ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, অভিযুক্ত আটক

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • 55

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: কুমিল্লার চান্দিনায় মাদরাসাছাত্রীকে চোখ-মুখ বেঁধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুল কাদের সাব্বির (১৫) নামে এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (৯ অক্টোবর) সকালে মাদরাসাছাত্রীর মা মাহিনুর বেগম বাদী হয়ে ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই ঘটনায় পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় একজনকে আটক করে।

আটক আব্দুল কাদের সাব্বির কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মহিচাইল ইউনিয়নের পরচঙ্গা গ্রামের প্রবাসী মিজানুর রহমানের ছেলে। সে পেশায় অটোরিকশাচালক। ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্ত রুবেল ও ইউসুফ মহিচাইল ইউনিয়নের সদ্য ঘোষিত শ্রমিক লীগ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

জানা যায়, চান্দিনার একটি মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী শনিবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে মায়ের কিস্তির টাকা দিয়ে সাব্বিরের অটোরিকশাযোগে বাড়ি ফেরার পথে মহিচাইল সিংহবাড়ি অতিক্রম করার পর মহিচাইল গ্রামের রুবেল, ইউসুফসহ তিনজন অটোরিকশায় উঠে চোখ-বেঁধে তুলাপুকুরিয়া এলাকায় নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে একটি ঘরে নিয়ে হাত-পা ও চোখ বেঁধে ধর্ষণ করে।

মাদরাসাছাত্রী জানায়, আমার চোখ বাঁধা থাকায় কে বা কয়জন ধর্ষণ করেছে বলতে পারছি না। তবে শুরু থেকে তারা চারজন ছিল। ধর্ষণের পর রাস্তায় নিয়ে আমার চোখ খুলে আমাকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে আমি বাড়িতে গিয়ে আমার পরিবারকে বিষয়টি জানাই।

এদিকে সোমবার সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, শনিবার ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠে এলাকার কিছু মাতবর। এই ঘটনায় রবিবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে স্থানীয় একটি সালিসও বসে। ওই সালিসে টাকার বিনিময়ে রফাদফা করতে চাইলে অস্বীকৃতি জানায় ভুক্তভোগীর পরিবার। পরদিন সোমবার থানায় লিখিত অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগী মাদরাসাছাত্রীর মা।

চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খান জানান, সোমবার সকালে অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিকটিমকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে সাব্বির নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বিজনেস আওয়ার/১০ অক্টোবর, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, অভিযুক্ত আটক

পোস্ট হয়েছে : ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: কুমিল্লার চান্দিনায় মাদরাসাছাত্রীকে চোখ-মুখ বেঁধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুল কাদের সাব্বির (১৫) নামে এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (৯ অক্টোবর) সকালে মাদরাসাছাত্রীর মা মাহিনুর বেগম বাদী হয়ে ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই ঘটনায় পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় একজনকে আটক করে।

আটক আব্দুল কাদের সাব্বির কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মহিচাইল ইউনিয়নের পরচঙ্গা গ্রামের প্রবাসী মিজানুর রহমানের ছেলে। সে পেশায় অটোরিকশাচালক। ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্ত রুবেল ও ইউসুফ মহিচাইল ইউনিয়নের সদ্য ঘোষিত শ্রমিক লীগ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

জানা যায়, চান্দিনার একটি মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী শনিবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে মায়ের কিস্তির টাকা দিয়ে সাব্বিরের অটোরিকশাযোগে বাড়ি ফেরার পথে মহিচাইল সিংহবাড়ি অতিক্রম করার পর মহিচাইল গ্রামের রুবেল, ইউসুফসহ তিনজন অটোরিকশায় উঠে চোখ-বেঁধে তুলাপুকুরিয়া এলাকায় নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে একটি ঘরে নিয়ে হাত-পা ও চোখ বেঁধে ধর্ষণ করে।

মাদরাসাছাত্রী জানায়, আমার চোখ বাঁধা থাকায় কে বা কয়জন ধর্ষণ করেছে বলতে পারছি না। তবে শুরু থেকে তারা চারজন ছিল। ধর্ষণের পর রাস্তায় নিয়ে আমার চোখ খুলে আমাকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে আমি বাড়িতে গিয়ে আমার পরিবারকে বিষয়টি জানাই।

এদিকে সোমবার সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, শনিবার ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠে এলাকার কিছু মাতবর। এই ঘটনায় রবিবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে স্থানীয় একটি সালিসও বসে। ওই সালিসে টাকার বিনিময়ে রফাদফা করতে চাইলে অস্বীকৃতি জানায় ভুক্তভোগীর পরিবার। পরদিন সোমবার থানায় লিখিত অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগী মাদরাসাছাত্রীর মা।

চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খান জানান, সোমবার সকালে অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিকটিমকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে সাব্বির নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বিজনেস আওয়ার/১০ অক্টোবর, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: