ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই: ইসি আলমগীর

  • পোস্ট হয়েছে : ০৮:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 63

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: সোমবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ‌‘সভা-সমাবেশে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। প্রচলিত নিয়ম মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করতে পারবেন সবাই। এটি সবার গণতান্ত্রিক অধিকার।’

ইসি মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচনে কাউকে ভোটকেন্দ্রে না যেতে বলাটাও গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু সেটা শান্তিপূর্ণ আহ্বান হতে হবে। আক্রমণ করে বা কাউকে ভয় দেখিয়ে এ ধরণের আহ্বান জানানো যাবে না। আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচির বিপক্ষে নই। রাজনৈতিক কর্মসূচি করার জন্য বর্তমানে যে নিয়ম প্রচলিত রয়েছে, সেটি ওই রকমই আছে। বিষয়টি নিয়ে অপপ্রচার চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে নির্বাচনে বাধা দেওয়ার জন্য কাউকে আহত করা, ভয় দেখানো, জ্বালাও পোড়াও করা, নির্বাচন অফিসে আগুন দেওয়া এগুলো যাতে না হয় সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে-ইসি

নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে ইসি কোনো চাপের মুখে রয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর জানান, কোনো চাপ নেই। আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে কেউ চাপ দেয়নি। সরকারের পক্ষ থেকেও না, কোনোপক্ষ থেকেই চাপ ছিল না, এখনো নেই।

নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়নের তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করলেও তারা বেসমারিক কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকবে। তারা যেহেতু সশস্ত্র বাহিনী, তাদের কাজ হল দেশ রক্ষা করা, তারা সিভিল প্রশাসনকে প্রয়োজনে সহযোগিতা দেয়। নির্বাচনের সময় তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, যার হাতে অস্ত্র থাকে তাকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া যায় না।

বিএনপি নির্বাচনে এলে তফসিল আর পেছানোর সুযোগ নেই মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, নমিনেশন পেপার দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। এরমধ্যে যে কোনো রাজনৈতিক দল এসে যদি আমাদেরকে অনুরোধ করত, সে ক্ষেত্রে আমরা বিবেচনা করতে পারতাম। এই মুহূর্তে বিবেচনা করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ সংবিধান অনুযায়ী আমাদের একটা টাইম লিমিট আছে। সেই টাইমের মধ্যে আমাদের নির্বাচন করতে হবে। সে হিসেবে এখন আর কোনো সুযোগ নেই।

সন্ধ্যার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ইউএনও, ওসি, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তিনি। আসন্ন নির্বাচনকে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করতে সেখানে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন তিনি।

অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আশ্রাফুল আলম সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস আওয়ার/১৮ ডিসেম্বর/বিএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই: ইসি আলমগীর

পোস্ট হয়েছে : ০৮:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: সোমবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ‌‘সভা-সমাবেশে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। প্রচলিত নিয়ম মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করতে পারবেন সবাই। এটি সবার গণতান্ত্রিক অধিকার।’

ইসি মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচনে কাউকে ভোটকেন্দ্রে না যেতে বলাটাও গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু সেটা শান্তিপূর্ণ আহ্বান হতে হবে। আক্রমণ করে বা কাউকে ভয় দেখিয়ে এ ধরণের আহ্বান জানানো যাবে না। আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচির বিপক্ষে নই। রাজনৈতিক কর্মসূচি করার জন্য বর্তমানে যে নিয়ম প্রচলিত রয়েছে, সেটি ওই রকমই আছে। বিষয়টি নিয়ে অপপ্রচার চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে নির্বাচনে বাধা দেওয়ার জন্য কাউকে আহত করা, ভয় দেখানো, জ্বালাও পোড়াও করা, নির্বাচন অফিসে আগুন দেওয়া এগুলো যাতে না হয় সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে-ইসি

নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে ইসি কোনো চাপের মুখে রয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর জানান, কোনো চাপ নেই। আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে কেউ চাপ দেয়নি। সরকারের পক্ষ থেকেও না, কোনোপক্ষ থেকেই চাপ ছিল না, এখনো নেই।

নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়নের তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করলেও তারা বেসমারিক কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকবে। তারা যেহেতু সশস্ত্র বাহিনী, তাদের কাজ হল দেশ রক্ষা করা, তারা সিভিল প্রশাসনকে প্রয়োজনে সহযোগিতা দেয়। নির্বাচনের সময় তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, যার হাতে অস্ত্র থাকে তাকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া যায় না।

বিএনপি নির্বাচনে এলে তফসিল আর পেছানোর সুযোগ নেই মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, নমিনেশন পেপার দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। এরমধ্যে যে কোনো রাজনৈতিক দল এসে যদি আমাদেরকে অনুরোধ করত, সে ক্ষেত্রে আমরা বিবেচনা করতে পারতাম। এই মুহূর্তে বিবেচনা করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ সংবিধান অনুযায়ী আমাদের একটা টাইম লিমিট আছে। সেই টাইমের মধ্যে আমাদের নির্বাচন করতে হবে। সে হিসেবে এখন আর কোনো সুযোগ নেই।

সন্ধ্যার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ইউএনও, ওসি, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তিনি। আসন্ন নির্বাচনকে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করতে সেখানে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন তিনি।

অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আশ্রাফুল আলম সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস আওয়ার/১৮ ডিসেম্বর/বিএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: