বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বগুড়া নন্দীগ্রামে নৌকার বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে সাবেক বিএনপি নেতা ডা. জিয়াউল হক মোল্লার ঈগলের পক্ষে কাজ করায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের ৩ নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল (২৫ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শিমলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নৌকার প্রার্থী জাসদ নেতা একেএম রেজাউল করিম তানসেনের ভাগ্নে মিলন রহমানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
মারধরের শিকার নেতারা হলেন নন্দীগ্রাম সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি রুবেল হোসেন, সহ-সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন ও যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন।
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনটি ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাসদকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জেলা জাসদের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ-সদস্য একেএম রেজাউল করিম তানসেন নৌকা প্রতীকে সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসনে সাবেক বিএনপি নেতা ও চারবারের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. জিয়াউল হক মোল্লা স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল)।
আওয়ামী লীগ নেতা রুবেল হোসেন বলেন, তানসেন নৌকা মার্কা নিয়ে দুবার এমপি হয়ে তাদের বিপদে ফেলেছেন। এ জন্য আমরা তার নির্বাচন থেকে সরে গেছি।
নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা বলেন, এমন ঘটনা শুনেছি; তবে কি কারণে এ হামলা হয়েছে তা জানা নেই। মারধরের শিকার তিন নেতা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ব্যাপারে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বগুড়া জেলা জাসদের সভাপতি ও নৌকার প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেন বলেন, আওয়ামী লীগের তিন নেতা দলের বিরুদ্ধে গিয়ে বিএনপি নেতার পক্ষে কাজ করছেন। তারা প্রচারণা শেষে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর কথা বললে আমার ভাগনে তাদের নিষেধ করেছেন। তখন উভয়পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে। মারধরের অভিযোগ সত্য নয়।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি আজমগীর হোসেন বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে; আওয়ামী লীগ নেতাদের মারধর করা হয়নি। এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মোল্লা নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে নালিশ করেছেন।
বিজনেস আওয়ার/২৬ডিসেম্বর/বিএইচ