ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘জয় বাংলা’ বলে বরখাস্ত শিক্ষক, সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশ

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩
  • 74

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ার কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জেলা শিক্ষা অফিসারকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মো. শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. বশির আহমেদ। জেলা শিক্ষা অফিসারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট গাজী মোস্তাক আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

এর আগে গত ৩০ আগস্ট নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় শোক দিবসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ার কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে বরখাস্তের ঘটনায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে তলব করেন হাইকোর্ট। ১৮ অক্টোবর তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

একইসঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’ বলার কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে বরখাস্ত করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় শোক দিবসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় দরিকাছিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাসুদুর রহমানকে এমপির নির্দেশে বরখাস্ত করে জেলা শিক্ষা অফিস। গত ২২ আগস্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম নবী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

গুরুদাসপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খ. ম. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় এমপি আব্দুল কুদ্দুসের নির্দেশে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এর আগে মাসুদুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলে তিনি দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে ওই শিক্ষকের জবাবের বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠানো হলে তিনি সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন। পরে এ ঘটনা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন বশির আহমেদ।

এএইচএ/

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

‘জয় বাংলা’ বলে বরখাস্ত শিক্ষক, সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশ

পোস্ট হয়েছে : ০৩:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ার কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জেলা শিক্ষা অফিসারকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মো. শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. বশির আহমেদ। জেলা শিক্ষা অফিসারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট গাজী মোস্তাক আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

এর আগে গত ৩০ আগস্ট নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় শোক দিবসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ার কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে বরখাস্তের ঘটনায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে তলব করেন হাইকোর্ট। ১৮ অক্টোবর তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

একইসঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’ বলার কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে বরখাস্ত করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় শোক দিবসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় দরিকাছিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাসুদুর রহমানকে এমপির নির্দেশে বরখাস্ত করে জেলা শিক্ষা অফিস। গত ২২ আগস্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম নবী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

গুরুদাসপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খ. ম. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় এমপি আব্দুল কুদ্দুসের নির্দেশে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এর আগে মাসুদুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলে তিনি দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে ওই শিক্ষকের জবাবের বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠানো হলে তিনি সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন। পরে এ ঘটনা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন বশির আহমেদ।

এএইচএ/

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: