ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় সহিংসতা বন্ধের আহ্বান ম্যাক্রোঁর

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩
  • 73

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় সহিংসতা চলছেই। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর পর থেকে দখলদার ইসরাইলের হামলায় নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতদের প্রায় সবাই শিশু, নারী ও বেসামরিক নাগরিক। গাজা উপত্যকায় হামলা বন্ধ করতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (১১ নভেম্বর) প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে এ আহ্বান জানান ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

রাজধানী প্যারিসে এলিসি প্রাসাদে একটি আন্তর্জাতিক শান্তি ফোরামের ফাঁকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরাইলকে অবশ্যই গাজায় বোমাবর্ষণ ও বেসামরিক মানুষ হত্যা বন্ধ করতে হবে। গাজায় বোমা হামলার ‘কোনো যুক্তি নেই’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ম্যাক্রো মনে করেন, সেখানে যুদ্ধবিরতি হলে বরং ইসরাইলেই উপকৃত হবে।

ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর পাশাপাশি হামাসের ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধেও ‘স্পষ্টভাবে নিন্দা’ করছে ফ্রান্স। হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারকে স্বীকৃতিও দিয়েছে তারা। তবে এর মানে এই নয় যে, ইসরাইল বেসমারিক নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের ওপর অতর্কিত হামলা চালাবে।

এ বিষয়ে ইমানুয়েল ম্যাক্রো বলেন, প্রকৃতপক্ষে ইসরাইল বেসামরিক লোকদের ওপর বোমা হামলা চালাচ্ছে। শিশু, নারী ও বৃদ্ধ মানুষদের বোমা মেরে হত্যা করছে। এই হামলার কোনো মানে নেই। এই হামলাকে বৈধতাও দেওয়া যায় না। তাই আমরা ইসরাইলকে থামার জন্য অনুরোধ করছি।

ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য পশ্চিমা মিত্রদের মতো ফ্রান্সও হামাসকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে। যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের নেতারা তার এই যুদ্ধবিরতির আহ্বানে যোগ দিক, এটা তিনি চান কিনা জানতে চাওয়া হলে ম্যাক্রো বলেন, ‘আমি আশা করি, তারা (আমার আহ্বানের সঙ্গে) যোগ দেবে।’

ইতোমধ্যে গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনের এক মাস পেরিয়ে গেছে। তবু থেমে নেই যুদ্ধ। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ মারা গেছে প্রায় ১২ হাজার ফিলিস্তিনি। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হামলা আরও জোরদার করেছে ইসরাইল। সেই সঙ্গে গাজায় বেড়ে চলেছে হতাহতের সংখ্যা। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা, ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

গাজায় সহিংসতা বন্ধের আহ্বান ম্যাক্রোঁর

পোস্ট হয়েছে : ১২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় সহিংসতা চলছেই। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর পর থেকে দখলদার ইসরাইলের হামলায় নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতদের প্রায় সবাই শিশু, নারী ও বেসামরিক নাগরিক। গাজা উপত্যকায় হামলা বন্ধ করতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (১১ নভেম্বর) প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে এ আহ্বান জানান ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

রাজধানী প্যারিসে এলিসি প্রাসাদে একটি আন্তর্জাতিক শান্তি ফোরামের ফাঁকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরাইলকে অবশ্যই গাজায় বোমাবর্ষণ ও বেসামরিক মানুষ হত্যা বন্ধ করতে হবে। গাজায় বোমা হামলার ‘কোনো যুক্তি নেই’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ম্যাক্রো মনে করেন, সেখানে যুদ্ধবিরতি হলে বরং ইসরাইলেই উপকৃত হবে।

ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর পাশাপাশি হামাসের ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধেও ‘স্পষ্টভাবে নিন্দা’ করছে ফ্রান্স। হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারকে স্বীকৃতিও দিয়েছে তারা। তবে এর মানে এই নয় যে, ইসরাইল বেসমারিক নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের ওপর অতর্কিত হামলা চালাবে।

এ বিষয়ে ইমানুয়েল ম্যাক্রো বলেন, প্রকৃতপক্ষে ইসরাইল বেসামরিক লোকদের ওপর বোমা হামলা চালাচ্ছে। শিশু, নারী ও বৃদ্ধ মানুষদের বোমা মেরে হত্যা করছে। এই হামলার কোনো মানে নেই। এই হামলাকে বৈধতাও দেওয়া যায় না। তাই আমরা ইসরাইলকে থামার জন্য অনুরোধ করছি।

ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য পশ্চিমা মিত্রদের মতো ফ্রান্সও হামাসকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে। যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের নেতারা তার এই যুদ্ধবিরতির আহ্বানে যোগ দিক, এটা তিনি চান কিনা জানতে চাওয়া হলে ম্যাক্রো বলেন, ‘আমি আশা করি, তারা (আমার আহ্বানের সঙ্গে) যোগ দেবে।’

ইতোমধ্যে গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনের এক মাস পেরিয়ে গেছে। তবু থেমে নেই যুদ্ধ। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ মারা গেছে প্রায় ১২ হাজার ফিলিস্তিনি। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হামলা আরও জোরদার করেছে ইসরাইল। সেই সঙ্গে গাজায় বেড়ে চলেছে হতাহতের সংখ্যা। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা, ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: