ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ড্রাগন ফল চাষে স্বাবলম্বী নুর সাখাওয়াত

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩
  • 92

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলায় দিন দিন ড্রাগন ফলের চাষ ব্যাপক আকারে বেড়েছে। এ ফল এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রী করছে চাষীরা। এ ফল চাষ করে অনেক বেকার যুবক স্বাবলম্বি হয়েছে। অনেকে আবার একজনের দেখে অন্যজনও এ চাষ শুরু করেছে। লাভজনক এ চাষ করে ফলন বেশি পাবার কারনে অনান্য কৃষকেরাও আগ্রহ প্রকাশ করে ঝুকছে এ চাষের দিকে।

আর কৃষি বিভাগ বলছে, ড্রাগন ফল চাষীদের নানাভাবে প্রশিক্ষন ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ জেলার মধ্যে সফল একজন চাষী রয়েছেন নুর সাখাওয়াত ইসলাম। তিনি কিভাবে স্বাবলম্বি হয়েছেন জানিয়েছেন তার জীবনের গল্প।

তথ্যমতে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়নের গয়েশপুর ব্লকের বানিয়া কান্দোর গ্রামের নুর সাখাওয়াত ইসলাম। তিনি লেখাপড়া করে বেকারত্ব অবস্থায় দিনযাপন করতো। পার্শ্ববর্তি কৃঞ্চপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ড্রাগন চাষ দেখে তার আগ্রহ বাড়ে। তিনি কৃষি বিভাগের সহযোগিতা নিয়ে গত ২০২০ সালে প্রথমে এক বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ শুরু করেন। পরে এ চাষে লাভ দ্বিগুন হওয়ার কারনে তিনি জমির পরিমাণ বাড়িয়ে বর্তমানে ৬বিঘা জামিতে ড্রাগন চাষ করছেন। তার এই বাগান দেখার জন্য চারজন শ্রমিকের বেতনসহ বছরে বিঘা প্রতি ৩লাখ টাকা ব্যায় করছেন। তিনি সংসার চালিয়েও লাভের টাকা দিয়ে দিন দিন চাষ বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, তিনি বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়ে আজ সে সংসার জীবন ও আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বি হয়ে তার দেখাদেখি অনেকেই এ চাষ করছেন। তিনিও সাধারন কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। তার এই ড্রাগন দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে থাকেন।

এদিকে বাগানে কর্মরত শ্রমিকেরা জানান, ড্রাগন ফল দেখা শুনা ও ফল ছিড়ে প্রস্তুত করে দিই। আমাদের মাসে যে টাকা দেয় তাতে সংসার ভালোভাবে চলে যায়।

এ বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহানারা খাতুন জানান, ড্রাগন একটি লাভজনক চাষ। প্রতি কেজি ২শত থেকে ৩শত টাকা কেজি দরে বিক্রী হচ্ছে। এলাকার অনেকেই এখন এ চাষ করে ভাগ্যর পরিবর্তন ঘটিয়েছে। যার কারনে এ জেলাতে দিন দিন ড্রাগনের চাষ বাড়ছে। এ ছাড়াও অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি হচ্ছে স্বাবলম্বি। আর কৃষিবিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত খোজ খবর ও সার্বিক সহযোগিতা করা হয়ে থাকে।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুর-এ নবী ও জেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেলিম রেজা জানান, জেলার ৬টি উপজেলাতে ৮৪২ হেক্টর জমিতে চাষবাদ হয়ে থাকে। এ ফল চাষের সাথে ৮ হাজার কৃষক জড়িত। আমরা সার- কারিগরী ও পানি সেচের বিষয়ে সকল পরামর্শ ও প্রশিক্ষন দেওয়া হয়ে থাকে। লাভজনক এ চাষে বেকার যুবক বেশি সম্পৃক্ত হচ্ছে। এ ড্রাগন এখন দেশের বাইরেও যাচ্ছে বলে তারা জানান।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ঝিনাইদহে ড্রাগন ফল চাষে স্বাবলম্বী নুর সাখাওয়াত

পোস্ট হয়েছে : ০৬:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলায় দিন দিন ড্রাগন ফলের চাষ ব্যাপক আকারে বেড়েছে। এ ফল এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রী করছে চাষীরা। এ ফল চাষ করে অনেক বেকার যুবক স্বাবলম্বি হয়েছে। অনেকে আবার একজনের দেখে অন্যজনও এ চাষ শুরু করেছে। লাভজনক এ চাষ করে ফলন বেশি পাবার কারনে অনান্য কৃষকেরাও আগ্রহ প্রকাশ করে ঝুকছে এ চাষের দিকে।

আর কৃষি বিভাগ বলছে, ড্রাগন ফল চাষীদের নানাভাবে প্রশিক্ষন ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ জেলার মধ্যে সফল একজন চাষী রয়েছেন নুর সাখাওয়াত ইসলাম। তিনি কিভাবে স্বাবলম্বি হয়েছেন জানিয়েছেন তার জীবনের গল্প।

তথ্যমতে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়নের গয়েশপুর ব্লকের বানিয়া কান্দোর গ্রামের নুর সাখাওয়াত ইসলাম। তিনি লেখাপড়া করে বেকারত্ব অবস্থায় দিনযাপন করতো। পার্শ্ববর্তি কৃঞ্চপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ড্রাগন চাষ দেখে তার আগ্রহ বাড়ে। তিনি কৃষি বিভাগের সহযোগিতা নিয়ে গত ২০২০ সালে প্রথমে এক বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ শুরু করেন। পরে এ চাষে লাভ দ্বিগুন হওয়ার কারনে তিনি জমির পরিমাণ বাড়িয়ে বর্তমানে ৬বিঘা জামিতে ড্রাগন চাষ করছেন। তার এই বাগান দেখার জন্য চারজন শ্রমিকের বেতনসহ বছরে বিঘা প্রতি ৩লাখ টাকা ব্যায় করছেন। তিনি সংসার চালিয়েও লাভের টাকা দিয়ে দিন দিন চাষ বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, তিনি বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়ে আজ সে সংসার জীবন ও আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বি হয়ে তার দেখাদেখি অনেকেই এ চাষ করছেন। তিনিও সাধারন কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। তার এই ড্রাগন দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে থাকেন।

এদিকে বাগানে কর্মরত শ্রমিকেরা জানান, ড্রাগন ফল দেখা শুনা ও ফল ছিড়ে প্রস্তুত করে দিই। আমাদের মাসে যে টাকা দেয় তাতে সংসার ভালোভাবে চলে যায়।

এ বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহানারা খাতুন জানান, ড্রাগন একটি লাভজনক চাষ। প্রতি কেজি ২শত থেকে ৩শত টাকা কেজি দরে বিক্রী হচ্ছে। এলাকার অনেকেই এখন এ চাষ করে ভাগ্যর পরিবর্তন ঘটিয়েছে। যার কারনে এ জেলাতে দিন দিন ড্রাগনের চাষ বাড়ছে। এ ছাড়াও অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি হচ্ছে স্বাবলম্বি। আর কৃষিবিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত খোজ খবর ও সার্বিক সহযোগিতা করা হয়ে থাকে।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুর-এ নবী ও জেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেলিম রেজা জানান, জেলার ৬টি উপজেলাতে ৮৪২ হেক্টর জমিতে চাষবাদ হয়ে থাকে। এ ফল চাষের সাথে ৮ হাজার কৃষক জড়িত। আমরা সার- কারিগরী ও পানি সেচের বিষয়ে সকল পরামর্শ ও প্রশিক্ষন দেওয়া হয়ে থাকে। লাভজনক এ চাষে বেকার যুবক বেশি সম্পৃক্ত হচ্ছে। এ ড্রাগন এখন দেশের বাইরেও যাচ্ছে বলে তারা জানান।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: