ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় ৫ কোটি টাকা লোপাট করার অভিযোগ এনে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম,হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা পরিষদের সাত সদস্য।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্নেলনের আয়োজন করেন নির্বাচিত এ সদস্যরা।
সংবাদ সম্নেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা পরিষদের অস্থায়ী প্যানেল চেয়ারম্যান মোরাদিম মোস্তাকিম মনির। তিনি বলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচতি সদস্যদের কোন কিছু না জানিয়ে মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন না নিয়ে মার্কেট নির্মাণ, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে এডিপির রাজস্ব থেকে সেলাই মেশিন ক্রয় বাবদ ১৫-২০ লাখ টাকা, গরীব মেধাবীদের বাইসাইকেল ক্রয় না করে ১৪ লাখ টাকা, জেলা পরিষদের নামাজ ঘর সংষ্কার, ডাকবাংলোর ছাদ সংস্কার, ছাদ বাগান পরিস্কার করা বাবদ ৪০ লাখ টাকা, জেলা পরিষদের মূল্যবান কাঠ পাচার করে ১০ লাভ টাকা বিক্রয় করেন। এছাড়াও ফুটবল ক্রয়, কম্বল ক্রয়সহ নানা খাতে তিনি প্রায় ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
মোস্তাকিম মনির বলেন, চেয়ারম্যান তার একক সিদ্ধান্তে কোন সদস্যদের রেজুলেশন ও মিটিং না করে তার নিজের এনজিও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা অর্জুন বাবুকে দিয়ে জেলা পরিষদে বসিয়ে সকল অনৈতিক কাজ করে চলেছেন।
তিনি জেলা পরিষদের যশোর- ঝিনাইদহ সড়কের ৫টি গ্রুপের টেন্ডারে ২৫ লাখ টাকা দুর্নীতি করেছেন। তাছাড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ উপেক্ষা করে খাল ও পুকুর একক সিদ্ধান্তে ইজারা দিয়েছেন।
তার এই অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে গত ১৭ সেপ্টেম্বরে নির্বাচিত সাত সদস্য আনাস্থা প্রস্তাব এনে মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। এই দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবন্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য অনিতা বিশ্বাস, ২নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য আনোয়ারা খাতুন, ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য আলাউদ্দিন, ৪নং ওয়ার্ডের সাধারন সদস্য জসিম উদ্দিন সেলিম, ৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য রাজিবুল কবির এবং ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ লিটন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান এম-হারুণ অর রশিদ জানান, আমার বিরুদ্ধে যে সকল সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন তা সত্য নয়। আমি জেলা পরিষদের কোন অর্থ লোপাট করিনি। তাদের স্বার্থের কারণে এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
বিজনেস আওয়ার/২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩/রাজিব/পিএস