বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, আল কায়েদা বা আইএস নেতারা যেভাবে গোপন আস্তানা থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করতো, এখন রিজভীও (রুহুল কবির রিজভী) সে রকম গোপন আস্তানা থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করছেন। আর অবরোধের নামে যানবাহনে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করাই হলো তাদের কর্মসূচি।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনেকেই প্রশ্ন রেখেছেন যে, রিজভী গোপন আস্তানা থেকে কর্মসূচি অর্থাৎ পেট্রল বোমা নিক্ষেপের ঘোষণা দিচ্ছেন, প্রতিদিন অনেক গাড়িতে আগুন দেওয়া হচ্ছে, তারপরও তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, যারা মানুষ ও যানবাহনে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করছে, হামলার পরিচালনা করছে, অনেকে দাবি তুলেছেন, পুলিশ কেন দেখামাত্র তাদের গুলি করে না। আজ দাবি উঠেছে প্রত্যেক সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। যতদিন এ ধরনের চোরাগোপ্তা হামলা চলবে, ততদিন গ্রেপ্তার অভিযানও চলবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, কেউ মুরুব্বিয়ানা করবেন না। যারা মানবাধিকারের ধুয়া তোলেন, আমাদের দেশের মানবাধিকার সংগঠন, বুদ্ধিজীবী যারা মাঝে মধ্যে বিবৃতি দেন, দেখলাম তারা মির্জা ফখরুল সাহেবের মুক্তির জন্য বিবৃতি দিয়েছেন। তারা কেমন বুদ্ধিজীবী যে, এ আগুন সন্ত্রাস, পুলিশ হত্যা, নারী কর্মীদের হেনস্থা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা, হাসপাতালে হামলা এগুলোর বিরুদ্ধে বিবৃতি দিলেন না। বুদ্ধিজীবীরা বুদ্ধি করে নিশ্চুপ আছেন, নাকি সব বুদ্ধি লোপ পেয়েছে, সেটিই প্রশ্ন।
আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২৮ অক্টোবর কিছু করতে না পেরে এখন গার্মেন্টসে অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা হচ্ছে। শ্রমিক ভাইদের বলব, নিজের প্রতিষ্ঠানে হামলা বা ভাঙচুর করা মানে নিজের গায়ে আঘাত দেওয়া। কারণ, সে প্রতিষ্ঠান আপনাকে এবং দেশকে বাঁচিয়ে রেখেছে। তাই কারো প্ররোচনায় প্ররোচিত হবেন না।
তিনি বলেন, যারা হামলার প্ররোচনা দেন, তারা নিজেদের শ্রমিক সংগঠনের নেতা হিসেবে পরিচয় দেন। কিন্তু তারা কেউ শ্রমিক নন। তাদের ঢাকা শহরে দামি ফ্ল্যাট আছে, গাড়ি আছে। তারা মিটিংয়ে যখন যান, তখন রিকশায় যান, গাড়ি দূরে রেখে যান, খবর আছে আমাদের কাছে। আর তারা বাড়িতে কাউকে ডাকেন না, অফিসে ডাকেন। কারণ নেতার এত সুন্দর বাড়ি দেখলে তো শ্রমিকরা বিগড়ে যাবেন। শ্রমিক নামধারী বড়লোক নেতারাই উসকে দিচ্ছেন, বিএনপি-জামায়াত বাতাস দিচ্ছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পোশাক শ্রমিকদের বেতন খালেদা জিয়ার সময় ৮০০ টাকা ছিল। প্রধানমন্ত্রী বাড়িয়ে বাড়িয়ে তা এখন ১২ হাজার ৫০০ টাকা করেছেন। দেশের শ্রমিকরা আমাদের ভাই, আমাদের বোন। আপনারা কষ্ট করেন, দেশের অর্থনীতির চাকা চলে। যারা প্ররোচনা দিয়ে আপনাদের প্রতিষ্ঠানে বাইরে থেকে গিয়ে হামলা করছে, তাদের চিহ্নিত করুন এবং আইনের হাতে তুলে দিন। সরকার আপনাদের পাশে আছে। শেখ হাসিনা আপনাদের পাশে আছেন এবং থাকবেন।
বিজনেস আওয়ার/এএইচএ