ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে ১৪ দল

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩
  • 51

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটগতভাবে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল। দলের শীর্ষ নেতারা বলেন, ১৪ দল এক ছিল এবং থাকবে।

একইসঙ্গে আসন্ন নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনেই হবে বলে জানান তারা।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে হাসপাতাল মাঠে ‘জামায়াত-বিএনপি অপশক্তির ষড়যন্ত্রে’র বিরুদ্ধে আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে নেতারা জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ২৮ তারিখের পর তারা জনগণের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে গেছে। তাদের দফাও শেষ, খেলাও শেষ। এখন আমাদের খেলা। ২৮ অক্টোবরের পর তাদের মাজা ভেঙে গেছে, মাজা ভাঙা বিএনপি আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।

জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছর দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে, সে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারো ১৪ দলকে এবং নৌকায় ভোট দিতে হবে। যারা ৭১ সালে দেশের মানুষের ওপর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তারাই আজ আবার দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।

১৪ দলের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ২৮ তারিখের পর বিএনপি-জামায়াত দেশে অরাজকতা শুরু করেছে। তারা বলছে কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন হতে দেবে না। কিন্তু আমরা নির্বাচন করতে প্রস্তুত এবং সে নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার অধীনে।

তিনি বলেন, ২৮ তারিখের পর তারা রাস্তায় নেই, আর যারা তাদের হয়ে সরকারকে ধমক দিতো, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে যারা স্যাংশনের ভয় দেখাত, তাদের সে বিদেশি প্রভু পশ্চিমা মিত্ররা আজ রাজনৈতিক দলের দরজায় দরজার ঘুরছে এবং বলছে শর্তহীন সংলাপের কথা। আমরা বলছি, তাদের (বিএনপি) এক দফা দাবি পরিহার করতে হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, বিএনপি কখনো গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতায় আসেনি, তাই তারা গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতায় আসা শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা গোলাম আজম, নিজামীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়ে প্রমাণ করেছে, তারাই দেশের পরাজিত শক্তি।

তিনি বলেন, করোনা ও রাশিয়া যুদ্ধের কারণে দেশের মানুষ সাময়িক অসুবিধায় আছে, তবে কেউ না খেয়ে থাকে না। শেখ হাসিনা সরকার মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থা করে দিয়েছে, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে উন্নতি করেছে এবং ভূমিহীনদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। সরকার বিভিন্ন ভাতা দিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনেও তাদের (জামায়াত-বিএনপি) ভরাডুবি হবে। সে ভয়েই তারা নির্বাচনে আসে না। কিন্তু যথাসময়েই নির্বাচন হবে এবং শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শেখ হাসিনার কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের রোল মডেল, দেশের স্বপ্নযাত্রাকে এগিয়ে নিতে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জেপির মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি ড. শাহাদাৎ হোসেন, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুকসহ ১৪ দলের নেতারা।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে ১৪ দল

পোস্ট হয়েছে : ০৯:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটগতভাবে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল। দলের শীর্ষ নেতারা বলেন, ১৪ দল এক ছিল এবং থাকবে।

একইসঙ্গে আসন্ন নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনেই হবে বলে জানান তারা।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে হাসপাতাল মাঠে ‘জামায়াত-বিএনপি অপশক্তির ষড়যন্ত্রে’র বিরুদ্ধে আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে নেতারা জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ২৮ তারিখের পর তারা জনগণের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে গেছে। তাদের দফাও শেষ, খেলাও শেষ। এখন আমাদের খেলা। ২৮ অক্টোবরের পর তাদের মাজা ভেঙে গেছে, মাজা ভাঙা বিএনপি আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।

জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছর দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে, সে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারো ১৪ দলকে এবং নৌকায় ভোট দিতে হবে। যারা ৭১ সালে দেশের মানুষের ওপর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তারাই আজ আবার দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।

১৪ দলের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ২৮ তারিখের পর বিএনপি-জামায়াত দেশে অরাজকতা শুরু করেছে। তারা বলছে কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন হতে দেবে না। কিন্তু আমরা নির্বাচন করতে প্রস্তুত এবং সে নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার অধীনে।

তিনি বলেন, ২৮ তারিখের পর তারা রাস্তায় নেই, আর যারা তাদের হয়ে সরকারকে ধমক দিতো, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে যারা স্যাংশনের ভয় দেখাত, তাদের সে বিদেশি প্রভু পশ্চিমা মিত্ররা আজ রাজনৈতিক দলের দরজায় দরজার ঘুরছে এবং বলছে শর্তহীন সংলাপের কথা। আমরা বলছি, তাদের (বিএনপি) এক দফা দাবি পরিহার করতে হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, বিএনপি কখনো গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতায় আসেনি, তাই তারা গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতায় আসা শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা গোলাম আজম, নিজামীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়ে প্রমাণ করেছে, তারাই দেশের পরাজিত শক্তি।

তিনি বলেন, করোনা ও রাশিয়া যুদ্ধের কারণে দেশের মানুষ সাময়িক অসুবিধায় আছে, তবে কেউ না খেয়ে থাকে না। শেখ হাসিনা সরকার মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থা করে দিয়েছে, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে উন্নতি করেছে এবং ভূমিহীনদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। সরকার বিভিন্ন ভাতা দিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনেও তাদের (জামায়াত-বিএনপি) ভরাডুবি হবে। সে ভয়েই তারা নির্বাচনে আসে না। কিন্তু যথাসময়েই নির্বাচন হবে এবং শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শেখ হাসিনার কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের রোল মডেল, দেশের স্বপ্নযাত্রাকে এগিয়ে নিতে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জেপির মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি ড. শাহাদাৎ হোসেন, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুকসহ ১৪ দলের নেতারা।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: