ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 107

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আগামী বছরের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা খেলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পূর্বসূরী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করেছেন দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য কলোরাডোর শীর্ষ আদালত।

আদালত আরও বলেছেন, যদি এর পরেও ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান—সেক্ষেত্রে কলোরাডোতে তিনি প্রচার প্রচারণা চালাতে পারবেন না, এমনকি ভোটের প্রাথমিক ব্যালটেও তিনি থাকবেন না।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় সিটিজেনস ফর রেসপন্সিবিলিটি অ্যান্ড এথিক্স নামের একটি ওয়াশিংটনভিত্তিক অ্যাডভোকেসি সংগঠন একটি মামলা করেছিল। মঙ্গলবার সেই মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময়ে বিচারকদের বেঞ্চ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর ৩ নম্বর ধারা অনুসারে এই রায় প্রদান করা হয়েছে।

১৮৬১ সাল থেকে ১৮৬৫ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে যে গৃহযুদ্ধ হয়েছিল, তার পরপর মার্কিন সংবিধানে এই সংশোধনী যুক্ত হয়।

মঙ্গলবার কলোরাডোর শীর্ষ আদালতে বিচারপতিদের যে বেঞ্চ রায়টি দিয়েছে, সেখানে মোট সদস্য ছিলেন ৭ জন। এই সদস্যদের মধ্যে ৪ জন বিচারপতি ট্রাম্পকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার পক্ষে মত দিয়েছেন।

ট্রাম্পের মিডিয়া টিম অবশ্য জানিয়েছে, কলোরাডো আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হবে; তবে মার্কিন রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প যদি এই রায়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন, সেক্ষেত্রে তার জয়ের সম্ভাবনা কম। কারণ, সুপ্রিম কোর্ট সম্ভবত কলোরাডোর শীর্ষ আদালতের রায় গ্রহণ করবেন।

প্রসঙ্গত, যদি সুপ্রিম কোর্ট এই রায় গ্রহণ করেন— তাহলে ডোনাল্ড ট্রাম্প হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি, যাকে ‘অভ্যুত্থানে সংশ্লিষ্টতা’ বা ‘বিদ্রোহের’ অভিযোগে নির্বাচনে প্রার্থীতায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় কলোরাডোর শীর্ষ আদালতের বিচারকদের বেঞ্চ বলেন, ‘২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলের অধিবেশনে যে হামলার ঘটনা ঘটেছিল, তাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উসকানির বিভিন্ন প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং সেসবকে আমলে নিয়েই তাকে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। কলরাডোর প্রাথমিক ব্যালটে তার নাম থাকবে না। এই অঙ্গরাজ্যে তিনি প্রচার-প্রচারণাও চালাতে পারবেন না।’

‘আমরা খুব সহজে এই সিদ্ধান্তে আসিনি। মামলার বিবাদিপক্ষের রাজনৈতিক-সামাজিক অবস্থান এবং এই রায়ের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে আমরা ভালোভাবেই ওয়াকিবহাল। তবে একই সঙ্গে আমরা ভয় ও পক্ষপাতিত্বের উর্ধ্বে উঠে এবং জনগণের প্রতিক্রিয়ায় প্রভাবিত না হয়ে নিজেদের সম্মানজনক দায়িত্ব পালনের প্রতিও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

এদিকে, রায় ঘোষণার পর এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিচারকদের এই সিদ্ধান্তকে ‘অগনতান্ত্রিক’ বলে উল্লেখ করেছে ট্রাম্পের গণসংযোগ টিম ট্রাম্প ক্যাম্পেইন।

ক্যাম্পেইনের এক মুখপাত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘কলোরাডোর শীর্ষ আদালতের এই রায় পুরোপুরি ত্রুটিযুক্ত। শিগগিরই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করব।’

সূত্র: রয়টার্স

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা

পোস্ট হয়েছে : ১২:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আগামী বছরের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা খেলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পূর্বসূরী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করেছেন দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য কলোরাডোর শীর্ষ আদালত।

আদালত আরও বলেছেন, যদি এর পরেও ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান—সেক্ষেত্রে কলোরাডোতে তিনি প্রচার প্রচারণা চালাতে পারবেন না, এমনকি ভোটের প্রাথমিক ব্যালটেও তিনি থাকবেন না।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় সিটিজেনস ফর রেসপন্সিবিলিটি অ্যান্ড এথিক্স নামের একটি ওয়াশিংটনভিত্তিক অ্যাডভোকেসি সংগঠন একটি মামলা করেছিল। মঙ্গলবার সেই মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময়ে বিচারকদের বেঞ্চ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর ৩ নম্বর ধারা অনুসারে এই রায় প্রদান করা হয়েছে।

১৮৬১ সাল থেকে ১৮৬৫ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে যে গৃহযুদ্ধ হয়েছিল, তার পরপর মার্কিন সংবিধানে এই সংশোধনী যুক্ত হয়।

মঙ্গলবার কলোরাডোর শীর্ষ আদালতে বিচারপতিদের যে বেঞ্চ রায়টি দিয়েছে, সেখানে মোট সদস্য ছিলেন ৭ জন। এই সদস্যদের মধ্যে ৪ জন বিচারপতি ট্রাম্পকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার পক্ষে মত দিয়েছেন।

ট্রাম্পের মিডিয়া টিম অবশ্য জানিয়েছে, কলোরাডো আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হবে; তবে মার্কিন রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প যদি এই রায়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন, সেক্ষেত্রে তার জয়ের সম্ভাবনা কম। কারণ, সুপ্রিম কোর্ট সম্ভবত কলোরাডোর শীর্ষ আদালতের রায় গ্রহণ করবেন।

প্রসঙ্গত, যদি সুপ্রিম কোর্ট এই রায় গ্রহণ করেন— তাহলে ডোনাল্ড ট্রাম্প হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি, যাকে ‘অভ্যুত্থানে সংশ্লিষ্টতা’ বা ‘বিদ্রোহের’ অভিযোগে নির্বাচনে প্রার্থীতায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় কলোরাডোর শীর্ষ আদালতের বিচারকদের বেঞ্চ বলেন, ‘২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলের অধিবেশনে যে হামলার ঘটনা ঘটেছিল, তাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উসকানির বিভিন্ন প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং সেসবকে আমলে নিয়েই তাকে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। কলরাডোর প্রাথমিক ব্যালটে তার নাম থাকবে না। এই অঙ্গরাজ্যে তিনি প্রচার-প্রচারণাও চালাতে পারবেন না।’

‘আমরা খুব সহজে এই সিদ্ধান্তে আসিনি। মামলার বিবাদিপক্ষের রাজনৈতিক-সামাজিক অবস্থান এবং এই রায়ের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে আমরা ভালোভাবেই ওয়াকিবহাল। তবে একই সঙ্গে আমরা ভয় ও পক্ষপাতিত্বের উর্ধ্বে উঠে এবং জনগণের প্রতিক্রিয়ায় প্রভাবিত না হয়ে নিজেদের সম্মানজনক দায়িত্ব পালনের প্রতিও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

এদিকে, রায় ঘোষণার পর এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিচারকদের এই সিদ্ধান্তকে ‘অগনতান্ত্রিক’ বলে উল্লেখ করেছে ট্রাম্পের গণসংযোগ টিম ট্রাম্প ক্যাম্পেইন।

ক্যাম্পেইনের এক মুখপাত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘কলোরাডোর শীর্ষ আদালতের এই রায় পুরোপুরি ত্রুটিযুক্ত। শিগগিরই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করব।’

সূত্র: রয়টার্স

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: