আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন নাগরিকদের ইরাকে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে সম্প্রতি মার্কিন সৈন্য ও কর্মকর্তাদের ওপর হামলা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওয়াশিংটন।
নাগরিকদের উদ্দেশ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পরামর্শে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ, অপহরণ, সশস্ত্র সংঘাত, নাগরিক অস্থিরতা এবং মার্কিন নাগরিকদের সহায়তা দেওয়ার জন্য মিশন ইরাকের সীমিত ক্ষমতার কারণে ইরাকে ভ্রমণ করবেন না।
গাজায় ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলার ঘটনা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ইয়েমেন থেকে ইরান-সমর্থিত হুথিদের ছোঁড়া এক ডজনেরও বেশি ড্রোন এবং চারটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ।
নতুন করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে বাগদাদের মার্কিন দূতাবাস এবং ইরবিলের ইউএস কনস্যুলেট জেনারেলের কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্য এবং অনাবশ্যক মার্কিন কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এর পেছনে ‘মার্কিন কর্মী এবং স্বার্থের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা হুমকির কারণ’ দেখিয়েছিল পররাষ্ট্র দপ্তর।
বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী মিলিশিয়ারা ইরাকজুড়ে মার্কিন নাগরিক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে হুমকি দিচ্ছে।
রোববার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সৈন্যদের ওপর এবং ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধকে প্রসারিত করতে ইরানের আক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
হামাসের সঙ্গে সংঘাতে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানাতে এরই মধ্যে দুটি রণতরীসহ বিপুল সংখ্যক সমরাস্ত্র ও সৈন্য মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে রয়েছে মার্কিন নৌবাহিনীর সবচেয়ে উন্নত ও বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস ফোর্ডও।
সূত্র: রয়টার্স
বিজনেস আওয়ার/এএইচএ