আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের নয়াদিল্লিতে পার্লামেন্ট ভবনে বোমা হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ব্যাখ্যা চেয়ে ‘হট্টগোল’ করা ও উদ্ধত আচরণের অভিযোগে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার আরও ৩০ জন এমপিকে বরখাস্ত করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।
এর আগে গত সপ্তাহেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করায় ১৩ বিরোধী সাংসদকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এই নিয়ে মোট ৪৩ জন এমপিকে এ ইস্যুতে বরখাস্ত করা হলো। চলতি বছরের শীতকালীন অধিবেশনে আর অংশ নিতে পারবেন না এই ৪৩ জন। খবর এনডিটিভির।
সোমবার বরখাস্ত হওয়া এমপিদের মধ্যে লোকসভার বিরোধী দলীয় নেতা এবং কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং উপনেতা গৌরব গগৈও রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ ডিসেম্বর লোকসভায় অধিবেশন চলাকালে স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে সেখানে ঢুকে রং বোমা ছোড়েন দুই যুবক। কেউই এ ঘটনায় হতাহত হয়নি, তবে গোটা অধিবেশন কক্ষে এ সময় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পার্লামেন্টে জঙ্গি হামলা হয়েছে— এই আতঙ্কে অনেক এমপি ছোটাছুটি শুরু করেন।
হামলাকারী দুই যুবক এবং তাদের সহযোগীদের ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু এই ঘটনার জের ধরে পার্লামেন্টের বিরোধী দলীয় এমপিরা ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র জবাবদিহিতা চান এবং দাবি করেন, অমিত শাহকে পার্লামেন্ট অধিবেশনে এ ব্যাপারে বক্তব্য দিতে হবে।
এই দাবির পক্ষে অধিবেশনের সভায় ‘হট্টগোলের’ প্রতিবাদে গত শনিবার ১৩ এমপিকে শীতকালীন অধিবেশন থেকে বরখাস্ত করেছিলেন ওম বিড়লা। তারই ধারবাহিকতায় আজ সোমবার এই ৩০ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলো।
পার্লামেন্টের সূত্রে জানা গেছে, অমিত শাহ’র জবাবদিহিতা চেয়ে শনিবার অধিবেশন চলাকালে এই এমপিরা ব্যাপক হট্টগোলের পাশাপাশি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনও করেছিলেন। এই ব্যাপারটিকে আমলে নিয়েই এ বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে রোববার এক ভাষনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, বোমা হামলার এই ঘটনায় পার্লামেন্টে ক্ষোভ প্রকাশ না করে তদন্তের দাবি তোলা উচিত বিরোধী এমপিদের।
সূত্র : এনডিটিভি
বিজনেস আওয়ার/এএইচএ