বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : নিয়ম প্রতিপালন, কারসাজি, উৎপাদনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে তালিকাভুক্ত ১৪ কোম্পানি পরিদর্শন শেষ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিদর্শক দল। দলটি কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৫টির উৎপাদন বন্ধ পেয়েছে, দুইটির কারখানা তালাবদ্ধ অবস্থায় পেয়েছে। আর বাকি সাত কোম্পানি উৎপাদন কার্যক্রমে থাকলেও নানান অসংগতি পেয়েছে পরিদর্শক দল।
ডিএসইর পরিদর্শক দলটি ফ্যামিলিটেক্স, রিজেন্ট টেক্সটাইল, উসমানিয়া গ্লাস, ঢাকা ডায়িং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং ও জাহিনটেক্সের উৎপাদন বন্ধ পেয়েছে। এছাড়া নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিং ও দুলামিয়া কটন স্পিনিংয়ের কারখানার প্রবেশদ্বারে তালা থাকায় ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনি ডিএসই।
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ফ্যামিলিটেক্সের কারখানা পরিদর্শন করে। পরিদর্শনকালে কোম্পানিটির উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ পায়। অপরদিকে ডিএসই উসমানিয়া গ্লাসের কারখানা ২৬ সেপ্টেম্বর পরিদর্শন করে। পরিদর্শনকালে ওই কোম্পানিটির উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ পায়। একইদিনে ২৬ সেপ্টেম্বর রিজেন্ট টেক্সটাইলের উৎপাদন পরিস্থিতি দেখতে কোম্পানিটির কারখানা পরিদর্শন করে ডিএসই। পরিদর্শনকালে কারখানার উৎপাদন বন্ধ পায়। অপরদিকে ২৪ সেপ্টেম্বর পরিদর্শনকালে দুলামিয়া কটন স্পিনিংয়ের কারখানাটি বন্ধ থাকায় প্রবেশ করতে পারেনি পরিদর্শন দল। কোম্পানিটি প্রবেশ পথে সিলগালা ছিল।
এরও আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর নর্দার্ণ জুট ম্যানুফ্যাকচারিং পরিদর্শন করেছিল ডিএসই। ওই সময়ে কোম্পানিটির কারখানার প্রাঙ্গণ বন্ধ ছিল। ফলে কারখানার ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি ডিএসই। এছাড়া নর্দার্ণ জুটের প্রধান কার্যালয় তদন্ত করতে গিয়েছিল ডিএসই। কিন্তু কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয় অন্য নামের একটি কোম্পানি নাম ব্যবহার করছে।
এদিকে ফরচুন সুজ, ন্যাশনাল ফিড মিলস, সেন্ট্রাল ফার্মা, সিভিও পেট্রোমিক্যালস, কেয়া কসমেটিকস, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ও জাহিন স্পিনিং পরিদর্শনে কোম্পানিগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম সক্রিয় পেলেও কোম্পানিগুলোতে বিভিন্ন অনিয়ম পেয়ে ডিএসই।
ডিএসইর এক কর্মকর্তা বলেন, নানান অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি ৪২ কোম্পানির কারখানা পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসই। কিন্তু বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ১৪ কোম্পানি পরিদর্শন করার অনুমতি দেয়। সেই হিসেবে সব কোম্পানির পরিদর্শন প্রায় শেষ। কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাকি।
তিনি বলেন, ডিএসইর পরিদর্শনে ১৪ কোম্পানির মধ্যে পাঁচটির উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ পায়। দুইটিতে তালা থাকায় ভিতরে প্রবেশ সম্ভব হয়নি। এছাড়া বাকি কোম্পানিগুলো উৎপাদন কার্যক্রম চালু থাকলেও নানা অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। সবকিছুই রির্পোট আকারে বিএসইসিতে জমা দেবো।
বিজনেস আওয়ার/০৪ অক্টোবর, ২০২৩/পিএস