বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: সম্পদ ব্যবস্থাপক ও তহবিল ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই শেয়ারবাজারে নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় রয়েছে, কোনো সম্পদ বা তহবিল ব্যবস্থাপনা করছে না। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রতিষ্ঠানগুলোকে কঠিন হুশিয়ারি দিয়ে নির্দেশনা জারি করেছে।
এ অবস্থায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো ফান্ড আনতে না পারলে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) ক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারী (ইআই) হিসেবে প্রাপ্ত কোটা সুবিধা বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সম্প্রতি বিএসইসি এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারে অংশগ্রহণ বাড়াতে যেকোনো মিউচুয়াল ফান্ড, এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) কিংবা অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের সম্পদ ব্যবস্থাপক বা তহবিল ব্যবস্থাপকদের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগের স্বার্থে কিছু নির্দেশনা দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে কমিশন।
নির্দেশনার মধ্যে আরও রয়েছে প্রতিটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি যারা সম্পদ ব্যবস্থাপক বা তহবিল ব্যবস্থাপক হিসেবে নিবন্ধন নিয়েছে তাদের প্রত্যেককে কমপক্ষে একটি মিউচুয়াল ফান্ড বা মিউচুয়াল ফান্ডের স্কিম কিংবা যেকোনো ধরনের কালেকটিভ ইনভেস্টমেন্ট স্কিম পরিচালনা করতে হবে। এক্ষেত্রে সম্পদ ব্যবস্থাপক বা তহবিল ব্যবস্থাপক হিসেবে নিবন্ধন নেয়ার তিন বছর কিংবা এ নির্দেশনা জারির এক বছর যেটি পরে হবে সে সময়ের মধ্যে ফান্ড আনতে হবে। এ নির্দেশনা পরিপালনে ব্যর্থ হলে পাবলিক ইস্যু বিধিমালার অধীনে এসব প্রতিষ্ঠান কোটা সুবিধা পাবে না। পাশাপাশি সম্পদ ব্যবস্থাপক বা তহবিল ব্যবস্থাপকের লাইসেন্স বাতিলের জন্য আইনি পদক্ষেপও নেয়া হতে পারে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে। অবিলম্বে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।
বিএসইসির তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত ৬৪টি প্রতিষ্ঠান সম্পদ ব্যবস্থাপকের এবং ২৭টি প্রতিষ্ঠান তহবিল ব্যবস্থাপক হিসেবে নিবন্ধন নিয়েছে। সর্বশেষ গত সপ্তাহের সম্পদমূল্য (এনএভি) অনুসারে, ৩৭টি মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের ব্যবস্থাপনাধীন সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা। এর বাইরে বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর সম্পদ বিবেচনায় নিলে এ খাতে সম্পদের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি হবে।
বিজনেস আওয়ার/এএইচএ