বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: রাজনীতিক ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, ‘আমরা সারা বছর অপেক্ষা করি প্রধানমন্ত্রী কবে বিদেশে যাবেন। বিদেশ থেকে আসার পর উনি সংবাদ সম্মেলন করবেন। এই সংবাদ সম্মেলন দেখে আমরা আমাদের যত দুঃখ, মামলা-মোকদ্দমা সব ভুলে যাই। আমরা মজার সিনেমা দেখলে যতটা আনন্দ পাই, তার চেয়েও বেশি আনন্দ পাই প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন দেখে। আমাদের আন্দোলন, রোডমার্চ— এসব করা লাগবে তাই করি। তবে আমাদের প্রধান টার্গেট হলো প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে কী বলবেন। বঙ্গবন্ধুকন্যার কথা শুনে আমাদের মন ভরে না, আরও শুনতে ইচ্ছে করে।’
বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন, ‘একটা দলকে টিকিয়ে রাখার জন্য আমাদের আসলে এখন একটা কিছু করা দরকার। তাই এই রোডমার্চ করছি, এটি শান্তিপূর্ণ, গান্ধীবাদী আন্দোলন।’
বিএনপির নির্বাচনে আসার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী যদি আমাদের বাধ্য করেন, পিঠমোড়া করে বাঁধেন; তবে তো আসতেই হবে। আমরা বিএনপির যারা বড় বড় কথা বলি, যেমন সিনহা সাহেবকে যে সিনহা থেরাপি দেওয়া হয়েছে তা যদি মির্জা ফখরুল সাহেব, গোলাম মাওলা রনিকে দেওয়া হয়, তা হলে দেখবেন ভাষা চেঞ্জ হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তবে ওই সিনহা থেরাপি তো তিন বছর আগের, এখন ২০২৩ সালের থেরাপিটা কেমন হবে; এখন তো কাঁঠাল, ডিম, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের থেরাপির কথা শুনতেছি। আগে তো জানতাম ইলেকট্রিক শক দেয়, সেটা তো আমরা বুঝি। কিন্তু পারমাণবিক বিদ্যুতের শক যে কেমন সেটা তো আমরা এখনো জানি না। এখন আমরা ওই পারমাণবিক থেরাপির অপেক্ষায় আছি। আমরা শুধু ভাবছি, ওই থেরাপিটা দিলে আমাদের অবস্থাটা কেমন হবে। যদি আমাদের বিএনপির ১০০ নেতাকে ধরে নিয়ে গিয়ে পারমাণবিক চুল্লির ওপর বসিয়ে দেয়। আমি ওই ভয়ে নেতা শব্দটা বাদ দিয়েছি। যাতে ওর মধ্যে আমার নামটা না পড়ে। থেরাপির ভয়ে এখন আমি নেতা থেকে কর্মী হয়ে গেছি।’
বিজনেস আওয়ার/১৫ অক্টোবর, ২০২৩/এএইচএ