ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘গুপী’র কণ্ঠ যেভাবে হলেন অনুপ ঘোষাল

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 62

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: বরেণ্য সংগীতশিল্পী অনুপ ঘোষাল। ৭৮ বছর বয়সে আজ মারা গেছেন তিনি। সংগীত ক্যারিয়ারে অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে শ্রোতাদের নজর কাড়েন এই শিল্পী।

মাত্র ১৯ বছর বয়সে প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ সিনেমার গানে কণ্ঠ দেন। এ সিনেমায় ১০টি গান ব্যবহার করেন সত্যজিৎ। এর মধ্যে ৮টি গানে কণ্ঠ দেন তিনি। তার গাওয়া গানগুলো হলো— ‘দেখোরে নয়ন মেলে’, ‘ভূতের রাজা দিলো বর’, ‘মহারাজা! তোমারে সালাম’, ‘রাজা শোনো’, ‘ওরে বাঘারে’, ‘ও মন্ত্রী মশাই’, ‘এক যে ছিল রাজা’ এবং ‘ওরে বাবা দেখো চেয়ে’। এত অল্প বয়সে সত্যজিতের সিনেমার এতগুলো গান কীভাবে গেয়েছিলেন অনুপ ঘোষাল? এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সত্যজিৎ রায়ের ছেলে সন্দীপ রায়। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।

কথার শুরুতে সন্দীপ রায় জানান, মায়ের উৎসাহে মাত্র চার বছর বয়সে অনুপ ঘোষালের সংগীতে তালিম শুরু হয়। আর অনুপ ঘোষালের মায়ের সঙ্গে সত্যজিৎ রায়ের স্ত্রী বিজয়া রায়ের বন্ধুত্ব ছিল। এ বিষয়ে সন্দীপ রায় বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই উনি অসম্ভব ভালো গান গাইতেন। মানে চাইল্ড প্রডিজি বলা যেতে পারে। বহুবার বাড়িতে এসেছেন, গান শুনিয়েছেন।’

‘গুপী’-এর কণ্ঠ হিসেবে কীভাবে যাত্রা শুরু করেন অনুপ ঘোষাল? এ প্রশ্নের উত্তরে সন্দীপ রায় বলেন, ‘‘বাবা যখন ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ সিনেমার গানগুলো কম্পোজ করেন, তখন হন্যে হয়ে গানগুলো গাওয়ানোর জন্য শিল্পী খুঁজছিলেন। তখন মা-ই বাবাকে অনুপদার নামটা সাজেস্ট করেন। বলেন, ‘ঘরেই তো ছেলে রয়েছে; তুমি বাইরে খুঁজছো।’ তখন ওনার বয়স ১৮-১৯ বছর। তারপর অনুপদাকে ডাকা হয়। এলেন, গানটা শোনানো হলো। উনি যেটা গাইলেন বাবার ভীষণ পছন্দ হয় এবং নির্বাচিত হন। তারপর ‘হীরক রাজার দেশে’।’’

সন্দীপ রায় পরিচালিত ‘গুপী বাঘা ফিরে এলো’ সিনেমার গানও গেয়েছেন অনুপ ঘোষাল। এ শিল্পীর বোন নমিতা ঘোষালও সত্যজিৎ রায়ের ‘চিড়িয়াখানা’ সিনেমায় গান গেয়েছিলেন। সন্দীপ রায় বলেন, ‘বহুকালের সম্পর্ক। শেষ দিন পর্যন্ত যোগাযোগ ছিল। ফোনে কথা না হলেও বাকি সকলের সঙ্গে কথা হতো। উনিও খোঁজখবর নিতেন।’ সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক ছিল অনুপ ঘোষালের? এ প্রশ্নের জবাবে সন্দীপ রায় বলেন, ‘গুরু শিষ্যের মতো।’

বিজনেস আওয়ার/১৫ডিসেম্বর/বিএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

‘গুপী’র কণ্ঠ যেভাবে হলেন অনুপ ঘোষাল

পোস্ট হয়েছে : ১০:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: বরেণ্য সংগীতশিল্পী অনুপ ঘোষাল। ৭৮ বছর বয়সে আজ মারা গেছেন তিনি। সংগীত ক্যারিয়ারে অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে শ্রোতাদের নজর কাড়েন এই শিল্পী।

মাত্র ১৯ বছর বয়সে প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ সিনেমার গানে কণ্ঠ দেন। এ সিনেমায় ১০টি গান ব্যবহার করেন সত্যজিৎ। এর মধ্যে ৮টি গানে কণ্ঠ দেন তিনি। তার গাওয়া গানগুলো হলো— ‘দেখোরে নয়ন মেলে’, ‘ভূতের রাজা দিলো বর’, ‘মহারাজা! তোমারে সালাম’, ‘রাজা শোনো’, ‘ওরে বাঘারে’, ‘ও মন্ত্রী মশাই’, ‘এক যে ছিল রাজা’ এবং ‘ওরে বাবা দেখো চেয়ে’। এত অল্প বয়সে সত্যজিতের সিনেমার এতগুলো গান কীভাবে গেয়েছিলেন অনুপ ঘোষাল? এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সত্যজিৎ রায়ের ছেলে সন্দীপ রায়। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।

কথার শুরুতে সন্দীপ রায় জানান, মায়ের উৎসাহে মাত্র চার বছর বয়সে অনুপ ঘোষালের সংগীতে তালিম শুরু হয়। আর অনুপ ঘোষালের মায়ের সঙ্গে সত্যজিৎ রায়ের স্ত্রী বিজয়া রায়ের বন্ধুত্ব ছিল। এ বিষয়ে সন্দীপ রায় বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই উনি অসম্ভব ভালো গান গাইতেন। মানে চাইল্ড প্রডিজি বলা যেতে পারে। বহুবার বাড়িতে এসেছেন, গান শুনিয়েছেন।’

‘গুপী’-এর কণ্ঠ হিসেবে কীভাবে যাত্রা শুরু করেন অনুপ ঘোষাল? এ প্রশ্নের উত্তরে সন্দীপ রায় বলেন, ‘‘বাবা যখন ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ সিনেমার গানগুলো কম্পোজ করেন, তখন হন্যে হয়ে গানগুলো গাওয়ানোর জন্য শিল্পী খুঁজছিলেন। তখন মা-ই বাবাকে অনুপদার নামটা সাজেস্ট করেন। বলেন, ‘ঘরেই তো ছেলে রয়েছে; তুমি বাইরে খুঁজছো।’ তখন ওনার বয়স ১৮-১৯ বছর। তারপর অনুপদাকে ডাকা হয়। এলেন, গানটা শোনানো হলো। উনি যেটা গাইলেন বাবার ভীষণ পছন্দ হয় এবং নির্বাচিত হন। তারপর ‘হীরক রাজার দেশে’।’’

সন্দীপ রায় পরিচালিত ‘গুপী বাঘা ফিরে এলো’ সিনেমার গানও গেয়েছেন অনুপ ঘোষাল। এ শিল্পীর বোন নমিতা ঘোষালও সত্যজিৎ রায়ের ‘চিড়িয়াখানা’ সিনেমায় গান গেয়েছিলেন। সন্দীপ রায় বলেন, ‘বহুকালের সম্পর্ক। শেষ দিন পর্যন্ত যোগাযোগ ছিল। ফোনে কথা না হলেও বাকি সকলের সঙ্গে কথা হতো। উনিও খোঁজখবর নিতেন।’ সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক ছিল অনুপ ঘোষালের? এ প্রশ্নের জবাবে সন্দীপ রায় বলেন, ‘গুরু শিষ্যের মতো।’

বিজনেস আওয়ার/১৫ডিসেম্বর/বিএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: