ঢাকা , রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিজেদের তৈরি সাবমেরিন প্রদর্শন করল তাইওয়ান

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • 28

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের সম্ভব্য হামলা মোকাবেলায় সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে নিজেদের তৈরি প্রথম সাবমেরিন প্রদর্শন করেছে তাইওয়ান। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টম্বর) সাবমেরিন পানিতে ভাসানো হয়। খবর বিবিসি।

তাইওয়ানের বন্দর নগরী কাওশিউং’এ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাবমেরিনটির উদ্বোধন করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। দেশটির সামরিক কর্মকর্তারা জানান, উদ্বোধনের পর ১ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলারে নির্মিত ডিজেল-ইলেকট্রিক চালিত সাবমেরিনটি বেশ কয়েকটি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাবে। এরপর ২০১৪ সালের শেষে তা নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এই সাবমেরিনের নাম ‘হাইকুন’। এটি মূলত রূপকথার বিশাল আকৃতির মাছে, যা উড়তে পারে। চীনের ক্লাসিক সাহিত্যে এই মাছের বর্ণনা পাওয়া যায়।

এমন আরও একটি সাবমেরিন নির্মাণ করা হচ্ছে। ১০টি সাবমেরিনের একটি বহর তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে তাইওয়ানের। ইতোমধ্যে ডাচ-নির্মিত ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত দুটি পুরানো সাবমেরিন দেশটির নৌবহরে যুক্ত রয়েছে।

এর আগে, মার্কিন কর্মকর্তারা তাইওয়ানকে সতর্ক করে বলে, চীন সামরিকভাবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আক্রমণ করতে সক্ষম হতে পারে। তাইওয়ান একটি স্ব-শাসিত দ্বীপ যাকে চীন একটি বিদ্রোহী প্রদেশ হিসাবে বিবেচনা করে এবং একদিন পুনরায় তা চীনের সঙ্গে যুক্ত করার অঙ্গীকার করে।

তবে বেশিরভাগ পর্যবেক্ষক বিশ্বাস করেন, চীন দ্রুতই এই দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে আক্রমণ করবে না। বেইজিং বলেছে, তারা তাইওয়ানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ‘পুনর্মিলন’ চায়।

বিজনেস আওয়ার/২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

নিজেদের তৈরি সাবমেরিন প্রদর্শন করল তাইওয়ান

পোস্ট হয়েছে : ০১:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের সম্ভব্য হামলা মোকাবেলায় সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে নিজেদের তৈরি প্রথম সাবমেরিন প্রদর্শন করেছে তাইওয়ান। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টম্বর) সাবমেরিন পানিতে ভাসানো হয়। খবর বিবিসি।

তাইওয়ানের বন্দর নগরী কাওশিউং’এ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাবমেরিনটির উদ্বোধন করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। দেশটির সামরিক কর্মকর্তারা জানান, উদ্বোধনের পর ১ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলারে নির্মিত ডিজেল-ইলেকট্রিক চালিত সাবমেরিনটি বেশ কয়েকটি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাবে। এরপর ২০১৪ সালের শেষে তা নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এই সাবমেরিনের নাম ‘হাইকুন’। এটি মূলত রূপকথার বিশাল আকৃতির মাছে, যা উড়তে পারে। চীনের ক্লাসিক সাহিত্যে এই মাছের বর্ণনা পাওয়া যায়।

এমন আরও একটি সাবমেরিন নির্মাণ করা হচ্ছে। ১০টি সাবমেরিনের একটি বহর তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে তাইওয়ানের। ইতোমধ্যে ডাচ-নির্মিত ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত দুটি পুরানো সাবমেরিন দেশটির নৌবহরে যুক্ত রয়েছে।

এর আগে, মার্কিন কর্মকর্তারা তাইওয়ানকে সতর্ক করে বলে, চীন সামরিকভাবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আক্রমণ করতে সক্ষম হতে পারে। তাইওয়ান একটি স্ব-শাসিত দ্বীপ যাকে চীন একটি বিদ্রোহী প্রদেশ হিসাবে বিবেচনা করে এবং একদিন পুনরায় তা চীনের সঙ্গে যুক্ত করার অঙ্গীকার করে।

তবে বেশিরভাগ পর্যবেক্ষক বিশ্বাস করেন, চীন দ্রুতই এই দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে আক্রমণ করবে না। বেইজিং বলেছে, তারা তাইওয়ানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ‘পুনর্মিলন’ চায়।

বিজনেস আওয়ার/২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: