বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: কোঁকড়া চুল নিয়ে অনেকেই সমস্যায় ভোগেন। এ ধরনের চুলে প্রায়ই আগা ফাটা, শুষ্ক ও শক্ত হয়ে যাওয়া, নিয়মিত চুলে জট পড়া ইত্যাদি দেখা যায়। অনেক সময় বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করেও এসব সমস্যায় সমাধান পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে ঘরোয়া পদ্ধতিতেই নিতে পারেন কোঁকড়া চুলের যত্ন।
প্রকৃত যত্নের অভাবে কোঁকড়া চুল আরও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া অনেকেই সারা দিনে বিভিন্ন কাজ নিয়ে এত ব্যস্ত থাকেন যে, বাড়তি নজর দিয়ে কোঁকড়া চুলের যত্ন নেওয়া হয়ে ওঠে না। তবে ঘরোয়া উপাদানে সহজ কয়েকটি প্যাকের মাধ্যমে কোঁকড়া চুলের যত্ন নিতে পারেন সহজেই।
ডিম এবং অলিভ অয়েল
শরীরের যত্ন নিতে এই দুটি উপকরণের জুড়ি মেলা ভার। তবে কোঁক়ড়া চুলের যত্নেও ডিম এবং অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারতে পারেন। অলিভ অয়েল, সামান্য অ্যাভোকাডো অয়েল, নারকেল তেল এবং ডিমের সাদা অংশ একসঙ্গে ফেটিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। কোঁকড়া চুল মসৃণ রাখতে এই প্যাকের উপর ভরসা রাখতে পারেন।
দই এবং ভিনেগার
টক দই আর আপেল সিডার ভিনেগার কোঁকড়া চুলের খেয়াল রাখতে পারে। এই দুটি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে বাড়িতেই প্যাক বানিয়ে নিন। চুলে লাগিয়ে ঘণ্টাখানেক রেখে ধুয়ে ফেলুন। চুল কোমল এবং মসৃণ হবে।
বেকিং সোডা
রান্নার নানা টুকিটাকি কাজে বেকিং সোডার ব্যবহার হয়েই থাকে। তবে কোঁক়়ড়া চুলের দেখাশোনাতেও বেকিং সোডা কম উপকারী নয়। শ্যাম্পুর মধ্যে খানিক বেকিং সোডা মিশিয়ে মাখলে সত্যিই উপকার পাওয়া যাবে। চুলের গোড়াও শক্ত হবে।
জবা ও মধু
জবা সাধারণত চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি মাথার ত্বকে থাকা দূষিত পদার্থ, ঘা ও খুশকি দূর করে এবং চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ করে। এর সাথে মধু যোগ করলে চুলকে মসৃণ করে তোলে। কয়েকটি জবা ফুল ও পাতা নিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর পুরো চুলে মেখে ২০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। পরেরদিন শ্যাম্পু করে ফেলুন।
বিজনেস আওয়ার/ এএইচএ