ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একতরফা নির্বাচনী তফসিল সংঘাত বাড়াবে, আশঙ্কা মঈন খানের

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩
  • 53

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘তাড়াহুড়ো করে একতরফা নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা দেশে বিদ্যমান অত্যন্ত সংঘাতপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলবে।’

মঈন খান বলেছেন, এই মুহূর্তে একতরফা তফশিল ঘোষণা করলে আওয়ামী সরকার আবারও প্রমাণ করবে, তারা গণতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসী নয়। বরং একদলীয় স্টিমরোলার চালিয়ে দেশ শাসন করতে চায়। তাড়াহুড়ো করে একতরফা তফসিল ঘোষণা না করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি ইতিমধ্যেই আহ্বান জানিয়েছে।

এ অবস্থায় এটা স্পষ্ট করে বলা দরকার যে, তাড়াহুড়ো করে নির্বাচনের তফসিলের যেকোনো একতরফা ঘোষণা দেশে বিদ্যমান অত্যন্ত সংঘাতপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে এবং একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল আর্থ-সামাজিক পরিবেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরির আকাঙ্ক্ষাও চরমভাবে ব্যাহত হবে।

তিনি বলেন, আমরা দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্যে সব স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে পরামর্শসহ সকল পদক্ষেপের প্রশংসা করি। গণতন্ত্রে সহিংসতার কোনো স্থান নেই বলে পুনর্ব্যক্ত করছে বিএনপি। একই সাথে, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে সংলাপের প্রয়োজন শুধুমাত্র সংলাপের জন্য নয়, বরং বর্তমান রাজনৈতিক সংঘাতের শান্তিপূর্ণ এবং ন্যায়সঙ্গত উপায়ে সমাধান করার জন্য। এই উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য অপরিহার্য উপাদানগুলো হবে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে ‘আস্থা তৈরি’ ও ‘বিশ্বাস পুনরুদ্ধার’। যাতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যসহ দেশে একটি অনুকূল পরিবেশে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনের জন্য ‘সমান খেলার’ ক্ষেত্র তৈরি করে অর্থবহ সংলাপ হতে পারে।’

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের উদ্দেশ্য। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এই মুহূর্তে, আমাদের দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের থেকে শুরু করে আমাদের হাজার হাজার তৃণমূলের সদস্যরা কাল্পনিক মামলা এবং অকথ্য নির্যাতনের ফলশ্রুতিতে জেল/হাজতবন্দি। আমরা আন্তরিকভাবে চাই যে সরকার এই সহিংসতা এবং বিরোধী দলের ওপল জুলুমের পথ পরিহারের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করবে, দেশে একটি স্থিতিশীল পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের সুবিধার্থে উপযুক্ত অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে- যেখানে মানুষ স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তার গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারে।’

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

একতরফা নির্বাচনী তফসিল সংঘাত বাড়াবে, আশঙ্কা মঈন খানের

পোস্ট হয়েছে : ০৩:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘তাড়াহুড়ো করে একতরফা নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা দেশে বিদ্যমান অত্যন্ত সংঘাতপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলবে।’

মঈন খান বলেছেন, এই মুহূর্তে একতরফা তফশিল ঘোষণা করলে আওয়ামী সরকার আবারও প্রমাণ করবে, তারা গণতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসী নয়। বরং একদলীয় স্টিমরোলার চালিয়ে দেশ শাসন করতে চায়। তাড়াহুড়ো করে একতরফা তফসিল ঘোষণা না করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি ইতিমধ্যেই আহ্বান জানিয়েছে।

এ অবস্থায় এটা স্পষ্ট করে বলা দরকার যে, তাড়াহুড়ো করে নির্বাচনের তফসিলের যেকোনো একতরফা ঘোষণা দেশে বিদ্যমান অত্যন্ত সংঘাতপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে এবং একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল আর্থ-সামাজিক পরিবেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরির আকাঙ্ক্ষাও চরমভাবে ব্যাহত হবে।

তিনি বলেন, আমরা দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্যে সব স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে পরামর্শসহ সকল পদক্ষেপের প্রশংসা করি। গণতন্ত্রে সহিংসতার কোনো স্থান নেই বলে পুনর্ব্যক্ত করছে বিএনপি। একই সাথে, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে সংলাপের প্রয়োজন শুধুমাত্র সংলাপের জন্য নয়, বরং বর্তমান রাজনৈতিক সংঘাতের শান্তিপূর্ণ এবং ন্যায়সঙ্গত উপায়ে সমাধান করার জন্য। এই উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য অপরিহার্য উপাদানগুলো হবে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে ‘আস্থা তৈরি’ ও ‘বিশ্বাস পুনরুদ্ধার’। যাতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যসহ দেশে একটি অনুকূল পরিবেশে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনের জন্য ‘সমান খেলার’ ক্ষেত্র তৈরি করে অর্থবহ সংলাপ হতে পারে।’

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের উদ্দেশ্য। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এই মুহূর্তে, আমাদের দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের থেকে শুরু করে আমাদের হাজার হাজার তৃণমূলের সদস্যরা কাল্পনিক মামলা এবং অকথ্য নির্যাতনের ফলশ্রুতিতে জেল/হাজতবন্দি। আমরা আন্তরিকভাবে চাই যে সরকার এই সহিংসতা এবং বিরোধী দলের ওপল জুলুমের পথ পরিহারের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করবে, দেশে একটি স্থিতিশীল পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের সুবিধার্থে উপযুক্ত অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে- যেখানে মানুষ স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তার গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারে।’

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: