বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: সর্বজনীন পেনশন তহবিলের অর্থ ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ।
জমা হওয়া অর্থের সিংহভাগই এই খাতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ।
আগামীকাল রোববার (২২ অক্টোবর) এ বিষয়ে প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।
রোববার দুপুরে অর্থ বিভাগের সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার সভাপতিত্ব করবেন। অনুষ্ঠানে অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান অর্থমন্ত্রীর কাছে সর্বজনীন পেনশন তহবিলের অর্থে ক্রয় করা ট্রেজারি বন্ড হস্তান্তর করবেন বলে জানা গেছে।
বিধিমালা হওয়ার পর অন্যান্য খাতে অর্থ বিনিয়োগের ব্যাপারে নেয়া হবে সিদ্ধান্ত। জনগণের অর্থ যাতে নিশ্চিতভাবে ফিরিয়ে দেয়া যায়- সেই জন্যই দ্রুত বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থ ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার দরকার আছে।
দুই মাসের বেশি সময় ধরে শুরু হয়েছে সর্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রম। চারটি স্কিমে চার শ্রেণির মানুষ করছে অর্থ বিনিয়োগ।
গেল ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত পেনশন স্কিমে যুক্ত হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। মোট বিনিয়োগ ১২ কোটি ৯ লাখ টাকা। সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ হয়েছে প্রগতি স্কিমে; তারপরই সুরক্ষা স্কিমের অবস্থান। প্রবাস এবং সমতা স্কিমে তুলনামূলক বিনিয়োগ কম।
এ ব্যাপারে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, যত দ্রুত সম্ভব পেনশনের টাকা বিনিয়োগ করা দরকার। জনগণ আমাদের টাকা দিয়েছে, সেই টাকা যদি আমরা রিটার্ন আনতে না পারি, তাদের প্রত্যাশা কিন্তু পূরণ হবে না।
তিনি বলেন, এ জন্য আইনের আওতায় যদি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করি তাহলে, কোনো আইনগত সমস্যা হবে না। ১১ কোটি টাকার বেশি আমরা বিনিয়োগ করবো এখানে।
তবে, পুঁজিবাজার অথবা কোনো প্রকল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এখনই সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে না জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে বিধিমালা সম্পন্ন হলেই উদ্যোগ নেয়া হবে।
বলা হচ্ছে অর্থ ব্যবস্থাপনায়, আমলা নির্ভরতা কমিয়ে দক্ষ মানুষদের সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন।প্রচারণার অভাবে পেনশন স্কিমে কাঙ্ক্ষিত সাড়া মিলছে না বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।
বিজনেস আওয়ার/এএইচএ