ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মন্ত্রী-এমপিদের নির্বাচনি আচরণবিধি মানতে হবে

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩
  • 53

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: মন্ত্রী-এমপিদের সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারদের বদলির ক্ষেত্রে কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম এসব কথা জানান।

নির্বাচনের সময় শুরু হলো। মন্ত্রী-এমপিরা আগে যেভাবে কাজ করতেন, এখন সেভাবে করবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমত নির্বাচন আচরণ বিধিমালায় সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনপূর্ব সময় বলতে তফসিল ঘোষণার দিন থেকে বলা আছে। আইনে বলা আছে, নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময় পর্যন্ত রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের আচরণ বিধিমালা-২০০৮ অনুসরণ করতে হবে।

মন্ত্রী-এমপিদের প্রচার-প্রচারণা নিয়ে কোনো পরিপত্র জারি হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না। যেহেতু এটি আইনে আছে, সেহেতু প্রয়োজন নেই।

ইসি সচিব বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আইনে সুস্পষ্টভাবে বলে দেওয়া আছে, নির্বাচনকালীন কোনো বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে। সেখানে বলে দেওয়া আছে জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ কয়েকজন এবং তাদের অধস্তনদের বদলির ক্ষেত্রে কমিশনের পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে। সুতরাং তারা কমিশনের আওতায় চলে আসবেন, অধীন আসবেন- আইনে কিন্তু এভাবে বলা নেই। বলা আছে, কমিশনের পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে।

তিনি বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সে সময়ের আগে যদি বদলি বা পদোন্নতি করা হয়ে থাকে সেটা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। আইনে যে পদমর্যাদার কথা বলা আছে, সে পদমর্যাদার বদলির প্রস্তাব যদি কমিশনে আসে, কমিশন অনাপত্তি জানাতে পারে, আপত্তিও জানাতে পারে। এ পর্যন্ত এ ধরনের কোনো প্রস্তাব আমাদের কাছে আসেনি।

সিইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মন্ত্রী-এমপিদের নির্বাচনি আচরণবিধি মানতে হবে

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: মন্ত্রী-এমপিদের সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারদের বদলির ক্ষেত্রে কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম এসব কথা জানান।

নির্বাচনের সময় শুরু হলো। মন্ত্রী-এমপিরা আগে যেভাবে কাজ করতেন, এখন সেভাবে করবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমত নির্বাচন আচরণ বিধিমালায় সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনপূর্ব সময় বলতে তফসিল ঘোষণার দিন থেকে বলা আছে। আইনে বলা আছে, নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময় পর্যন্ত রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের আচরণ বিধিমালা-২০০৮ অনুসরণ করতে হবে।

মন্ত্রী-এমপিদের প্রচার-প্রচারণা নিয়ে কোনো পরিপত্র জারি হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না। যেহেতু এটি আইনে আছে, সেহেতু প্রয়োজন নেই।

ইসি সচিব বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আইনে সুস্পষ্টভাবে বলে দেওয়া আছে, নির্বাচনকালীন কোনো বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে। সেখানে বলে দেওয়া আছে জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ কয়েকজন এবং তাদের অধস্তনদের বদলির ক্ষেত্রে কমিশনের পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে। সুতরাং তারা কমিশনের আওতায় চলে আসবেন, অধীন আসবেন- আইনে কিন্তু এভাবে বলা নেই। বলা আছে, কমিশনের পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে।

তিনি বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সে সময়ের আগে যদি বদলি বা পদোন্নতি করা হয়ে থাকে সেটা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। আইনে যে পদমর্যাদার কথা বলা আছে, সে পদমর্যাদার বদলির প্রস্তাব যদি কমিশনে আসে, কমিশন অনাপত্তি জানাতে পারে, আপত্তিও জানাতে পারে। এ পর্যন্ত এ ধরনের কোনো প্রস্তাব আমাদের কাছে আসেনি।

সিইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: