেকে ইস্টিমেট নিয়ে গিয়ে দেখে এসে তার পর নিউজ করেন।

বিজনেস আওয়ার/১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: