ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিফাত হত্যা: ৬ জনের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অক্টোবর ২০২০
  • 55

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ছয় আসামির ডেথরেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) জন্য হাইকোর্টে এসে পৌছেছে। রোববার (৪ অক্টোবর) সকালে হাইকোর্টের আদান-প্রদান শাখায় এসে পৌঁছায়।

নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির রায় কার্যকরের পূর্বে হাইকোর্টের অনুমতির প্রয়োজন হয়। সে হিসেবে মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। তারই আলোকে এ মামলার রায়ের কপি, সাক্ষীদের বক্তব্যসহ মামলার যাবতীয় নথি হাইকোর্টে এলো।

বরগুনা আদালতের জারি কারক জাহাঙ্গীর আলম পিকু আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের মাধ্যমে নিরাপত্তাসহ রায়ের কপিসহ মামলার যাবতীয় নথি নিয়ে আসেন। এ সময় হাইকোর্টের আদান-প্রদান শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে এম ফারুক হোসেন নথি গ্রহণ করেন।

ডেথ রেফারেন্সের পাশাপাশি বিচারিক আদালতের ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল দায়ের করে থাকেন। এরপর নিয়ম অনুযায়ী এ মামলার পেপারবুক তৈরি হবে।

এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন মামলাটি শুনানির জন্য যে বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন সেই বেঞ্চে মামলাটি শুনানি হবে। এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি, রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), হাসান বন্ড (১৯)। এছাড়া মুসা বন্ড (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুনকে (২১) খালাস দেওয়া হয়েছে।

এদিকে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এছাড়া মামলার অন্যতম আসামি মো. মুসা এখনো পলাতক রয়েছে।

এছাড়া মিন্নি উচ্চ আদালত থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন নিয়ে বাবার বাড়িতে ছিলেন। আর বাকি আসামিরা কারাগারে ছিলেন। এর আগে এ বছরের ১ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। আর মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ৮ জানুয়ারি।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নয়ন বন্ডের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে।

গুরুতর আহত রিফাতকে ওইদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও পাঁচ-ছয়জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করেএকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় প্রথমে মিন্নিকে সাক্ষী হিসেবে দেখানো হলেও, পরে এক আসামির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে আসামি হিসেবে গ্রেফতার করা হয়।

বিজনেস আওয়ার/০৪ অক্টোবর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

রিফাত হত্যা: ৬ জনের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে

পোস্ট হয়েছে : ১২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অক্টোবর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ছয় আসামির ডেথরেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) জন্য হাইকোর্টে এসে পৌছেছে। রোববার (৪ অক্টোবর) সকালে হাইকোর্টের আদান-প্রদান শাখায় এসে পৌঁছায়।

নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির রায় কার্যকরের পূর্বে হাইকোর্টের অনুমতির প্রয়োজন হয়। সে হিসেবে মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। তারই আলোকে এ মামলার রায়ের কপি, সাক্ষীদের বক্তব্যসহ মামলার যাবতীয় নথি হাইকোর্টে এলো।

বরগুনা আদালতের জারি কারক জাহাঙ্গীর আলম পিকু আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের মাধ্যমে নিরাপত্তাসহ রায়ের কপিসহ মামলার যাবতীয় নথি নিয়ে আসেন। এ সময় হাইকোর্টের আদান-প্রদান শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে এম ফারুক হোসেন নথি গ্রহণ করেন।

ডেথ রেফারেন্সের পাশাপাশি বিচারিক আদালতের ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল দায়ের করে থাকেন। এরপর নিয়ম অনুযায়ী এ মামলার পেপারবুক তৈরি হবে।

এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন মামলাটি শুনানির জন্য যে বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন সেই বেঞ্চে মামলাটি শুনানি হবে। এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি, রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), হাসান বন্ড (১৯)। এছাড়া মুসা বন্ড (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুনকে (২১) খালাস দেওয়া হয়েছে।

এদিকে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এছাড়া মামলার অন্যতম আসামি মো. মুসা এখনো পলাতক রয়েছে।

এছাড়া মিন্নি উচ্চ আদালত থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন নিয়ে বাবার বাড়িতে ছিলেন। আর বাকি আসামিরা কারাগারে ছিলেন। এর আগে এ বছরের ১ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। আর মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ৮ জানুয়ারি।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নয়ন বন্ডের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে।

গুরুতর আহত রিফাতকে ওইদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও পাঁচ-ছয়জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করেএকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় প্রথমে মিন্নিকে সাক্ষী হিসেবে দেখানো হলেও, পরে এক আসামির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে আসামি হিসেবে গ্রেফতার করা হয়।

বিজনেস আওয়ার/০৪ অক্টোবর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: