ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুয়া ও হুন্ডিতে জড়িতর অভিযোগে বিকাশ নগদ রকেটের ২২ হাজার অ্যাকাউন্ট বন্ধ

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • 97

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: অনলাইন জুয়া ও হুন্ডির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২১ হাজার ৭২৫টি মোবাইল হিসাব (মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস-এমএফএস) বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

বিএফআইইউ সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এসব হিসাবের বেশিরভাগই বিকাশ, নগদ ও রকেটের। ভবিষ্যতে এ ধরনের লেনদেনে জড়িত না হতে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কও করা হয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে।

বিএফআইইউর পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি বছরের ৯ মাসে ৩৭১টি অনলাইন গেমিং ও বেটিং লেনদেন, অনলাইন ফরেক্স ট্রেডিং সম্পর্কিত ৯১টি লেনদেন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত ৪১৩টি লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে পাঠানো হচ্ছে।

বিএফআইইউ আরও জানায়, অনলাইন জুয়া, হুন্ডির সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ৭২৫টি ব্যক্তিগত হিসাব স্থগিত করা হয়েছে।

এছাড়া অবৈধ হুন্ডি, গেমিং, বেটিং ও ক্রিপ্টো সংক্রান্ত ৮১৪টি ওয়েবসাইট, ১৫৯টি অ্যাপ ও ৪৪২টি সোশ্যাল মিডিয়া পেজ ও লিংকের তালিকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে পাঠিয়েছে বিএফআইইউ। বিএফআইইউ ২১টি মানি চেঞ্জার এবং তাদের ৩৯টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে পাঠিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মানি লন্ডারিংবিরোধী কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বিএফআইইউ এসব তথ্য তুলে ধরে। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এর প্রধান কর্মকর্তা মো. মাসুদ বিশ্বাস সভাপতিত্ব করেন। সভায় বিএফআইইউ এর উপপ্রধান কর্মকর্তা এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম, বিএফআইইউ এর পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. আরিফুজ্জামান ও সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান ও উপ-প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ গ্রহণ করে বা নন-ফান্ডেড সুবিধাকে ফান্ডেড সুবিধায় রূপান্তর ও ফোর্সড লোন সৃষ্টি করে বিদেশে অর্থ পাচারসহ বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ পাচার, অনলাইন ফরেক্স ট্রেডিং,গেমিং,বেটিং, ডিজিটাল হুন্ডি, ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ প্লাটফর্মের মাধ্যমে ভার্চুয়াল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগসহ বিভিন্ন সমসাময়িক ঝুঁকি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়া ওয়েজ আর্নারগণ যাতে ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠান সে বিষয়ে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে সচেতনতা বাড়ানোরও তাগিদ দেন।

বিএফআইইউ এর প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, দুষ্কৃতকারী ও অর্থ পাচারকারীরা যাতে ব্যাংকিং ব্যবস্থা ব্যবহার করে কোনো অপরাধ সংঘটিত করতে না পারে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

বিএফআইইউ আর্থিক অপরাধের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যাদের পরিপালন ব্যবস্থায় দুর্বলতা পরিলক্ষিত হবে, তাদের বিষয়েই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বিজনেস আওয়ার/২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

জুয়া ও হুন্ডিতে জড়িতর অভিযোগে বিকাশ নগদ রকেটের ২২ হাজার অ্যাকাউন্ট বন্ধ

পোস্ট হয়েছে : ০৪:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: অনলাইন জুয়া ও হুন্ডির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২১ হাজার ৭২৫টি মোবাইল হিসাব (মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস-এমএফএস) বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

বিএফআইইউ সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এসব হিসাবের বেশিরভাগই বিকাশ, নগদ ও রকেটের। ভবিষ্যতে এ ধরনের লেনদেনে জড়িত না হতে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কও করা হয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে।

বিএফআইইউর পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি বছরের ৯ মাসে ৩৭১টি অনলাইন গেমিং ও বেটিং লেনদেন, অনলাইন ফরেক্স ট্রেডিং সম্পর্কিত ৯১টি লেনদেন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত ৪১৩টি লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে পাঠানো হচ্ছে।

বিএফআইইউ আরও জানায়, অনলাইন জুয়া, হুন্ডির সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ৭২৫টি ব্যক্তিগত হিসাব স্থগিত করা হয়েছে।

এছাড়া অবৈধ হুন্ডি, গেমিং, বেটিং ও ক্রিপ্টো সংক্রান্ত ৮১৪টি ওয়েবসাইট, ১৫৯টি অ্যাপ ও ৪৪২টি সোশ্যাল মিডিয়া পেজ ও লিংকের তালিকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে পাঠিয়েছে বিএফআইইউ। বিএফআইইউ ২১টি মানি চেঞ্জার এবং তাদের ৩৯টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে পাঠিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মানি লন্ডারিংবিরোধী কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বিএফআইইউ এসব তথ্য তুলে ধরে। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এর প্রধান কর্মকর্তা মো. মাসুদ বিশ্বাস সভাপতিত্ব করেন। সভায় বিএফআইইউ এর উপপ্রধান কর্মকর্তা এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম, বিএফআইইউ এর পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. আরিফুজ্জামান ও সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান ও উপ-প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ গ্রহণ করে বা নন-ফান্ডেড সুবিধাকে ফান্ডেড সুবিধায় রূপান্তর ও ফোর্সড লোন সৃষ্টি করে বিদেশে অর্থ পাচারসহ বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ পাচার, অনলাইন ফরেক্স ট্রেডিং,গেমিং,বেটিং, ডিজিটাল হুন্ডি, ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ প্লাটফর্মের মাধ্যমে ভার্চুয়াল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগসহ বিভিন্ন সমসাময়িক ঝুঁকি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়া ওয়েজ আর্নারগণ যাতে ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠান সে বিষয়ে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে সচেতনতা বাড়ানোরও তাগিদ দেন।

বিএফআইইউ এর প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, দুষ্কৃতকারী ও অর্থ পাচারকারীরা যাতে ব্যাংকিং ব্যবস্থা ব্যবহার করে কোনো অপরাধ সংঘটিত করতে না পারে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

বিএফআইইউ আর্থিক অপরাধের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যাদের পরিপালন ব্যবস্থায় দুর্বলতা পরিলক্ষিত হবে, তাদের বিষয়েই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বিজনেস আওয়ার/২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: