ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজার আল-শিফা হাসপাতাল এখন বড় কবরস্থান

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩
  • 150

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় চিকিৎসাকেন্দ্র আল-শিফা হাসপাতালে ১৭৯ জনকে কবর দেওয়া হয়েছে। সেখানে গণকবর খুঁড়ে তাদের সমাহিত করা হয়েছে।

আল-শিফার পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা তাদের গণকবরে সমাহিত করতে বাধ্য হয়েছি।’ যাদের হাসপাতাল প্রাঙ্গনেই চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে তাদের মধ্যে ৭ জন হলো শিশু। আর ২৯ জন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি ছিলেন।

গত তিন-চারদিন ধরে আল-শিফা হাসপাতালকে ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। হাসপাতালটির চারপাশে ট্যাংক নিয়ে অবস্থান নিয়েছে তারা। দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতাল ঘিরে ধরে রাখা ছাড়াও এটির ভেতর সরাসরি হামলা চালিয়েছে। এতে করে আল-শিফা হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলর মধ্যে যুদ্ধ বাধার পর গাজা উপত্যকার বৃহৎ এ হাসপাতাল প্রাঙ্গনে আশ্রয় নিয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। এছাড়া আহত হয়ে ভর্তি ছিলেন আরও কয়েকশ মানুষ। কিন্তু ইসরায়েলি সেনারা ট্যাংক নিয়ে হাসপাতালের কাছে আসার পর এবং এটির ভেতর সরাসরি হামলা চালানোর পর অনেকে সেখান থেকে চলে যান।

জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া আল-শিফা হাসপাতালের ভেতর এখন সবচেয়ে শঙ্কায় আছে ইনকিউবেটরে থাকা সদ্যই জন্ম নেওয়া কয়েকজন শিশু।

যদিও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, এসব শিশুকে সরিয়ে নিতে তারা সহায়তা করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো কিছু দেখা যায়নি।

সূত্র: আল জাজিরা

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

গাজার আল-শিফা হাসপাতাল এখন বড় কবরস্থান

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় চিকিৎসাকেন্দ্র আল-শিফা হাসপাতালে ১৭৯ জনকে কবর দেওয়া হয়েছে। সেখানে গণকবর খুঁড়ে তাদের সমাহিত করা হয়েছে।

আল-শিফার পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা তাদের গণকবরে সমাহিত করতে বাধ্য হয়েছি।’ যাদের হাসপাতাল প্রাঙ্গনেই চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে তাদের মধ্যে ৭ জন হলো শিশু। আর ২৯ জন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি ছিলেন।

গত তিন-চারদিন ধরে আল-শিফা হাসপাতালকে ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। হাসপাতালটির চারপাশে ট্যাংক নিয়ে অবস্থান নিয়েছে তারা। দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতাল ঘিরে ধরে রাখা ছাড়াও এটির ভেতর সরাসরি হামলা চালিয়েছে। এতে করে আল-শিফা হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলর মধ্যে যুদ্ধ বাধার পর গাজা উপত্যকার বৃহৎ এ হাসপাতাল প্রাঙ্গনে আশ্রয় নিয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। এছাড়া আহত হয়ে ভর্তি ছিলেন আরও কয়েকশ মানুষ। কিন্তু ইসরায়েলি সেনারা ট্যাংক নিয়ে হাসপাতালের কাছে আসার পর এবং এটির ভেতর সরাসরি হামলা চালানোর পর অনেকে সেখান থেকে চলে যান।

জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া আল-শিফা হাসপাতালের ভেতর এখন সবচেয়ে শঙ্কায় আছে ইনকিউবেটরে থাকা সদ্যই জন্ম নেওয়া কয়েকজন শিশু।

যদিও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, এসব শিশুকে সরিয়ে নিতে তারা সহায়তা করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো কিছু দেখা যায়নি।

সূত্র: আল জাজিরা

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: