আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান। লেবাননের একটি অজ্ঞাতস্থানে তাদের এ বৈঠক হয়েছে।
লেবাননের সংবাদমাধ্যম নাহারনেট জানিয়েছে, গতকাল বুধবার (২২ নভেম্বর) লেবাননে যান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ বাধার পর এটি লেবাননে তার দ্বিতীয় সফর। এরপর আজ বৃহস্পতিবার হিজবুল্লাহ প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি।
লেবাননে পৌঁছে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, কাতারের মধ্যস্থতায় যদি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি না হয়— তাহলে যুদ্ধ এ অঞ্চলের অন্যান্য জায়াগায়ও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, ‘যদি আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) যুদ্ধবিরতি শুরু হয়, যদি এটি অব্যাহত না থাকে… তাহলে এ অঞ্চলের অবস্থা যুদ্ধবিরতির আগের পর্যায়ে থাকবে না এবং যুদ্ধের পরিধি বাড়বে।’
হিজবুল্লাহ প্রধানের সঙ্গে বৈঠকের আগে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে গতকাল ফিলিস্তিন ইসলামিক জিহাদের সেক্রেটারি জেনারেল খালিল আল-হায়া, হামাসের পলিটব্যুরোর একজন সদস্য এবং এ দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও; সেটি হয়নি। কাতারের পরররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আগামীকাল শুক্রবার থেকে এ যুদ্ধবিরতি শুরু হতে পারে। মূলত কিছু বিষয়ের সমাধান না হওয়ায় যুদ্ধবিরতিটি পিছিয়ে যায়।
যুদ্ধরত হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে যদি যুদ্ধবিরতি শুরু হয় তাহলে আগামী চারদিনে হামাস ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অপরদিকে ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
বিজনেস আওয়ার/এএইচএ