আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের জালান মুন্সি আবদুল্লাহর একটি বিলাসবহুল কনডোমিনিয়ামে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশিসহ ১৩৬ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাত ১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।
নজরদারি ও জনসাধারণের অভিযোগের পর এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ।
আটকদের মধ্যে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ডের ২০ থেকে ৭০ বছর বয়সী ১৩০ জন পুরুষ ও ছয় জন নারী রয়েছেন। দেশটিতে অতিরিক্ত সময় ধরে অবস্থান এবং ভ্রমণের কাগজপত্র না থাকাসহ বিভিন্ন অপরাধের কারণে তাদের আটক করা হয়েছে। তবে আটকদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি, তা জানা যায়নি।
ইমিগ্রেশনের প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, বিদেশিরা তিন বা চার বেডরুমের ইউনিটসহ দুটি কনডোমিনিয়াম ব্লক ভাড়া নিয়েছিলেন, যার প্রতিটিতে কমপক্ষে আট জন বাস করছিলেন।
মহাপরিচালক গণমাধ্যমকে বলেন, কিছু লোককে পেন্টহাউসে থাকতে দেখা গেছে। বেশিরভাগ বিদেশি প্রতি মাসে ৫০০ থেকে ৮০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত ভাড়ায় ওই রুম নিয়েছিলেন।
রুসলিন আরও বলেন, ইউনিটগুলো বিদেশিরা নিজেরাই নাকি তাদের নিয়োগকর্তারা ভাড়া নিয়েছেন, তা জানতে বাড়ির মালিক ও কনডোমিনিয়াম ম্যানেজমেন্টকে তলব করবে ইমিগ্রেশন বিভাগ।
একই কনডোমিনিয়ামে এর আগেও অভিযান চালানো হয়েছিল এবং তখন বেশ কয়েকজন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
রুসলিন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতের অভিযানে পুত্রজায়া, মেলাকা, নেগেরি সেম্বিলান, কুয়ালালামপুর ও কেএলআইএ থেকে ৩৩৮ জন অভিবাসন কর্মীর সমন্বয়ে মোট তিন হাজার ১৬ জন বিদেশির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এর মধ্যে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ১৩৬ জনকে আটক করা হয়।
আটকদের ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট অ্যাক্ট ১৯৬৬ ও ইমিগ্রেশন রেগুলেশনস ১৯৬৩ এর অধীনে আরও অধিকতর তদন্তে সিমুনিয়াহ, সেলাঙ্গরের অভিবাসন ডিপোতে নিয়ে রাখা হয়েছে।
ইমিগ্রেশন বিভাগ জানুয়ারি থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত সাত হাজার ১৬৯টি অভিযান পরিচালনা করেছে। এসব অভিযানে ৪৮ হাজার ৬৫৬ জন অবৈধ অভিবাসী ও ২৪৫ জন নিয়োগকর্তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ।
বিজনেস আওয়ার/এএইচএ