ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলতি মাসেও নিম্ন গতিতে রেমিট্যান্স

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩
  • 77

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ আসা কমে যাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরেই। নানা উদ্যোগ নেওয়ার পরও প্রবাসী আয়ের গতি খুব বাড়েনি। আগের সেই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসেও, ২০ দিনে রেমিট্যান্স এল মাত্র ১২৫ কোটি ডলার।

রোববার (২২ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি অক্টোবরের প্রথম ২০ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধপথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১২৫ কোটি ৭০ হাজার ডলার। এতে দৈনিক রেমিট্যান্স আসছে ৬ কোটি ২৫ লাখ মার্কিন ডলার।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকগুলোতে এখন রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ডলারের মূল্য ১১০ টাকা। আমদানিকারকদের কাছে বিক্রির ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। আন্তঃব্যাংক ব্যবস্থায় ডলারের মূল্যও ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু খোলা মুদ্রাবাজারে ডলারের দর ১১৮ টাকা। যার কারণে হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন প্রবাসীরা। ফলে আনুষ্ঠানিক বা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমে যাচ্ছে। বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক রেমিট্যান্স। কেননা এই সূচকের বাড়া-কমার ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে রিজার্ভের উত্থান-পতন।

‌বিষয়‌টি বিবেচনা ক‌রে এখন রে‌মিট্যা‌ন্সের ডলার বাড়‌তি আড়াই শতাংশ বেশি দামে কিনতে পারবে ব্যাংকগুলো। অর্থাৎ রেমিট্যান্স আনতে সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনার স‌ঙ্গে এবার ব্যাংকগুলো চাইলে ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দি‌তে পারবে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি মাসের ২০ দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১০ কোটি ৩১ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স কমেছে ৩৭ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার। আর সবশেষ সেপ্টেম্বরে আসে ১৩৪ কোটি ডলার যা গত ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে ১০৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

চলতি মাসেও নিম্ন গতিতে রেমিট্যান্স

পোস্ট হয়েছে : ০৫:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ আসা কমে যাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরেই। নানা উদ্যোগ নেওয়ার পরও প্রবাসী আয়ের গতি খুব বাড়েনি। আগের সেই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসেও, ২০ দিনে রেমিট্যান্স এল মাত্র ১২৫ কোটি ডলার।

রোববার (২২ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি অক্টোবরের প্রথম ২০ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধপথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১২৫ কোটি ৭০ হাজার ডলার। এতে দৈনিক রেমিট্যান্স আসছে ৬ কোটি ২৫ লাখ মার্কিন ডলার।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকগুলোতে এখন রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ডলারের মূল্য ১১০ টাকা। আমদানিকারকদের কাছে বিক্রির ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। আন্তঃব্যাংক ব্যবস্থায় ডলারের মূল্যও ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু খোলা মুদ্রাবাজারে ডলারের দর ১১৮ টাকা। যার কারণে হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন প্রবাসীরা। ফলে আনুষ্ঠানিক বা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমে যাচ্ছে। বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক রেমিট্যান্স। কেননা এই সূচকের বাড়া-কমার ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে রিজার্ভের উত্থান-পতন।

‌বিষয়‌টি বিবেচনা ক‌রে এখন রে‌মিট্যা‌ন্সের ডলার বাড়‌তি আড়াই শতাংশ বেশি দামে কিনতে পারবে ব্যাংকগুলো। অর্থাৎ রেমিট্যান্স আনতে সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনার স‌ঙ্গে এবার ব্যাংকগুলো চাইলে ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দি‌তে পারবে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি মাসের ২০ দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১০ কোটি ৩১ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স কমেছে ৩৭ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার। আর সবশেষ সেপ্টেম্বরে আসে ১৩৪ কোটি ডলার যা গত ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে ১০৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: