ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী উসকানি দিচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩
  • 54

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক নিয়ে একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ও কোচিং, নোটগাইড ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ উসকানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। গত জানুয়ারিতে এরা সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার লক্ষ্যে বই নিয়ে মিথ্যাচার করেছিল। এরা চায় না শিক্ষার্থীরা স্বাধীনভাবে শিখতে, চিন্তা করতে শিখুক, অনুসন্ধিৎসু হোক, মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তচিন্তার চর্চা করুক। ওরা চায় মগজ ধোলাইয়ের শিক্ষাই চালু থাকুক। এসব অপপ্রচারে কান না দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের অনুরোধ জানান তিনি।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানী সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে নতুন কারিকুলাম নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

দীপু মনি বলেন, যেকোনো পরিবর্তনই মেনে নিতে, খাপ খাইয়ে নিতে কষ্ট হয়। শিক্ষার রূপান্তরের জন্য নতুন কারিকুলাম এগিয়ে নেওয়া অবশ্যম্ভাবী। তার কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে নিজে যাচাই করুন। সঠিক তথ্য জানতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের ফাঁদে পা না‌ দেওয়ারও অনুরোধ জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী নাগরিক তৈরির লক্ষ্যে শিক্ষাব্যবস্থার রূপান্তরের জন্য নতুন কারিকুলাম গ্রহণ করা হয়। নতুন এই কারিকুলামে শিক্ষাব্যবস্থার রূপান্তরের মধ্য দিয়েই ভবিষ্যতের স্মার্ট শিক্ষার্থীর বুনিয়াদ রচিত হবে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষাক্রম প্রণয়নের উদ্দেশে শিক্ষাব্যবস্থার সব ধারাকে বিবেচনা করে প্রথমবারের মতো জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এই রূপরেখা প্রণয়ন এবং তার ভিত্তিতে বিস্তারিত শিক্ষাক্রম, শিখন শেখানো সামগ্রী এবং মূল্যায়ন প্রক্রিয়া প্রণয়নের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, যা এর আগে কখনোই অনুসরণ করা হয়নি।

দীপু মনি বলেন, শিক্ষাক্রম প্রণয়নের আগে ২০১৭-২০১৮ সালে এনসিটিবির একটি গবেষণা পরিচালিত হয়, যার ভিত্তিতে এই রূপরেখা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয় বিধায় সরকার নতুন কারিকুলাম গ্রহণ করেছে।

শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে পৃথিবীর বাস্তবতা অনেকটাই পাল্টে যাচ্ছে। শ্রমনির্ভর অর্থনীতির মডেল সামনে হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও প্রযুক্তির প্রসারের ফলে ভবিষ্যতে নতুন অনেক কর্মসংস্থান তৈরি হবে, যার কারণে বর্তমান সময়ের অনেক পেশা ও শ্রম অচিরেই প্রাসঙ্গিকতা হারাবে। এই প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাংলাদেশের সম্ভাবনার দিক হলো, এ দেশের বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠী, যার জনমিতিক সুফল পেতে হলে অনতিবিলম্বে আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করা প্রয়োজন ছিল।

ব্রুকিংস রিপোর্ট (২০১৫) অব স্ক্রিলস ফর এ চেঞ্জিং ওয়ার্ল্ডে দেখা যায়, ১০২টি দেশের মধ্যে ৭৬টি দেশের শিক্ষাক্রমে সুনির্দিষ্টভাবে দক্ষতাভিত্তিক যোগ্যতাকে নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ৫১টি দেশের শিক্ষাক্রম সম্পূর্ণ রূপান্তরমূলক দক্ষতাভিত্তিক করা হয়েছে। ওইসিডি (২০১৮) ভুক্ত দেশগুলোও এই পরিবর্তিত সময়ের চাহিদা অনুযায়ী একটা সাধারণ শিক্ষাক্রম রূপরেখা তৈরি করেছে, বেশ কিছু উন্নয়নশীল দেশও যার অংশীদার।

দীপু মনি বলেন, এমনকি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর দিকে তাকালেও দেখা যায়– ভূটান, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ অন্যান্য দেশও তাদের শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারের কাজ শুরু করেছে। বাংলাদেশও একইভাবে শিক্ষাব্যবস্থায় একটি সার্বিক পরিবর্তনের তাগিদ অনুভব করছিল, যা একইসঙ্গে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জাতীয় শিক্ষার লক্ষ্য, শিখন-শেখানো প্রক্রিয়া, মূল্যায়ন, শিখন পরিবেশ, শিখন উপকরণ, শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, এলাকার জনগণসহ সব উপাদানের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে একই পরিবর্তনের ধারায় নিয়ে আসবে।

তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ সেই দীর্ঘ তাগিদ, পরিকল্পনা, গবেষণা ও অভিজ্ঞতার ফসল। কাজেই নিঃসন্দেহে এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।

নতুন কারিকুলামে সন্তানদের অভ্যস্ত করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপনার সন্তানের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভাবুন। তাদের দক্ষ, যোগ্য মানুষ হওয়ার কথা ভাবুন। তাদের যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়ে উৎকর্ষ লাভের কথা ভাবুন। একবার ভীষণ প্রতিযোগিতার চিন্তা থেকে বেরিয়ে সহযোগিতার, সহমর্মিতার চর্চার মধ্য দিয়ে সন্তানের ভালো মানুষ হওয়ার কথা ভাবুন।

দীপু মনি বলেন, শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণ চলছে। তাদেরও জীবনমান উন্নয়নে সরকার আরও পদক্ষেপ নেবে। কারণ এর কোনো বিকল্প নেই। কাজেই নতুন শিক্ষাক্রমকে স্বাগত জানান। নতুন প্রজন্মের জন্য সম্ভাবনার সব দ্বার উন্মুক্ত করুন। বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক তৈরিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে আপনার সমর্থনের মাধ্যমে আপনিও শরিক হোন।

তিনি বলেন, সরকার শিক্ষকদের জন্য ব্যাপক প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে, যা চলমান রয়েছে। সবার সহযোগিতায় এই রূপান্তর প্রক্রিয়ার যথাযথ বাস্তবায়ন আমাদের শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল আহসান নওফেল, মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সিনিয়র সচিব কামাল হোসেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী উসকানি দিচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী

পোস্ট হয়েছে : ০২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক নিয়ে একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ও কোচিং, নোটগাইড ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ উসকানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। গত জানুয়ারিতে এরা সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার লক্ষ্যে বই নিয়ে মিথ্যাচার করেছিল। এরা চায় না শিক্ষার্থীরা স্বাধীনভাবে শিখতে, চিন্তা করতে শিখুক, অনুসন্ধিৎসু হোক, মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তচিন্তার চর্চা করুক। ওরা চায় মগজ ধোলাইয়ের শিক্ষাই চালু থাকুক। এসব অপপ্রচারে কান না দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের অনুরোধ জানান তিনি।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানী সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে নতুন কারিকুলাম নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

দীপু মনি বলেন, যেকোনো পরিবর্তনই মেনে নিতে, খাপ খাইয়ে নিতে কষ্ট হয়। শিক্ষার রূপান্তরের জন্য নতুন কারিকুলাম এগিয়ে নেওয়া অবশ্যম্ভাবী। তার কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে নিজে যাচাই করুন। সঠিক তথ্য জানতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের ফাঁদে পা না‌ দেওয়ারও অনুরোধ জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী নাগরিক তৈরির লক্ষ্যে শিক্ষাব্যবস্থার রূপান্তরের জন্য নতুন কারিকুলাম গ্রহণ করা হয়। নতুন এই কারিকুলামে শিক্ষাব্যবস্থার রূপান্তরের মধ্য দিয়েই ভবিষ্যতের স্মার্ট শিক্ষার্থীর বুনিয়াদ রচিত হবে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষাক্রম প্রণয়নের উদ্দেশে শিক্ষাব্যবস্থার সব ধারাকে বিবেচনা করে প্রথমবারের মতো জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এই রূপরেখা প্রণয়ন এবং তার ভিত্তিতে বিস্তারিত শিক্ষাক্রম, শিখন শেখানো সামগ্রী এবং মূল্যায়ন প্রক্রিয়া প্রণয়নের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, যা এর আগে কখনোই অনুসরণ করা হয়নি।

দীপু মনি বলেন, শিক্ষাক্রম প্রণয়নের আগে ২০১৭-২০১৮ সালে এনসিটিবির একটি গবেষণা পরিচালিত হয়, যার ভিত্তিতে এই রূপরেখা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয় বিধায় সরকার নতুন কারিকুলাম গ্রহণ করেছে।

শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে পৃথিবীর বাস্তবতা অনেকটাই পাল্টে যাচ্ছে। শ্রমনির্ভর অর্থনীতির মডেল সামনে হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও প্রযুক্তির প্রসারের ফলে ভবিষ্যতে নতুন অনেক কর্মসংস্থান তৈরি হবে, যার কারণে বর্তমান সময়ের অনেক পেশা ও শ্রম অচিরেই প্রাসঙ্গিকতা হারাবে। এই প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাংলাদেশের সম্ভাবনার দিক হলো, এ দেশের বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠী, যার জনমিতিক সুফল পেতে হলে অনতিবিলম্বে আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করা প্রয়োজন ছিল।

ব্রুকিংস রিপোর্ট (২০১৫) অব স্ক্রিলস ফর এ চেঞ্জিং ওয়ার্ল্ডে দেখা যায়, ১০২টি দেশের মধ্যে ৭৬টি দেশের শিক্ষাক্রমে সুনির্দিষ্টভাবে দক্ষতাভিত্তিক যোগ্যতাকে নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ৫১টি দেশের শিক্ষাক্রম সম্পূর্ণ রূপান্তরমূলক দক্ষতাভিত্তিক করা হয়েছে। ওইসিডি (২০১৮) ভুক্ত দেশগুলোও এই পরিবর্তিত সময়ের চাহিদা অনুযায়ী একটা সাধারণ শিক্ষাক্রম রূপরেখা তৈরি করেছে, বেশ কিছু উন্নয়নশীল দেশও যার অংশীদার।

দীপু মনি বলেন, এমনকি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর দিকে তাকালেও দেখা যায়– ভূটান, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ অন্যান্য দেশও তাদের শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারের কাজ শুরু করেছে। বাংলাদেশও একইভাবে শিক্ষাব্যবস্থায় একটি সার্বিক পরিবর্তনের তাগিদ অনুভব করছিল, যা একইসঙ্গে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জাতীয় শিক্ষার লক্ষ্য, শিখন-শেখানো প্রক্রিয়া, মূল্যায়ন, শিখন পরিবেশ, শিখন উপকরণ, শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, এলাকার জনগণসহ সব উপাদানের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে একই পরিবর্তনের ধারায় নিয়ে আসবে।

তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ সেই দীর্ঘ তাগিদ, পরিকল্পনা, গবেষণা ও অভিজ্ঞতার ফসল। কাজেই নিঃসন্দেহে এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।

নতুন কারিকুলামে সন্তানদের অভ্যস্ত করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপনার সন্তানের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভাবুন। তাদের দক্ষ, যোগ্য মানুষ হওয়ার কথা ভাবুন। তাদের যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়ে উৎকর্ষ লাভের কথা ভাবুন। একবার ভীষণ প্রতিযোগিতার চিন্তা থেকে বেরিয়ে সহযোগিতার, সহমর্মিতার চর্চার মধ্য দিয়ে সন্তানের ভালো মানুষ হওয়ার কথা ভাবুন।

দীপু মনি বলেন, শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণ চলছে। তাদেরও জীবনমান উন্নয়নে সরকার আরও পদক্ষেপ নেবে। কারণ এর কোনো বিকল্প নেই। কাজেই নতুন শিক্ষাক্রমকে স্বাগত জানান। নতুন প্রজন্মের জন্য সম্ভাবনার সব দ্বার উন্মুক্ত করুন। বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক তৈরিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে আপনার সমর্থনের মাধ্যমে আপনিও শরিক হোন।

তিনি বলেন, সরকার শিক্ষকদের জন্য ব্যাপক প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে, যা চলমান রয়েছে। সবার সহযোগিতায় এই রূপান্তর প্রক্রিয়ার যথাযথ বাস্তবায়ন আমাদের শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল আহসান নওফেল, মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সিনিয়র সচিব কামাল হোসেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: