ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উত্তরা গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩
  • 66

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ফিল্মি কায়দায় ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা পাচারের চেষ্টার অভিযোগে উত্তরা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান গিরিধারী লাল মোদীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অন্য আসামিরা হলেন- উত্তরা গ্রুপের পরিচালক গণেশ লাল মোদী, উত্তরা ট্রেডার্সের সেলস ম্যানেজার অজয় চক্রবর্তী, মো. লিয়াকত আলী খান ও উত্তরা ট্রেডার্সের ড্রাইভার আলী হোসেন।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ এর (৩) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

২০০৫ সালে ১০ অক্টোবর আসামি গিরিধারী লাল মোদী যশোরে উত্তরা ট্রেডার্সের সেল সেন্টার থেকে টাকা আনার জন্য আসামি মো. লিয়াকত আলী খান ও আসামি আলী হোসেন (ড্রাইভার) ও তার চাচাতো ভাই গণেশ লাল মোদীকে বলেন। পরের দিন আসামিরা ওই সেল সেন্টারের ম্যানেজার অজয় চক্রবর্তীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে একটি সুটকেস ও কার্টন ভরে গাড়ির পেছনে লোড করেন। ওই সুটকেসের ওপর একটি জাম্বুরার বস্তা ও কিছু বড় বড় কচু রেখে গাড়ির ব্যাক-ডালা বন্ধ করে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হন। গাড়িটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার সংবাদ পেয়ে পুলিশের সোর্স সোনা মিয়াসহ মোট পাঁচজন পাটুরিয়া ফেরিঘাটে অবস্থান নেন।

গাড়িটি ফেরিপার হলে, সেটিকে ঢাকার সাভারে জব্দ করা হয়। সংশ্লিষ্ট থানার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে গাড়ির ব্যাক-ডালা খুলে টাকার সুটকেস ও কার্টন খুলে ৫৮ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। এসময় আরোহী লিয়াকত আলী খানকে ও ড্রাইভার আলী হোসেনকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা হয়।

জানা যায়, সাভারে আসার আগে আশুলিয়া পুলিশ ক্যাম্প হতে থানায় আসার পথে আশুলিয়া থানা ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম খলিল, আর্মড এসআই আমিনুল ইসলাম ও সোর্সদের সহযোগিতায় জব্দ করা গাড়ি হতে এক কোটি ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে এবং টাকাগুলো সোর্সদের ব্যবহৃত গাড়িতে আড়াল করে রাখে। পরবর্তীতে সাভার থানা পুলিশ এসআই আমিনুল ইসলাম ও সোর্সদের কাছ থেকে আত্মসাৎ করা ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা উদ্ধার করেন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সাভার থানার এসআই শওকত আলম বাদী ইব্রাহিম খলিল আমিনুল ইসলামসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন।

দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়, গাড়ি থেকে জব্দ করা মোট ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকার উৎস সম্পর্কে গিরিধারী লাল মোদী ও গণেশ লাল মোদী কোনো কাগজপত্র বা প্রমাণাদি উপস্থাপন করতে পারেননি। আসামিরা অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জিত ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা যশোর হতে ঢাকা এনে হুন্ডির মাধ্যমে পাচারের জন্য স্থানান্তর/হস্তান্তর/রূপান্তর করে মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধ করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয়েছে।

এএইচএ/

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

উত্তরা গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

পোস্ট হয়েছে : ০৬:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ফিল্মি কায়দায় ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা পাচারের চেষ্টার অভিযোগে উত্তরা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান গিরিধারী লাল মোদীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অন্য আসামিরা হলেন- উত্তরা গ্রুপের পরিচালক গণেশ লাল মোদী, উত্তরা ট্রেডার্সের সেলস ম্যানেজার অজয় চক্রবর্তী, মো. লিয়াকত আলী খান ও উত্তরা ট্রেডার্সের ড্রাইভার আলী হোসেন।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ এর (৩) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

২০০৫ সালে ১০ অক্টোবর আসামি গিরিধারী লাল মোদী যশোরে উত্তরা ট্রেডার্সের সেল সেন্টার থেকে টাকা আনার জন্য আসামি মো. লিয়াকত আলী খান ও আসামি আলী হোসেন (ড্রাইভার) ও তার চাচাতো ভাই গণেশ লাল মোদীকে বলেন। পরের দিন আসামিরা ওই সেল সেন্টারের ম্যানেজার অজয় চক্রবর্তীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে একটি সুটকেস ও কার্টন ভরে গাড়ির পেছনে লোড করেন। ওই সুটকেসের ওপর একটি জাম্বুরার বস্তা ও কিছু বড় বড় কচু রেখে গাড়ির ব্যাক-ডালা বন্ধ করে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হন। গাড়িটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার সংবাদ পেয়ে পুলিশের সোর্স সোনা মিয়াসহ মোট পাঁচজন পাটুরিয়া ফেরিঘাটে অবস্থান নেন।

গাড়িটি ফেরিপার হলে, সেটিকে ঢাকার সাভারে জব্দ করা হয়। সংশ্লিষ্ট থানার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে গাড়ির ব্যাক-ডালা খুলে টাকার সুটকেস ও কার্টন খুলে ৫৮ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। এসময় আরোহী লিয়াকত আলী খানকে ও ড্রাইভার আলী হোসেনকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা হয়।

জানা যায়, সাভারে আসার আগে আশুলিয়া পুলিশ ক্যাম্প হতে থানায় আসার পথে আশুলিয়া থানা ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম খলিল, আর্মড এসআই আমিনুল ইসলাম ও সোর্সদের সহযোগিতায় জব্দ করা গাড়ি হতে এক কোটি ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে এবং টাকাগুলো সোর্সদের ব্যবহৃত গাড়িতে আড়াল করে রাখে। পরবর্তীতে সাভার থানা পুলিশ এসআই আমিনুল ইসলাম ও সোর্সদের কাছ থেকে আত্মসাৎ করা ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা উদ্ধার করেন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সাভার থানার এসআই শওকত আলম বাদী ইব্রাহিম খলিল আমিনুল ইসলামসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন।

দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়, গাড়ি থেকে জব্দ করা মোট ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকার উৎস সম্পর্কে গিরিধারী লাল মোদী ও গণেশ লাল মোদী কোনো কাগজপত্র বা প্রমাণাদি উপস্থাপন করতে পারেননি। আসামিরা অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জিত ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা যশোর হতে ঢাকা এনে হুন্ডির মাধ্যমে পাচারের জন্য স্থানান্তর/হস্তান্তর/রূপান্তর করে মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধ করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয়েছে।

এএইচএ/

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: