বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ২০২৪ সালে পবিত্র হজের কার্যক্রমের জন্য প্রথম পর্যায়ে ৭৮৬টি এজেন্সির অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) প্রথম পর্যায়ে অনুমোদিত হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, প্রত্যেক হজযাত্রীর সঙ্গে হজ এজেন্সির লিখিত চুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক এজেন্সি সৌদি সরকার নির্ধারিত হজযাত্রী পাঠাতে পারবে। প্রত্যেক হজ এজেন্সিকে মিনা, আরাফাহ ও মুজদালিফায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক হজকর্মী নিয়োগ করতে হবে।
অনিবন্ধিত কোনো ব্যক্তিকে হজযাত্রী হিসেবে হজে নেওয়া যাবে না। যদি কোনো এজেন্সি এ ধরনের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করে তাহলে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়া লাইসেন্স বাতিলসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
তালিকা প্রকাশের পর কোনো হজ এজেন্সি দণ্ডিত হলে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় কোনো কারণ দর্শানো ছাড়া সংশ্লিষ্ট এজেন্সির নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে পারবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, প্রত্যেক এজেন্সিকে হালনাগাদ হজ লাইসেন্স, ট্রাভেল লাইসেন্স এবং ট্রেড লাইসেন্স দাখিল করে পরিচালক হজের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। সৌদি সরকারের নির্ধারিত সংখ্যক হজ এজেন্সি সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে পারবে।
যেসব এজেন্সির লাইসেন্স হালনাগাদ নেই, ঠিকানায় ভিন্নতা রয়েছে, দণ্ডপ্রাপ্ত, সৌদি আরবে কালো তালিকাভুক্ত এবং অভিযোগ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়াধীন, সেসব এজেন্সির নাম প্রথম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের মতো আগামী বছরও (২০২৪ সাল) বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটা ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটা এক লাখ ১৭ হাজার জন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
সরকারিভাবে আগামী বছর হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বিশেষ হজ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। হজ এজেন্সিগুলো সরকারি প্যাকেজের সঙ্গে সমন্বয় করে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে।
বিজনেস আওয়ার/এএইচএ