ঢাকা , সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি নেতা চাঁদের ৩ বছর কারাদণ্ড

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • 36

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন রাজশাহীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আল্লাম এ রায় ঘোষণা করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী শামসাদ বেগম মিতালী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আবু সাঈদ চাঁদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন ১৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা নিয়েছিলেন চাকরি দেওয়ার কথা বলে। তিনি ১৩ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০০৭ সালে তারা এ নিয়ে মমলা করেন। সেই মামলায় আবু সাঈদ চাঁদকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

আইনজীবী আরও বলেন, ‘এ মামলার সঙ্গে আবু সাঈদ চাঁদ কোনোভাবে জড়িত না। এ মামলায় অন্য দুজন শিক্ষকও অভিযুক্ত ছিলেন। এটি একটি ভোকেশনাল স্কুলের নিয়োগের মামলা। এখানে তার কোনো সই-সাক্ষ্য কিছুই ছিল না। তিনি চেয়ারম্যান ছিলেন এটাই তার অপরাধ। এজন্যই তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।’

আবু সাঈদ চাঁদের ছেলে মো. অলিভ বলেন, এ রায় মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালে আসামি আবু সাঈদ চাঁদ, আলিম উদ্দিন এবং ওয়াজনবী রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় বামনদীঘি চরঝিকড়া টেকনিক্যাল স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ওই স্কুলের বিভিন্ন পদে নিয়োগের আশ্বাস দিয়ে বাদী ও সাক্ষীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেন। ২০০৪ সলের ডিসেম্বর মাসের বিভিন্ন তারিখে তাদের কাছ থেকে আসামিরা মোট ১৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা নেন। পরে নিয়োগপত্রের ভিত্তিতে তারা ওই স্কুলে যোগদান করেন। এরপর বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করলেও তাদের অনুকূলে কোনো বেতনভাতা পরিশোধ করা হয়নি। এমনকি শিক্ষার্থীদেরও কোনো নিবন্ধন হয়নি।

কিছুদিন পর তারা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, স্কুলটির কোনো অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও আসামিরা জেনেশুনে তাদের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়েছেন। পরে ২০০৭ সালের ২৯ জুলাই মামলাটি করেন ভুক্তভোগীরা।

বিজনেস আওয়ার/২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বিএনপি নেতা চাঁদের ৩ বছর কারাদণ্ড

পোস্ট হয়েছে : ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন রাজশাহীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আল্লাম এ রায় ঘোষণা করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী শামসাদ বেগম মিতালী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আবু সাঈদ চাঁদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন ১৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা নিয়েছিলেন চাকরি দেওয়ার কথা বলে। তিনি ১৩ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০০৭ সালে তারা এ নিয়ে মমলা করেন। সেই মামলায় আবু সাঈদ চাঁদকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

আইনজীবী আরও বলেন, ‘এ মামলার সঙ্গে আবু সাঈদ চাঁদ কোনোভাবে জড়িত না। এ মামলায় অন্য দুজন শিক্ষকও অভিযুক্ত ছিলেন। এটি একটি ভোকেশনাল স্কুলের নিয়োগের মামলা। এখানে তার কোনো সই-সাক্ষ্য কিছুই ছিল না। তিনি চেয়ারম্যান ছিলেন এটাই তার অপরাধ। এজন্যই তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।’

আবু সাঈদ চাঁদের ছেলে মো. অলিভ বলেন, এ রায় মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালে আসামি আবু সাঈদ চাঁদ, আলিম উদ্দিন এবং ওয়াজনবী রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় বামনদীঘি চরঝিকড়া টেকনিক্যাল স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ওই স্কুলের বিভিন্ন পদে নিয়োগের আশ্বাস দিয়ে বাদী ও সাক্ষীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেন। ২০০৪ সলের ডিসেম্বর মাসের বিভিন্ন তারিখে তাদের কাছ থেকে আসামিরা মোট ১৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা নেন। পরে নিয়োগপত্রের ভিত্তিতে তারা ওই স্কুলে যোগদান করেন। এরপর বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করলেও তাদের অনুকূলে কোনো বেতনভাতা পরিশোধ করা হয়নি। এমনকি শিক্ষার্থীদেরও কোনো নিবন্ধন হয়নি।

কিছুদিন পর তারা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, স্কুলটির কোনো অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও আসামিরা জেনেশুনে তাদের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়েছেন। পরে ২০০৭ সালের ২৯ জুলাই মামলাটি করেন ভুক্তভোগীরা।

বিজনেস আওয়ার/২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: